বিসিএস প্রিলিতে সাধারণ জ্ঞান [আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী] অংশে যা যা পড়তে হবে – সুজন দেবনাথের পরামর্শ

একটি বাংলাদেশ বিষয়াবলী অপরটি আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী। এতে ২০ টি প্রশ্ন থাকে। বহির্বিশ্বে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এ অংশে থাকে। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ভালো করতে হলে সমসাময়িক আন্তর্জাতিক খবরাখবর তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
বিসিএস সাধারণ জ্ঞান
এ সম্পর্কিত বিভিন্ন বই ফলো করা যেতে পারে
১) সাধারণ জ্ঞানঃ আজকের বিশ্ব
২) প্রফেসর এর কারেন্ট এফেয়ার্স
৩) বিসিএস এসুরেন্স ডাইজেস্ট
৪) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার আন্তর্জাতিক পাতা
৩৫তম বিসিএস প্রিলি থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীতে উল্লেখিত সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত টপিক সমূহঃ
(১) বৈশ্বিক ইতিহাস; আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থ;
ভূ-রাজনীতি – ৪ নম্বর
বৈশ্বিক ইতিহাসঃ পৃথিবীর সকল ইতিহাস। অর্থাৎ পৃথিবীর পূর্বের শাসন, যুদ্ধ, বিভিন্ন স্মরণীয়-বরণীয় ঘটনা ইত্যাদি।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাঃ ইংরেজিতে এটা Regional and International Order. এখন International Order বা World Order হল – কোন পদ্ধতিতে বা কাদের নিয়ন্ত্রণে পৃথিবী চলছে। যেমন, বর্তমান পৃথিবী নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর পশ্চিম ইউরোপীয় মিত্রদের মাধ্যমে পরিচালিত কিছু প্রতিষ্ঠান এবং সেই প্রতিষ্ঠানসমুহের প্রবর্তিত কিছু আইন দিয়ে। এই যে International Order, এটা শুরু হয়েছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে এবং আজও চলছে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত Liberal Democratic আর Colonial Order এর মিশ্রণ অনেক দিন চলেছে। WWII এর পর কয়েক দশক USA & USSR (সোভিয়েত ইউনিয়ন) এর মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধ চলেছে, তখন bi-polar বা দুই মেরুর সিস্টেম বলা হত। তাতে USSR এর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে USA এর একক কর্তৃত্ব বা unipolar বা এককেন্দ্রীক সময় এখন চলছে। তবে এগিয়ে আসছে চীন ও ভারতের মত উদীয়মান শক্তিগুলো। এদের মিলে পৃথিবীতে হয়তো multi-polar order এর সময় আসবে। আর আঞ্চলিক বা regional order হল – কোন মহাদেশ, উপমহাদেশ বা অঞ্চল কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এর মধ্যে এশিয়াতে চীন ও ভারতের নিয়ন্ত্রণ পড়ে।
ভূ-রাজনীতিঃ ইংরেজিতে Geopolitics. অবস্থানের কারণে একটি দেশ অন্য রাষ্ট্রের জন্য সুবিধা বা অসুবিধায় কারণ হয়। এতে শুরু হয় বিশেষ বিশেষ অঞ্চলকে নিজের অধীনে রাখার রাজনীতি। কোন কোন সাগরের কোন দ্বীপে কোন দেশের নৌঘাঁটি, তেল পরিবহনের রাস্তা, গুরুত্বপুর্ণ খালের (সুয়েজ, পানামা) নিয়ন্ত্রণ, কোন সমুদ্র বন্দর কে নিয়ন্ত্রণ করে, কোন দেশের খনিজ সম্পদ কারা উত্তোলন করে এসব।
(২) আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক – ৪ নম্বর
বিভিন্ন সামরিক জোট (NATO, CENTO), অস্ত্রচুক্তি, পারমানবিক চুক্তি, OPCW (এটি ২০১৩ তে নোবেল পেয়েছে), শান্তি চুক্তি, যুদ্ধ এসব। আল-কায়েদা, ISIS, ফিলিস্তিন, সিরিয়া।
(৩) বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনা প্রবাহ – ৪ নম্বর
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান / ঘটমান / প্রবাহমান সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ। — সবচেয়ে বেস্ট হচ্ছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের মাসিক কপির চলমান বিশ্বের ঘটনা প্রবাহ অংশ খেয়াল করা।
(৪) আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি – ৪ নম্বর
আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতিঃ বিভিন্ন পরিবেশ ও জলবায়ু সম্মেলন (যেমনঃ cop), বিভিন্ন জলবায়ু চুক্তি (যেমনঃ কিয়োটো প্রটোকল), পরিবেশ এনজিও, পরিবেশ আন্দোলন, IPCC ইত্যাদি।
(৫) আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি – ৪ নম্বর
জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠন, EU, SAARC, কমনওয়েলথ সহ অন্য সংগঠন ও জোট বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যেসব সংস্থার সদস্য, সেগুলো থেকে বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে প্রশ্ন হবে; আর এ অংশ ব্যাতিত অন্যগুলো আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর অন্তর্গত।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী – সংগঠন ও সদস্য
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদিঃ এর মধ্যে World Bank, IMF, WTO, G20, BRICS ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য।
এছাড়া আন্তর্জাতিকের অনেক বিষয় যেমন বিভিন্ন লাইন, প্রণালী, রাজধানী, মুদ্রা, জাতীয় প্রতীক এগুলোও পড়তে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *