কোষ প্রাচীর কি? কোষ প্রাচীরের গঠন ও কাজ।

কোষপ্রাচীর বলতে কোষের সেই অংশকে বুঝানো হয় যা উদ্ভিদকোষের সর্বাপেক্ষা বাইরের দিকে থাকে। কোষপ্রাচীর উদ্ভিদ কোষের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এটি মৃত বা জড়বস্তু দিয়ে তৈরি। প্রাণিকোষে কোষপ্রাচীর থাকে না। কোষপ্রাচীরের রাসায়নিক গঠন বেশ জটিল, এতে সেলুলােজ, হেমিসেলুলােজ, লিগনিন, পেকটিন, সুবেরিন নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে।

তবে ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীর প্রােটিন, লিপিড ও পলিস্যাকারাইড দিয়ে এবং ছত্রাকের কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে তৈরি। প্রাথমিক কোষপ্রাচীরটি একস্তরবিশিষ্ট। মধ্য পর্দার উপর প্রােটোপ্লাজম থেকে নিঃসৃত কয়েক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য জমা হয়ে ক্রমশ গৌণপ্রাচীর সৃষ্টি হয়। এ প্রাচীরে মাঝে মাঝে ছিদ্র থাকে, যাকে কূপ বলে। কোষপ্রাচীর কোষকে দৃঢ়তা প্রদান করে, কোষের আকার ও আকৃতি বজায় রাখে। পাশের কোষের সাথে প্লাজমােডেজমাটা (আণুবীক্ষণিক নালি) সৃষ্টির মাধ্যমে যােগাযােগ রক্ষা করে এবং পানি ও খনিজ লবণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।

রাসায়নিক গঠন
কোষপ্রাচীরের প্রধান উপাদান হচ্ছে সেলুলোজ নামক একটি নিষ্ক্রিয় পলিস্যাকারাইড। সেলুলোজ ছাড়াও কোষপ্রাচীরে যে সকল কার্বোহাইড্রেট থাকে তার মধ্যে হেমিসেলুলোজ ও পেকটিনসই প্রধান। কোষপ্রাচীরে অবস্থিত পেকটিন তিন প্রকার, যথা– প্রোপেকটিন, পেকটিন এবং পেকটিক এসিড। কোষপ্রাচীরের উপাদান হিসেবে যেসব হেমিসেলুলোজ পাওয়া যায় তাদের মধ্যে জাইলান, মানান, গ্লুকান, ও গ্যালাকটান উল্লেখযোগ্য। এছাড়া কোষপ্রাচীরে লিগনিন, কিউটিন, সুবেরিন ও মোম জাতীয় পদার্থও অবস্থান করতে পারে।

কোষপ্রাচীরের কাজ
কোষ প্রাচীর কোষকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে। কোষকে দৃঢ়তা প্রদান করে। কোষের আকার ও আকৃতি বজায় রাখে। পানি ও খনিজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।

 

এখানে যা শিখলাম–
কোষপ্রাচীর কি?; কোষপ্রাচীর এর গঠন; কোষপ্রাচীর এর কাজ কি? কোষ প্রাচীর কি কি দিয়ে গঠিত?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *