পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১) ।। Physics Questions and Answers

প্রশ্ন-১. তড়িৎ বিভব বা ইলেকট্রিক পটেনশিয়াল কাকে বলে?
উত্তর :
 অসীম দূরত্ব থেকে প্রতি একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব বা ইলেকট্রিক পটেনশিয়াল বলে।

প্রশ্ন-২. দূরত্ব কাকে বলে?
উত্তর :
 কোন গতিশীল বস্তুর পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে যে অবস্থানের পরিবর্তন হয় তাকে দূরত্ব বলে।

প্রশ্ন-৩. দূরত্ব কোন ধরনের রাশি?
উত্তর :
 দূরত্ব একটি স্কেলার রাশি।

প্রশ্ন-৪. দূরত্বের একক কি?
উত্তর :
 দূরত্বের একক মিটার (m)।

প্রশ্ন-৫. পরিবাহীর রোধ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তর :
 কোনো পরিবাহীর রোধ নিচের  বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

  •  পরিবাহীর দৈর্ঘ্য,
  •  পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল,
  •  পরিবাহীর উপাদান এবং
  •  পরিবাহীর তাপমাত্রা।

প্রশ্ন-৬. তুল্য রোধ কাকে বলে?
উত্তর :
 রোধের কোনো সন্নিবেশে রোধগুলোর পরিবর্তে সমমানের যে একটিমাত্র রোধ ব্যবহার করলে বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ ও বিভব পার্থক্যের কোনো পরিবর্তন হয় না সেই রোধকে ঐ সন্নিবেশের তুল্য রোধ বলে।

প্রশ্ন-৭. সমান ভেক্টর বলতে কী বোঝায়?
উত্তর :
 একই দিকে ক্রিয়ারত একাধিক সমজাতীয় ভেক্টরের মান সমান হলে তাদেরকে সম ভেক্টর বা সমান ভেক্টর বলে। পাদবিন্দু বা আদিবিন্দু যেখানেই হোক না কেন ভেক্টরগুলো পরস্পরের সমান্তরাল এবং মান সমান।

প্রশ্ন-৮. পদার্থের তিনটি অবস্থার মূল পার্থক্য কী?উত্তরঃ পদার্থের তিনটি অবস্থার মূল পার্থক্য হলোঃ

কঠিন পদার্থঃ নির্দিষ্ট আয়তন ও নির্দিষ্ট আকার আছে।

তরল পদার্থঃ নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই।

গ্যাসীয় পদার্থঃ নির্দিষ্ট কোন আকার বা আয়তন নাই।

প্রশ্ন-৯. ভেক্টর অপারেটর কি?
উত্তর :
 যে গাণিতিক চিহ্নের দ্বারা একটি ভেক্টর রাশিকে অন্য একটি স্কেলার বা ভেক্টর রাশিতে রূপান্তর করা যায় বা কোনো পরিবর্তনশীল ভেক্টর রাশির ব্যাখ্যা দেয়া যায় তাকে ভেক্টর অপারেটর বলে।

প্রশ্ন-১০. ইলেকট্রোপ্লেটিং কেন করা হয়?

উত্তর : ইলেকট্রোপ্লেটিং হচ্ছে মরিচা রোধক প্রলেপ। এটির ব্যবহারে লোহার স্থায়িত্ব বেড়ে যায়। কোনো ধাতুর উপর ইলেকট্রোপ্লেটিং করলে তা মসৃণ হয়। আবার ইলেকট্রোপ্লেটিং এর ফলে অলংকারের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। তাই ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হয়।

 
প্রশ্ন-১১. পদার্থ কি কি অবস্থায় থাকতে পারে?উত্তরঃ পদার্থ তিনটি অবস্থায় থাকতে পারেঃ কঠিন,  তরল ও গ্যাসীয় বা বায়বীয়।

প্রশ্ন-১২. প্রান্তিক বেগ কি?

উত্তর : অভিকর্ষের প্রভাবে কোনো প্রবাহীর মধ্য দিয়ে গতিশীল কোনো বস্তু সর্বোচ্চ যে বেগে উপনীত হলে নিট বল শূন্য হয় এবং বস্তুটি সমবেগে চলতে থাকে, সে বেগকে বলা হয় প্রান্তিক বেগ।

প্রশ্ন-১৩. সমত্বরণ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুর বেগ যদি নির্দিষ্ট দিকে সবসময় একই হারে বাড়তে থাকে তাহলে সে ত্বরণকে সুষম ত্বরণ বা সমত্বরণ বলে।

প্রশ্ন-১৪. টর্ক কাকে বলে?

উত্তর : ঘূর্ণায়মান কোনো কণার ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও কণার ওপর প্রযুক্ত বলের ভেক্টর গুণফলকে টর্ক বলে।

প্রশ্ন-১৫. টর্ক কোন ধরনের রাশি?

উত্তর : টর্ক একটি ভেক্টর রাশি।

প্রশ্ন-১৬. তরল পদার্থের কোন নির্দিষ্ট আকার নেই কেন?উত্তরঃ অণুসমূহ স্থান পরিবর্তন করতে পারে বলে তরল পদার্থের কোন নির্দিষ্ট আকার নেই।

প্রশ্ন-১৭.স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোনো বস্তুর পীড়ন ও বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এই ধ্রুব সংখ্যাকে ঐ বস্তুর উপাদানের স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন-১৮. বৃষ্টিপাত মাপার যন্ত্রের নাম কি?

উত্তর : বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্রের নাম -রেনগেজ (Rain gauze)।

প্রশ্ন-১৯. নাইট্র‌োলিম ক‌ি?

উত্তর : নাইট্রোলিম হলো ক্যালসিয়াম সায়ানামাইড, যা এক ধরনের অজৈব যৌগ।

প্রশ্ন-২০. ড্রাই আইস কি?

উত্তর : ড্রাই আইস হলো কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইড এর বাণিজ্যিক নাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *