ক্লোরো ফ্লোরো কার্বনকে সংক্ষেপে সিএফসি (CFC) বলা হয়। এতে রয়েছে কার্বন, ক্লোরিন, হাইড্রোজেন ও ফ্লোরিন। ১৯২০ এর দশকে CFC আবিষ্কৃত হয়। এটি একটি গ্রিনহাউজ গ্যাস, যা ওজোনস্তরের সাথে বিক্রিয়া করে একে ফুটো করে দেয়। ফলে অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে এসে পৌঁছে, যা মানুষের চর্মরোগ, ক্যান্সার ও অন্যান্য মারাত্মক রোগের জন্য দায়ী। রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনারে CFC ব্যবহার করা হয়। রেফ্রিজারেটরে CFC গ্যাস ফ্রেয়ন নামে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সিএফসি (CFC) কী ক্ষতি করে?
১. প্রাণীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়;
২. ত্বকের ক্যান্সার, চোখের ছানি এবং বিভিন্ন মারাত্মক রোগ সৃষ্টি;
৩. খাদ্যশস্যের ক্ষতি করে এবং উৎপাদন কমিয়ে দেয়;
৪. কৃষিক্ষেত্রে পোকামাকড়ের আক্রমণ বৃদ্ধি করে;
৫. খাদ্য উৎপাদনকারী শৈবাল ও প্লাঙ্ককটন ধ্বংস করে।
৩. খাদ্যশস্যের ক্ষতি করে এবং উৎপাদন কমিয়ে দেয়;
৪. কৃষিক্ষেত্রে পোকামাকড়ের আক্রমণ বৃদ্ধি করে;
৫. খাদ্য উৎপাদনকারী শৈবাল ও প্লাঙ্ককটন ধ্বংস করে।
সিএফসি (CFC) এর ব্যবহার
১। কীটনাশক ও পােকামাকড় দমনের জন্য বিষাক্ত দ্রবণ তৈরিতে দ্রাবক হিসাবে CFC ব্যবহার করা হয়।
২। শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইনহেলার, মেডিক্যাল স্প্রে-প্রভূতি ক্ষেত্রে CFC ব্যবহার করা হয়।
৪। সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করার কাজে CFC ব্যবহার করা হয়।
৫। CFC এর ফুটনাংক কম হওয়ায় বিভিন্ন ধরণের রেফ্রিজারেশন এবং শীতাতাপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়।
৬। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে CFC যৌগের ব্যবহার রয়েছে।