ভেক্টর হচ্ছে এক ধরনের রাশি, যার মান ও দিক উভয়ই আছে। সরণ, বেগ, ত্বরণ, বল, ওজন ইত্যাদি প্রত্যকটি ভেক্টর। ইংরেজি বোল্ড অক্ষর ব্যবহার করে ভেক্টরকে প্রকাশ করা হয়। এখানে a একটি ভেক্টর নির্দেশ করে। হাতে লেখার সময় মোটা (Bold) হরফের পরিবর্তে অক্ষরের উপরে বা নিচে একটি দাগ বা উপরে তীর চিহ্ন দেয়া হয়। অর্থাৎ a ভেক্টরকে a আকারে লেখা হয়।
ভেক্টরের ইতিহাস
সংখ্যাকে জ্যামিতিকভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে ভেক্টর সৃষ্টি হয়। মূলত জটিল সংখ্যাকে জ্যামিতিকভাবে উপস্থাপন করতে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দুই দশকে ভেক্টর এর ব্যাপক প্রসার ঘটে। বিখ্যাত আইরিশ বীজগণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিদ এবং পদার্থবিদ উইলিয়াম রোয়ান হ্যামিলটন (William Rowan Hamilton) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে জটিল সংখ্যাকে ক্রমজোড় আকারে প্রকাশ করেন।
যা একটি দ্বিমাত্রিক সমতলের বিন্দু অর্থাৎ ভেক্টর হিসেবে বর্ণিত হয়। ১৮২৭ সালে আগাস্তে ফার্ডিনান্দ মোবিয়াস (August Ferdinand Mobius) সদিক রেখাংশের বিবরণ দেন এবং বাস্তব সংখ্যার সাথে সদিক রেখাংশের গুণ করার পদ্ধতি বর্ণনা করেন। উইলিয়াম কিংডন ক্লিফোর্ড (William Kingdon Clifford) স্কেলার ও ভেক্টর গুণনের ধারণা দেন।