যেসব রোগ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু দ্বারা সৃষ্টি হয় ও আক্রান্ত প্রাণী থেকে সুস্থ প্রাণীতে ছড়িয়ে পড়ে সেসব রোগকে সংক্রামক রোগ বলে।
এক কথায় বলতে গেলে, যখন কোন রোগ বিভিন্ন মাধ্যমে অন্যান্য সুস্থ জীবে ছড়িয়ে পড়ে তাকে সংক্রামক রোগ বলে।
যেমন মাছের লেজ ও পাখনা পচা রোগ একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ।
সংক্রামক রোগের লক্ষণ
- সংক্রামক রোগ এর ফলে জ্বর জ্বর ভাব অনুভূত হয়।
- শরীরের মধ্যে সবসময় ক্লান্তি ভাব বিরাজ করে ।
- রোগীর ক্ষুধা হ্রাস পায়।
- রোগীর ওজন কমে যায়।
- শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূত হয় বা ঠাণ্ডা লাগে।
- শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়।
- কারো কারো চামড়ায় দাগ দেখা যায়।
- বিভিন্ন পেশীতে ব্যথা অনুভূত হয়।
- কারো কারো আবার ঘন ঘন পায়খানা বা ডায়রিয়া হয়।
- মাথায় ব্যথা অনুভূত হয়।
সংক্রামক রোগের কারণ
- রোগা আক্রান্ত ব্যক্তির বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করা।
- বাঁশি পচা বা দূষিত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে।
- মশা মাছির মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- কুকুরের মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- বিভিন্ন প্রাণীর মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- দূষিত পানি হতে হতে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- হাঁচি কাশির মাধ্যমে এক ব্যক্তির রোগ অন্য ব্যক্তিদের সঞ্চালিত হয়।
- একজনের ব্যবহার করা ইনজেকশন কিংবা ব্লেড অন্যজনের জন্য ব্যবহার করার কারণে।
সংক্রামক রোগ প্রতিকারের উপায়গুলো হলো–
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
- পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
- রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- একজনের ব্যবহার করা জিনিস অন্যজন ব্যবহার না করা।
- ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা।
- পরিবেশকে দূষিত না রাখা।
- হাঁচি কাশি আসলে মুখে রুমাল দেওয়া।
- সাবান বা বিভিন্ন এন্টিসেপটিক দিয়ে শরীর পরিষ্কার করা।
- বিভিন্ন খাবার খাওয়ার আগে ভালো মতো হাত ধৌত করে নেওয়া।
- দূষিত পানি পান না করা আর দূষিত পানি থেকে বিরত থাকা।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “গ্লোবাল ওয়ার্মিং কাকে বলে?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।