জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১)

প্রশ্ন-১. GMO কী?
উত্তর :
 Genetically Modified Organism কে সংক্ষেপে GMO বলা হয়।

প্রশ্ন-২. পুষ্পপুট কী?

উত্তর : একটি ফুলের বৃতি ও দলকে যখন আকৃতি ও বর্ণে পৃথক করা যায় না তখন এদেরকে একত্রে বলা হয় পুষ্পপুট।

প্রশ্ন-৩. মরণ সংকোচন কাকে বলে?

উত্তরঃ মৃত্যুর পর পেশি যখন সংকোচনশীলতা ধর্ম হারিয়ে অনড় হয় তখন তাকে রাইগার মরটিস বা মরণ সংকোচন বলে।

প্রশ্ন-৪. ইকলিপস কাল কী?

উত্তরঃ পোষক ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণের পর থেকে যে সময় পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ অপত্য ভাইরাস সৃষ্টি না হয় সেই সময়কালই হলো ইকলিপস কাল।

প্রশ্ন-৫. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জৈব প্রযুক্তির অপর নাম কী?

উত্তর : জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জৈব প্রযুক্তির অপর নাম হলো রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি।

প্রশ্ন-৬. জীববিজ্ঞানের জনক কে?

উত্তর : গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল হলেন জীববিজ্ঞানের জনক।

প্রশ্ন-৭. ভৌত জীববিজ্ঞান শাখার আলোচ্য বিষয় কী?
উত্তর :
 জীববিজ্ঞানের তত্ত্বীয় বিষয়গুলোই হলো ভৌত জীববিজ্ঞান শাখার আলোচ্য বিষয়।

প্রশ্ন-৮. জৈব উপাদান কি?
উত্তর :
 সকল জীবের মৃত ও গলিত দেহাবশেষ হলো জৈব উপাদান।

প্রশ্ন-৯. খাদ্য বলতে কি বুঝায়?
উত্তর :
 খাদ্য বলতে সেই সমস্ত জৈব উপাদাকে বুঝায় যেগুলো জীবের দেহ গঠন, ক্ষয়পূরণ এবং শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-১০. ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষ বলা হয় কেন?
উত্তর :
 যে সকল কোষ সুগঠিত নয় এবং ক্রোমোজোমে কেবল ডিএনএ থাকে ঐসকল কোষকে আদি কোষ বা প্রাককেন্দ্রিক কোষ বলে। ব্যাকটেরিয়ার কোষে এসব বৈশিষ্ট বিদ্যমান। তাই ব্যাকটেরিয়ার কোষকে আদি কোষ বলা হয়।

প্রশ্ন-১১. ক্রোমোসোম অর্থ কি?

উত্তরঃ গ্রিক chroma অর্থ colour এবং soma অর্থ body বা দেহ। কাজেই ক্রোমোসোম অর্থ হল ‘রঞ্জিত দেহ’ বা ‘রং ধারণকারী দেহ’। কারণ এরা কতকগুলো বেসিক রং ধারণ করতে পারে।

 

প্রশ্ন-১২. ইন্টারফেরন কি?
উত্তর :
 ইন্টারফেরন হলো প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন।কোন দেহকোষ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এটি নিঃসৃত হয়।

প্রশ্ন-১৩. মায়োসিন কি?
উত্তর :
 মায়োসিন হলো এক ধরনের প্রোটিন যা দিয়ে কোষ কঙ্কালের বিভিন্ন ধরনের তন্তু নির্মিত হয়।

প্রশ্ন-১৪. ফাইবার বা তন্তু বৈশিষ্ট্য কি কি?উত্তরঃ ফাইবার বা তন্তু বৈশিষ্ট্য- এরা অত্যন্ত দীর্ঘ, পুরু প্রাচীরযুক্ত, শক্ত এবং দুই প্রান্ত সরু। তবে কখনো কখনো ভোঁতা হতে পারে। প্রাচীরের গায়ে ছিদ্র থাকে। এ ছিদ্রকে কুপ বলে। অবস্থান ও গঠনের ভিত্তিতে এদের বিভিন্ন নামে ডাকা হয়, যথা- বাস্ট ফাইবার, সার্ফেস ফাইবার, জাইলেম তন্তু বা কাষ্ঠতন্তু ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৫. হাইমেন বা সতীচ্ছেদ কী?

উত্তরঃ কুমারীদের যোনিপথে হাইমেন বা সতীচ্ছেদ নামক একটি পর্দা দেখা যায়।

প্রশ্ন-১৬. দূষক কাকে বলে?

উত্তরঃ পরিবেশ দূষণের জন্য যে সমস্ত জিনিস বা পদার্থ দায়ী তাদেরকে দূষক বলে।

প্রশ্ন-১৭. দই কি?

উত্তরঃ দই একটি দুগ্ধজাত দ্রব্য। দুধের সাথে Lactobacillus বা Streptococcus নামক ব্যাকটেরিয়ার জৈবনিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে দুধ থেকে দই উৎপন্ন হয়। এরা দুধের ল্যাকটোজকে ভেঙ্গে ল্যাকটিক এসিড উৎপন্ন করে যা দুধকে দইতে পরিণত করে।

প্রশ্ন-১৮. ডায়াপোজ কাকে বলে?

উত্তরঃ নিষিক্ত হবার পর ডিমের মধ্যে তাদের পরিস্ফূরণ চলতে থাকে। প্রথম অবস্থায় প্রায় তিন সপ্তাহ পরিস্ফূরণ চলে। অতঃপর প্রতিকূল আবহাওয়ার (শীতকালে) কারণে পরিস্ফূরণ বন্ধ থাকে। এ অবস্থাকে ডায়াপোজ বলে।

প্রশ্ন-১৯. থাইলাকয়েড কি?
উত্তর :
 থাইলাকয়েড হচ্ছে ক্লোরোপ্লাস্টে গ্রানার এক একটি একক, যা দেখতে চ্যাপ্টা থলে আকৃতির।

প্রশ্ন-২০. কোষের পাওয়ার হাউস কি?
উত্তর :
 উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের অভ্যন্তরে যেখানে শক্তি উৎপাদনের যাবতীয় প্রক্রিয়াসমূহ (যেমন- ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট, ক্রেবস চক্র ইত্যাদি) সংগঠিত হয় তাকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা কোষের পাওয়ার হাউস বলে। মাইটোকন্ড্রিয়া হল কোষের পাওয়ার হাউস।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *