নবম অধ্যায় : পরমাণুর মডেল এবং নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র

প্রশ্ন-১. কে ইলেকট্রনের চার্জ ও ভরের অনুপাত নির্ণয় করেন?

উত্তর : স্যার জে. জে থমসন ইলেকট্রনের চার্জ ও ভরের অনুপাত নির্ণয় করেন।

প্রশ্ন-২. পরমাণু মডেল কি?

উত্তর : পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন যেভাবে সজ্জিত থাকে তা প্রকাশের পদ্ধতিই পরমাণুর মডেল।

প্রশ্ন-৩. পরমাণু কি?

উত্তর : পরমাণু পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ যা মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে না, কিন্তু কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে।

প্রশ্ন-৪. নিউট্রন কি?

উত্তর : নিউট্রন হচ্ছে নিউক্লিয়াসে অবস্থিত বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ কণা।

প্রশ্ন-৫. পারমাণবিক শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : নিউক্লিয়াসের ভাঙন হতে প্রাপ্ত শক্তিকে পারমাণবিক শক্তি বলে।

প্রশ্ন-৬. পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে?

উত্তর : কোনো পরমাণুর প্রোটন বা ইলেকট্রনের সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন-৭. পারমাণবিক ভর সংখ্যা কাকে বলে?

উত্তর : কোনো পরমাণুর প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যাকে পারমাণবিক ভর সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন-৮. p-n-p ট্রানজিস্টর কাকে বলে?

উত্তর : একটি n-টাইপ কেলাসের উভয় দিকে একটি করে p-টাইপ কেলাস স্যান্ডউইচ করে যে টানজিস্টর তৈরি হয় তাকে p-n-p ট্রানজিস্টর বলে।

প্রশ্ন-৯. অর্ধপরিবাহী ডায়োড কি?

উত্তর : একটি p-টাইপ এবং একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহীর সমন্বয়ে যে জাংশন তৈরি হয় তাই অর্ধপরিবাহী ডায়োড।

প্রশ্ন-১০. ক্ষয় ধ্রুবক কাকে বলে?

উত্তর : কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থের একটি পরমাণুর একক সময়ে ভাঙনের সম্ভাব্যতাকে ঐ পদার্থের ক্ষয় ধ্রুবক বলে।

প্রশ্ন-১১. নিউক্লীয় চুল্লী কী? একে কী কী কাজে ব্যবহার করা যায়?

উত্তর : নিউক্লীয় চুল্লী হলো একটি যন্ত্র যা দিয়ে একটি নিউক্লীয় শৃঙ্খল বিক্রিয়া চালু এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নিউক্লীয় চুল্লীসমূহ ব্যবহার করা হয়, নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসমূহে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কাজে এবং জাহাজ চালাতে।

প্রশ্ন-১২. থমসন পরমাণু মডেল কি?

উত্তর : থমসনের মতবাদ অনুসারে পরমাণু ধনাত্মক আধানযুক্ত একটি গোলক এবং এর মধ্যে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন ইচ্ছামত ছড়িয়ে আছে।

প্রশ্ন-১১. পদার্থের ‘অর্ধ জীবন’ কাকে বলে?

উত্তর : যে সময়ে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থের মোট পরমাণুর ঠিক অর্ধেক পরিমাণ ভেঙে যায়, তাকে ঐ পদার্থের অর্ধ জীবন বা অর্ধায়ু বলে।

প্রশ্ন-১২. গড় জীবন বা গড় আয়ু কাকে বলে?

উত্তর : কোন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সকল পরমাণুর জীবনকালের সমষ্টিকে এর পরমাণুর প্রারম্ভিক সংখ্যা দ্বারা ভাগ করে প্রাপ্ত জীবনকালকে গড় জীবন বা গড় আয়ু বলে।

প্রশ্ন-১৩. ভরত্রুটি কি?

উত্তর : নিউক্লিয়াস গঠনকারী উপাদানসমূহের ভরের সমষ্টি অপেক্ষা নিউক্লিয়াসের ভর কিছুটা কম হয়। ভরের এ পার্থক্যকে ভরত্রুটি বলে।

প্রশ্ন-১৪. নিউক্লিয়ন কাকে বলে?

