প্রথম অধ্যায় : প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান
প্রশ্ন-১. ফিতাকৃমি কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তর : ফিতাকৃমি প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণী।
প্রশ্ন-২. উট কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তর : কর্ডাটা।
প্রশ্ন-৩. কোন প্রাণীর হিমোসিল থাকে?
উত্তর : চিংড়ি।
প্রশ্ন-৪. কেঁচো কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তর : অ্যানেলিডা।
প্রশ্ন-৫. কর্ডাটাকে কয়টি উপপর্বে বিভক্ত করা হয়?
উত্তর : ৩।
প্রশ্ন-৬. মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম লিখ।
উত্তর : মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens.
প্রশ্ন-৭. কোন উপপর্বের প্রাণীদের দেহে সারাজীবনই নটোকর্ড উপস্থিত থাকে?
উত্তর : সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের দেহে সারাজীবনই নটোকর্ড উপস্থিত থাকে।
প্রশ্ন-৮. শ্রেণিবিন্যাসের জনক কে?
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের জনক ক্যারোলাস লিনিয়াস।
প্রশ্ন-৯. হিমোসিল কী?
উত্তর : যেসব দেহ গহ্বর রক্ত দ্বারা পূর্ণ থাকে তাকে হিমোসিল বলে।
প্রশ্ন-১০. পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা সাধারণভাবে কী নামে পরিচিত?
উত্তর : পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা সাধারণভাবে স্পঞ্জ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-১১. নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহ গহ্বরকে কী বলে?
উত্তর : নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহ গহ্বরকে সিলেন্টেরন বলে।
প্রশ্ন-১২. ভ্রুণস্তর কী?
উত্তর : ভ্রুণের যেসব কোষীয় স্তর থেকে পরবর্তী টিস্যু বা অঙ্গ সৃষ্টি হয় তাদের ভ্রুণস্তর বলে।
প্রশ্ন-১৩. ICZN এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : ICZN এর পূর্ণরূপ হলো– International Code of Zoological Nomenclature.
প্রশ্ন-১৪. নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের পূর্বনাম কী ছিল?
উত্তর : সিলেন্টারেটা।
প্রশ্ন-১৫. প্রাণিজগতের বৃহত্তম পর্ব কোনটি?
উত্তর : প্রাণিজগতের বৃহত্তম পর্ব আর্থ্রোপোডা।
প্রশ্ন-১৬. ক্ষতিকর পোকাদের কী বলা হয়?
উত্তর : ক্ষতিকর পোকাদের পেস্ট বলা হয়।
প্রশ্ন-১৭. কাদের ভার্টিব্রাটা বলা হয়?
উত্তর : প্রাণিজগতের কতকগুলো প্রাণী যাদের মধ্যে নটোকর্ড, স্নায়ুরজ্জু ও গলবিলীয় ফুলকা ছিদ্র আছে। এরাই ভার্টিব্রাটা নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-১৮. শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচের ধাপ বা একক কী?
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচের ধাপ বা একক হলো প্রজাতি।
প্রশ্ন-১৯. সরীসৃপ শ্রেণির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : সরীসৃপ শ্রেণির দুটি বৈশিষ্ট্য হলো–
i. এরা বুকে ভর করে চলে।
ii. এদের ত্বক শুষ্ক ও আঁইশযুক্ত।
প্রশ্ন-২০. হাইড্রা কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তর : হাইড্রা নিডারিয়া পর্বের প্রাণী।
প্রশ্ন-২১. হাইড্রার ২টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর : হাইড্রার ২টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো–
১. দেহ দুটি ভ্রুণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত।
২. নিডোব্লাস্ট নামে এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে।
প্রশ্ন-২২. সিলোম কী?
উত্তর : বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিকনালি এবং দেহ প্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা হলো সিলোম।
প্রশ্ন-২৩. শ্রেণিবিন্যাস কী?
উত্তর : সহজে সু-শৃঙ্খলভাবে বিশাল প্রাণিজগৎকে জানার জন্য এর বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
প্রশ্ন-২৪. স্পনজিলা কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তর : স্পনজিলা পরিফেরা পর্বের প্রাণী।
প্রশ্ন-২৫. আরশোলার দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর কী নামে পরিচিত?
উত্তর : আরশোলার দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-২৬. সন্ধিপদযুক্ত উপাঙ্গ কোন পর্বের প্রাণীতে বিদ্যমান?
উত্তর : সন্ধিপদযুক্ত উপাঙ্গ আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীতে বিদ্যমান।
প্রশ্ন-২৭. কোন পর্বের প্রাণীর রেচন অঙ্গ নেফ্রিডিয়া?
উত্তর : অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীর রেচন অঙ্গ নেফ্রিডিয়া।
প্রশ্ন-২৮. নেমাটোডা পর্বের অন্য নাম কী?
উত্তর : নেমাটোডা পর্বের অন্য নাম নেমাথেলমিনথিস।
প্রশ্ন-২৯. ফিতাকৃমির রেচন অঙ্গের নাম কী?
উত্তর : ফিতাকৃমির রেচন অঙ্গের নাম শিখা অঙ্গ।
প্রশ্ন-৩০. Spongilla কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তর : Spongilla পরিফেরা পর্বের প্রাণী।
প্রশ্ন-৩১. দ্বি-পদ নামকরণ কাকে বলে?
উত্তর : গণ এবং প্রজাতিক নাম নিয়ে কোনাে প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নামকরণকে দ্বিপদ নামকরণ বলে।
প্রশ্ন-৩২. কোনো প্রাণীর দ্বিপদ নামে কয়টি অংশ থাকে? এ অংশগুলো কী কী?
উত্তর : প্রাণীর দ্বিপদ নামে দুইটি অংশ থাকে। দ্বিপদ নামের অংশ দুটি হলো– গণ (Genus) ও প্রজাতি (Species)।
প্রশ্ন-৩৩. মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম লেখাে।
উত্তর : মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম– Homo sapiens.
প্রশ্ন-৩৪. শিখাকোষ কী?
উত্তর : প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীদের রেচন তন্ত্র হলো শিখা কোষ।
প্রশ্ন-৩৫. অ্যানিম্যালিয়া জগৎকে কয়টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর : অ্যানিম্যালিয়া জগৎকে নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে।
প্রশ্ন-৩৬. শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে?
উত্তর : বিশাল প্রাণিজগৎকে সহজে সু-শৃঙ্খলভাবে জানার জন্য এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
প্রশ্ন-৩৭. দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বােঝ?
প্রশ্ন-৩৮. শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে জানা যায়। উদ্ভিদ ও প্রাণীর নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য। শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে প্রাণিকুল ও উদ্ভিদজগতের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, গঠন এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ধারণা লাভ করা যায়। তাই শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম।
- দেহ নলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত।
- পৌষ্টিকনালি সম্পূর্ণ, মুখ ও পায়ু ছিদ্র উপস্থিত।
- শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত।
- সাধারণত একলিঙ্গ।
- দেহ গহ্বর অনাবৃত ও প্রকৃত সিলোম নেই।
উত্তর : কুনােব্যাঙ জীবনের প্রথম অবস্থায় অর্থাৎ ব্যাঙাচি থাকা অবস্থায় পানিতে বাস করে এবং মাছের মতাে বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। আবার পরিণত বয়সে এরা ডাঙায় বাস করে এবং ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলাে উভচর প্রাণীর মধ্যে রয়েছে। তাই কুনােব্যাঙকে উভচয় প্রাণী বলা হয়।
প্রশ্ন-৪১. উভচর প্রাণী বলতে কী বােঝায়? ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে যারা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে বাস করে এবং মাছের মতাে বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়, পরিণত বয়সে ডাঙায় বাস করে তাদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়। যেমন : কুনােব্যাঙ।
প্রশ্ন-৪২. নিডােব্লাস্ট হাইড্রার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ— ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : হাইড্রার দেহ দুটি ভ্রূণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত। দেহের ভেতরের দিকের স্তরটি এন্ডােডার্ম এবং বাইরের দিকের স্তরটি এক্টোডার্ম। এক্টোডার্মে নিডােব্লাস্ট নামে এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে। যা শিকার ধরা, আত্মরক্ষা, চলন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়। তাই বলা যায়, নিডােব্লাস্ট হাইড্রার একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ।
উত্তর : জীবদেহে বিদ্যমান বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জীবদেরকে বিভিন্ন স্তর বা ধাপে পর্যায়ক্রমে সাজানাের পদ্ধতিকে বলা হয় শ্রেণিবিন্যাস। বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে মিল, অমিল ও পরস্পরের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করেই এই শ্রেণিবিন্যাস করা হয়।
উত্তর : আর্থ্রোপোডা পর্বের দুইটি বৈশিষ্ট্যঃ
- দেহ খণ্ডায়িত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
- মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
প্রশ্ন-৪৫. ইউরোকর্ডাটার বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তরঃ ইউরোকর্ডাটার বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ–
i. প্রাথমিক অবস্থায় এদের ফুলকা রন্ধ্র থাকে।
ii. এদের পৃষ্ঠদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ফাঁকা মেরুরজ্জু থাকে।
iii. এদের লেজে নটোকর্ড থাকে।
iv. এদের গলবিল প্রশস্ত ও অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত।