পড়াশোনা

তড়িৎ রসায়ন বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর

1 min read
প্রশ্ন-১. তড়িৎ রাসায়নিক সারণি কি?
উত্তর :
 তড়িৎ রাসায়নিক সারণি হলাে মৌলের সক্রিয়তার সিরিজ।

প্রশ্ন-২. গ্রাফাইটের ক্ষেত্রে ফ্যারাডের সূত্র প্রযোজ্য নয় কেন?
উত্তর : ফ্যারাডের সূত্র শুধুমাত্র আয়নিক তথা তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ধাতব পরিবাহীর তথা ইলেকট্রনীয় পরিবাহীর ক্ষেত্রে ফ্যারাডের সূত্র প্রযোজ্য নয়। কিন্তু গ্রাফাইটে ইলেকট্রন চলাচলের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহিত হয়। ফলে গ্রাফাইটের ক্ষেত্রে ফ্যারাডের সূত্রের কোনো প্রয়োগ নেই।

প্রশ্ন-৩. তড়িৎ রাসায়নিক কোষ কি?
উত্তর :
 তড়িৎ রাসায়নিক কোষ হলো এমন একটি যন্ত্র যা রাসায়নিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে পরিণত করে। একজোড়া তড়িৎদ্বারকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য দ্রবণে আংশিকভাবে নিমজ্জিত করে এদেরকে একটি ধাতব তার দ্বারা সংযুক্ত করলে একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষ গঠিত হয়।

প্রশ্ন-৪. লেড স্টোরেজ ব্যাটারির তড়িচ্চালক বল কত?
উত্তর : লেড স্টোরেজ ব্যাটারির তড়িচ্চালক বল 2.03 ভোল্ট।

প্রশ্ন-৫. ধাতব বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী কাকে বলে?
উত্তর :
 যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তাদের ধাতব বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলে।

প্রশ্ন-৬. ইলেকট্রোড কি?
উত্তর :
 ইলেকট্রোড হলো তড়িৎ রাসায়নিক কোষে ব্যবহৃত দুটি ধাতব পাত যার একটিতে জারণ এবং অপরটিতে বিজারণ ঘটে।

প্রশ্ন-৭. প্রতিটি ব্যাটারিতে কয়টি অংশ থাকে?
উত্তর : প্রতিটি ব্যাটারিতে তিনটি প্রধান অংশ থাকে। যথাঃ- ১। অ্যানোড তড়িৎদ্বার বা ঋণাত্মক তড়িৎদ্বার, ২। ক্যাথোড তড়িৎদ্বার বা ধনাত্মক তড়িৎদ্বার, ৩। তড়িৎ বিশ্লেষ্য।

প্রশ্ন-৮. হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল (Hydrogen fuel cell) কাকে বলে?
উত্তর :
 হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে যে সেল তৈরি করা হয় তাকে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বলে।

প্রশ্ন-৯. তড়িৎ প্রলেপন কাকে বলে?
উত্তর :
 তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি ধাতুর উপর অন্য একটি ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎ প্রলেপন বলে। মরিচা পড়া রোধ করার জন্য, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য তড়িৎ প্রলেপন করা হয়।

প্রশ্ন-১০. সেকেন্ডারি সেল কাকে বলে?
উত্তর :
 যে সেল একবার ব্যবহার করার পর শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেলেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় সেলকে আবার কার্যোপযোগী করা যায়, তাকে সেকেন্ডারি সেল বলে।

প্রশ্ন-১১. তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে? তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের উদাহরণ
উত্তর :
 যেসব পদার্থ তড়িৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে অন্য পদার্থে পরিণত হয় তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। যেমন– খাবার লবণ (NaCl)।

প্রশ্ন-১২. প্রমাণ তড়িদদ্বার বিভব কি?
উত্তর :
 25°C তাপমাত্রায় 1 atm চাপে 1.0M ঘনমাত্রার তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণে কোনো তড়িদদ্বারকে ডুবালে ঐ তড়িদদ্বারে যে বিভব বৈষম্যের সৃষ্টি হয় তাকে প্রমাণ তড়িদদ্বার বিভব বলে।

প্রশ্ন-১৩. ক্যালোমেল তড়িৎদ্বার কি?
উত্তর : ক্যালোমেল তড়িৎদ্বার হলো একটি সেকেন্ডারি নির্দেশক তড়িৎদ্বার।

প্রশ্ন-১৪. PEM ফুয়েল সেল কি?
উত্তর :
 PEM-এর পূর্ণরূপ হলো Proton Exchange Membrane। প্রোটনকে মেমব্রেনের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করার মাধ্যমে, অর্থাৎ প্রোটন এক্সচেঞ্জ জ্বালানি কোষ ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যান্ত্রিক বিন্যাসকে PEM ফুয়েল সেল বলে।

প্রশ্ন-১৫. লবণ সেতুর কাজ কি কি?
উত্তর :
 লবণ সেতু মূলত দুটি কাজ করে–
১. লবণ সেতু উভয় অর্ধ-কোষের মধ্যে পরোক্ষ সংযোগ স্থাপন করে কোষের বর্তনী পূর্ণ করে।
২. লবণ সেতু উভয় তরলের মধ্যে প্রয়োজন মতো ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন বিনিময়ের ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমরূপে কাজ করে।

প্রশ্ন-১৬. গোল্ড বায়ুর কোনো উপাদান দ্বারা আক্রান্ত হয় না কেন?
উত্তর : গোল্ড (Au) ধাতু সক্রিয়তা সিরিজের সবচেয়ে নিচে অবস্থিত। এটি নিষ্ক্রিয় প্রকৃতির। এটি বায়ুর উপাদান দ্বারা আক্রান্ত হয় না। অর্থাৎ আয়রন (Fe)-এর মতো অক্সিজেন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে জারিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘদিন যাবৎ অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে।

প্রশ্ন-১৮. বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে না কেন?
উত্তর :
 বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে না। কারণ, বিশুদ্ধ পানিতে খুবই সামান্য পরিমাণে H+ ও OH− আয়ন উৎপন্ন হয় যা গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে তড়িৎ পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় আয়ন বিশুদ্ধ পানিতে পাওয়া যায় না। তাই বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহনও করে না।

প্রশ্ন-২০. ডিসচার্জিং কি?
উত্তর : ডিসচার্জিং হলো ব্যাটারির চার্জ ড্রেইনিং প্রক্রিয়া যেখানে ব্যাটারি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারের ফলে কোনো জুস ব্যাটারিতে আবিষ্ট থাকে না।

প্রশ্ন-২২. এক ফ্যারাডে কাকে বলে?
উত্তর :
 তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এক গ্রাম তুল্য ভর পরিমাণ যে কোনো বস্তু তড়িতদ্বারে সঞ্চিত বা তড়িৎবিশ্লেষ্যে দ্রবীভূত করতে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে এক ফ্যারাডে বলে।

প্রশ্ন-২৬. NaCl তড়িৎ বিশ্লেষ্য কেন?
উত্তর :
 NaCl এর দ্রবণে তড়িৎ প্রবাহিত করলে NaCl বিশ্লিষ্ট হয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে অন্য পদার্থে পরিণত হয়। আমরা জানি, যে সকল পদার্থ তড়িৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে অন্য পদার্থে পরিণত হয় তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে। তাই NaCl তড়িৎ বিশ্লেষ্য।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x