উত্তর : নিউক্লিয়াসে যে সকল কণা থাকে সে সকল কণাগুলোকে একত্রে নিউক্লিয়ন বলে।

প্রশ্ন-১৫. বন্ধন শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : কোন নিউক্লিয়াসকে ভেঙ্গে তার গাঠনিক উপাদান নিউট্রন ও প্রোটনে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে ঐ নিউক্লিয়াসের বন্ধন শক্তি বলে।

প্রশ্ন-১৬. নিউক্লিয় ফিশন কাকে বলে?

উত্তর : যে বিশেষ নিউক্লীয় বিক্রিয়ায় একটি ভারী নিউক্লিয়াস ভেঙে প্রায় সমান ভরসংখ্যার দুটি নিউক্লিয়াসে বিভক্ত হয় এবং প্রচুর শক্তি নির্গত হয় তাকে নিউক্লিয় ফিশন বলে।

 

প্রশ্ন-১৭. চেইন বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর : যে নিউক্লীয় ফিশন বিক্রিয়া একবার শুরু হলে  তা স্ব-চালিতভাবে চলতে থাকে, তাকে চালিয়ে রাখার জন্য অতিরিক্ত কোন শক্তির প্রয়োজন হয় না এবং বিক্রিয়ার গতি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে তাকে চেইন বিক্রিয়া বা শৃঙ্খল বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১৮. নিউক্লীয় ফিউশন কাকে বলে?

উত্তর : যে বিশেষ নিউক্লীয় বিক্রিয়ায় দুটি হালকা নিউক্লিয়াস সংযুক্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত ভারী একটি নিউক্লিয়াস উৎপন্ন হয় এবং প্রচুর শক্তি নির্গত হয় তাকে নিউক্লীয় ফিউশন বলে।

প্রশ্ন-১৯. নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় একটি নিউট্রন দ্বারা একটি বড় পরমাণুকে আঘাত করলে দুটি নতুন ছোট পরমাণু ও দুটি নতুন নিউট্রনের সৃষ্টি হয় এবং প্রক্রিয়াটি শিকলের মতো চলতে থাকে, তাকে নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-২০. কোয়ার্ক কি?

উত্তরঃ কোয়ার্ক হলো পদার্থের মৌলিক কণা ও মৌলিক প্রয়োজনীয় উপাদান যা দ্বারা পদার্থ গঠিত। ১৯৬৪ সালে, পদার্থবিদ মারি গেল-মান ও জর্জ উইগ প্রথম কোয়ার্ক মডেল উপস্থাপন করেন।

প্রশ্ন-২১. সকল ডাই ইলেকট্রিক অপরিবাহী, কিন্তু সকল অপরিবাহী ডাই ইলেকট্রিক নয় কেন?

উত্তরঃ যেসকল পদার্থে ইলেকট্রন মুক্তভাবে চলাচল করতে পারে তাদেরকে পরিবাহী বলে। আবার যেসকল পদার্থের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রন মুক্তভাবে চলতে পারে না তাদেরকে অপরিবাহী বলে। যেসকল অপরিবাহী পদার্থকে তড়িৎক্ষেত্রে স্থাপন করলে পোলারায়ন হয় তাদেরকে ডাই-ইলেকট্রিক বা পরাবৈদ্যুতিক পদার্থ বলে। কিন্তু সকল অপরিবাহী পদার্থ পোলারায়ন প্রদর্শন করে না। সুতরাং সকল ডাই-ইলেকট্রিক অপরিবাহী কিন্তু সকল অপরিবাহী ডাই-ইলেকট্রিক নয়।

প্রশ্ন-২২. তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অর্ধপরিবাহীর পরিবাহিতা বৃদ্ধি পায় কেন?

উত্তরঃ অর্ধপরিবাহীতে যোজন ব্যান্ড পূর্ণ থাকে এবং পরিবহন ব্যান্ডে কোনো ইলেক্ট্রন থাকে না, কিন্তু যোজন ব্যান্ড ও পরিবহন ব্যান্ডের মধ্যে শক্তি ব্যবধান খুব কম থাকে। সাধারণ তাপমাত্রায় যোজন ব্যান্ডের কিছু ইলেকট্রন যোজনী বন্ধন ভেঙ্গে পরিবহন ব্যান্ডে চলে যাবার ফলে এরা সামান্য পরিবাহী হয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত পরিবহন ব্যান্ডে ইলেকট্রন সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অর্ধপরিবাহীর পরিবাহিতা বৃদ্ধি পায় এবং রোধ হ্রাস পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *