নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান সাজেশন ২০২২

অধ্যায়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
অধ্যায়-৮ : আলোর প্রতিফলন
প্রশ্ন-১. আলো কি?
উত্তর : আলো এক প্রকার শক্তি যার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই।

প্রশ্ন-২. আলোর ধর্ম কী কী?
উত্তর : আলোর প্রধান ধর্মগুলো নিম্নরূপ–
আলো কোন স্বচ্ছ সমসত্ব মাধ্যমে সরল পথে চলে।
কোন নির্দিষ্ট মাধ্যমে আলো একটি নির্দিষ্ট বেগে চলে।
আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ব্যতিচার, অপবর্তন, বিচ্ছুরন এবং সমবর্তন ঘটে।
আলো কণা এবং তরঙ্গ উভয়ের মতো আচরণ করে।

প্রশ্ন-৩. আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর : আলোকরশ্মি যখন এক মাধ্যম দিয়ে চলতে চলতে অন্য এক মাধ্যমের কোনো তলে আপতিত হয় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল হতে কিছু পরিমাণ আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে, এ ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে।

প্রশ্ন-৪. আলোর প্রতিফলন কয়টি সূত্র মেনে চলে?
উত্তর : আলোর প্রতিফলন দুটি সূত্র মেনে চলে।

প্রশ্ন-৫. প্রতিফলক পৃষ্ঠের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে প্রতিফলনকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : প্রতিফলক পৃষ্ঠের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে প্রতিফলনকে দুইভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন-৬. গোলীয় দর্পণের প্রধান ফোকাস কি?
উত্তর : গোলীয় দর্পণের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোক রশ্মিগুচ্ছ দর্পণে প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের উপরস্থ যে বিন্দুতে মিলিত হয় (অবতল দর্পণে) অথবা প্রধান অক্ষের উপরস্থ যে বিন্দু হতে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (উত্তল দর্পণে) ঐ বিন্দুকে উক্ত গোলীয় দর্পণের প্রধান ফোকাস বলে।

প্রশ্ন-৬. আতশি কাঁচ কি?
উত্তর : ফরাসি ভাষায় আতশি কথার অর্থ আগুন। উত্তল লেন্সকে আতশি কাঁচ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। উত্তল লেন্সের সাহায্যে আলোকরশ্মিকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করে আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহৃত হয় বলে একে আতশি কাঁচ বলে।

অধ্যায়-৯ : আলোর প্রতিসরণ
প্রশ্ন-১. আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?
উত্তর : আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভাবে প্রবেশ করলে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে এর দিক পরিবর্তন হয়। আলোকরশ্মির এই দিক পরিবর্তনের ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।

প্রশ্ন-২. মরীচিকা কাকে বলে?
উত্তর : মরুভূমিতে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের যে ঘটনা ঘটে তাকে মরীচিকা বলে।

প্রশ্ন-৩. লেন্স কাকে বলে?
উত্তর : দুটি গোলীয় পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনো স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলে।

প্রশ্ন-৪. লেন্স কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : লেন্স দুই প্রকার। যথাঃ–
১. উত্তল লেন্স বা অভিসারী লেন্স
২. অবতল লেন্স বা অপসারী লেন্স

প্রশ্ন-৫. বক্রতার কেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর : লেন্সের উভয় পৃষ্ঠ যে গোলকদ্বয়ের অংশ তাদের কেন্দ্রকে লেন্সের বক্রতার কেন্দ্র বলে।

প্রশ্ন-৬. প্রধান অক্ষ কাকে বলে?

উত্তর : বক্রতার কেন্দ্রদ্বয়কে যোগ করলে যে সরলরেখা পাওয়া যায় তাকে ঐ লেন্সের প্রধান অক্ষ বলে।

প্রশ্ন-৭. অ্যাকুয়াস হিউমার কাকে বলে?
উত্তর : কর্নিয়া ও চক্ষু লেন্সের মধ্যবর্তী স্থান যে স্বচ্ছ লবণাক্ত জলীয় পদার্থে পূর্ণ থাকে, তাকে অ্যাকুয়াস হিউমার বলে।

প্রশ্ন-৮. আলোক কেন্দ্র কী?
উত্তর : লেন্সের প্রধান আরও ওপর অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট বিন্দু, যার মধ্য দিয়ে কোনো রশ্মি অতিক্রম করলে প্রতিসরণের পর লেন্সের অপর পৃষ্ঠ থেকে নির্গত হওয়ার সময় আপতিত রশ্মি সমান্তরালভাবে নির্গত হয়, তাকে আলোককেন্দ্র বলে।

প্রশ্ন-৯. ক্রান্তি কোণ কাকে বলে?
উত্তর : আলোকরশ্মি ঘন থেকে লঘুতর মাধ্যমে গমনের সময় একটি নির্দিষ্ট আপতন কোণের জন্য প্রতিসরণ কোণ ৯০ ডিগ্রি হয়, অর্থাৎ প্রতিসৃত রশ্মি বিভেদতল ঘেঁষে যায়। ওই আপতন কোণকে ক্রান্তি কোণ বলে।

প্রশ্ন-১০. স্নেলের সূত্রটি লেখ।
উত্তর : এক জোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রুব থাকে।

প্রশ্ন-১১. এক ডাই-অপ্টার কী?
উত্তর : এক মিটার ফোকাস দূরত্ববিশিষ্ট কোনো লেন্সের ক্ষমতাকে এক ডাই-অপ্টার বলে।

প্রশ্ন-১২. প্রতিসরণাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর : এক জোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। ধ্রুব সংখ্যাকে প্রথম মাধ্যম সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরণাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন-১৩. দর্শনানুভূতির স্থায়িত্বকাল কাকে বলে?
উত্তর : চোখের সামনে কোনো বস্তু রেখে চোখ থেকে বস্তুটি সরিয়ে নেওয়ার পর ০.১ সেকেন্ড পর্যন্ত এর অনুভূতি মস্তিষ্কে থেকে যায়। এই সময়কালকে দর্শনানুভূতির স্থায়িত্বকাল বলে।

প্রশ্ন-১৪. লেন্সের ক্ষমতা কাকে বলে?
উত্তর : সমান্তরালভাবে আসা আলোকরশ্মিগুচ্ছকে  কোনো লেন্সের অভিসারী বা অপসারী করার সামর্থ্যকে লেন্সের ক্ষমতা বলে।

প্রশ্ন-১৫. স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্ব কী?
উত্তর : যে নিকটতম দূরত্ব পর্যন্ত চোখ বিনা শান্তিতে স্পষ্ট দেখতে পায়, তাকে স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্ব বলে। স্বাভাবিক চোখের জন্য স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্ব প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার।

প্রশ্ন-১৬. পূর্ণ-অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর : আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমের বিভেদতলে ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় কোণে আপতিত হয়, তখন আলোকরশ্মি প্রতিসরিত না হয়ে প্রতিফলনের সূত্রানুসারে আবার ঘন মাধ্যমে পূর্ণরূপে প্রতিফলিত হয়। একে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বলে।

প্রশ্ন-১৭. উত্তল লেন্সের মতো ধনাত্মক না ঋণাত্মক?
উত্তর : উত্তল লেন্সের মতো ধনাত্মক।

প্রশ্ন-১৮. দর্পণের ফোকাসতল কী?
উত্তর : গোলীয় দর্পণের প্রধান ফোকাসের মধ্য দিয়ে প্রধান অক্ষের সঙ্গে লম্বভাবে যে সমতল কল্পনা করা হয়, তাকে দর্পণের ফোকাসতল বলে।

প্রশ্ন-১৯. আলোর কোন ধর্ম কাজে লাগিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার তৈরি করা হয়?
উত্তর : আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ধর্মকে কাজে লাগিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার তৈরি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *