প্রশ্ন-১. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি প্রতিষ্ঠা করেন কে?
উত্তর :
 ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ।

প্রশ্ন-২. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
উত্তর :
 ১৩৩৮ সালে।

প্রশ্ন-৩. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি আমল ছিল কত বছর?
উত্তর :
 প্রায় দুইশ বছর।

প্রশ্ন-৪. স্বাধীন সুলতানি যুগ শেষ হয় কত সালে?
উত্তর :
 ১৫৩৮ সালে।

প্রশ্ন-৫. পাল রাজারা প্রায় কত বছর এদেশ শাসন করেন?
উত্তর :
 চারশ বছর।

প্রশ্ন-৬. বাংলা ইতিহাসে প্রত্যক্ষ ঔপনিবেশিক শাসন শুরু হয় কীভাবে?
উত্তর :
 বিদেশি বণিকদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে।

প্রশ্ন-৭. ১২০৪ সালের পর বাংলার কোন অংশটি সেন শাসকরা শাসন করেন?
উত্তর :
 পূর্ব।

প্রশ্ন-৮. শশাঙ্কের পর বাংলায় কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর :
 পাল।

প্রশ্ন-৯. বাংলায় ইংরেজদের আধিপত্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবার কারণ কী ছিল?
উত্তর : দ্বৈতশাসন প্রবর্তন।
প্রশ্ন-১০. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ঘটে কখন?
উত্তর : ১৭৭০।
প্রশ্ন-১১. পর্তুগিজ নাবিক ভারতে প্রথম কোন বন্দরে আসেন?
উত্তর : কালিকট।
প্রশ্ন-১২. কত সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় প্রবেশ করেছিল?
উত্তর : ১৬৩০।
প্রশ্ন-১৩. আলিবর্দি খাঁ কত সালে মৃত্যুণ করেন?
উত্তর : আলিবর্দি খাঁ ১৭৫৬ সালে মৃত্যুণ করেন।
প্রশ্ন-১৪. কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন কে?
উত্তর : কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ারেন হেস্টিংস।
প্রশ্ন-১৫. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে কত সালে?
উত্তর : বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে ১৫৩৮ সালে।
প্রশ্ন-১৬. ভারতে প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন কে?
উত্তর : ভারতে প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন লর্ড ক্যানিং।
প্রশ্ন-১৭. নবাব সিরাজউদ্দৌলা কত বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন?
উত্তর : নবাব সিরাজউদ্দৌলা ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন।
প্রশ্ন-১৮. সেনরা কোথা থেকে এসেছিল?
উত্তর : সেনরা এসেছিল দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক থেকে।
প্রশ্ন-১৯. ১৬০০ সালে ইংল্যান্ডে কোন কোম্পানি স্থাপিত হয়?
উত্তর : ১৬০০ সালে ইংল্যান্ডে ‘দি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ স্থাপিত হয়।
প্রশ্ন-২০. নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোন যুদ্ধে পরাজিত হন?
উত্তর : ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন নবাব সিরাজউদ্দৌলা পলাশির যুদ্ধে পরাজিত হন।
প্রশ্ন-২১. ভারত শাসন আইন পাস হয় কোন সালে?
উত্তর : ১৮৫৮ সালের ২ আগস্ট ভারত শাসন আইন পাস হয়।
প্রশ্ন-২২. স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন কে?
উত্তর : স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন রাজা শশাঙ্ক।
প্রশ্ন-২৩. ইউলিয়াম হেজেজ কে ছিলেন?
উত্তর : ১৬৮২ সালে বাংলায় নিযুক্ত ইংরেজ কোম্পানিগুলোর গভর্নর ছিলেন উইলিয়াম হেজেজ।
প্রশ্ন-২৪. মানসিংহ কোন মোঘল সম্রাটের সেনাপতি ছিলেন?
উত্তর : মানসিংহ মোঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি ছিলেন।
প্রশ্ন-২৫. ফরাসিরা কত সালে বাংলায় প্রবেশ করে?
উত্তর : ১৬৬৪ সালে ফরাসিরা বাংলায় প্রবেশ করে।
প্রশ্ন-২৬. ইউরোপের শান্তি চুক্তি কী নামে পরিচিত?
উত্তর : ইউরোপের শান্তি চুক্তি ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-২৭. মুসলিম লীগ কীসের ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির পরিকল্পনা প্রদান করেছিল?
উত্তর : মুসলিম লীগ দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির পরিকল্পনা প্রদান করেছিল।
প্রশ্ন-২৮. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে কত সালে?
উত্তর : বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে ১৫৩৮ সালে।
ঢাকার প্রাচীন নাম কী?
উত্তর : ঢাকার প্রাচীন নাম জাহাঙ্গীরনগর।
ঔপনিবেশিক শাসনের একটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : ঔপনিবেশিক শাসনের একটি বৈশিষ্ট্য হলো দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসে না।
S.S.I এর পূর্ণরূপ লেখ।
উত্তর : S.S.I এর পূর্ণরূপ হলো Secretary of State for India.

‘ইকলিম’ কী?

উত্তরঃ মুসলিম সুলতানদের বাংলায় প্রতিষ্ঠিত প্রদেশ বা বিভাগগুলোই হলো ইকলিম।

মাৎস্যন্যায় যুগ কাকে বলে?

উত্তরঃ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশ বছর ধরে বাংলায় যে অরাজকতা চলতে থাকে তাকে সংস্কৃত ভাষায় মাৎস্যন্যায় যুগ বলে।

 

প্রশ্ন-৩০. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : ১১৭৬ বঙ্গাব্দে (১৭৭০ সালে) বাংলা অঞ্চলে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল ইতিহাসে তা ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।

১৭৬৫ সালে বাংলার রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা লাভ করে ইংরেজ শাসকগণ প্রজাদের ওপর অতিরিক্ত মাত্রায় কর ধার্য করে। কর পরিশোধের চাপে কৃষকগণ প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। তাছাড়া ১৭৬৮ সাল থেকে টানা তিন বছর অনাবৃষ্টির ফলে ঠিকমতো ফসল উৎপাদন হয়নি। যতটুকু ফসল উৎপাদিত হতো তা আবার শাসকগোষ্ঠী কর হিসেবে নিয়ে নিত। ফলে দেখা দেয় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। এ দুর্ভিক্ষে প্রায় এক কোটি মানুষ মারা যায়, যা ছিল বাংলার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ।

 

প্রশ্ন-৩১. ইকলিম বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : ইকলিম বলতে মুসলিম সুলতানদের বাংলায় প্রতিষ্ঠিত প্রদেশ বা বিভাগগুলোকে বোঝায়।

১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলা জুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে। এ সময়ের মধ্যে বাংলার তিনটি অংশে দিল্লির মুসলিম সুলতানদের তিনটি প্রদেশ বা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভাগগুলোকে ফারসি ভাষায় ‘ইকলিম’ বলা হতো।

প্রশ্ন-৩৩. ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি কেন করা হয়েছিল?
উত্তর : ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি করা হয়েছিল।
১৬৪৮ সালে পূর্বে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুদ্ধের অবস্থা বিরাজ করছিল। এ অবস্থা নিরসনের জন্য ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়। একেই ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি বলে।
প্রশ্ন-৩৪. ইউরোপীয় বণিকদের বাণিজ্যের জন্য ভারতবর্ষ লক্ষ্য ছিল কেন?
উত্তর : ভারতবর্ষ সম্পদ ও ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধশালী হওয়ায় ইউরোপীয় বণিকদের বাণিজ্যের লক্ষ্য ছিল।
প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষ ধনসম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। এর মধ্যে বাংলার সিল্ক ও অন্যান্য মিহি কাপড় এবং মসলা বিদেশি বণিকদের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। ভারতবর্ষের ধন-সম্পদই ইউরোপীয় বণিকদের আকৃষ্ট করে।
প্রশ্ন-৩৫. ‘ভাগ কর এবং শাসন কর নীতি’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ব্রিটিশ শাসক কর্তৃক বাংলা ভাগের বিষয়টিই ‘ভাগ কর শাসন কর নীতি’ হিসেবে পরিচিত।
ঔপনিবেশিক শাসকরা স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় গড়ে ওঠা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে স্তিমিত করতে ইংরেজরা বাংলাকে দুই ভাগ করে। এই বিভক্তির মাধ্যমে তারা হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাঙন ধরাতে চেয়েছিলেন।
প্রশ্ন-৩৬. বাংলা ও ভারতে প্রতিষ্ঠিত শাসনকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয় কেন?
উত্তর : বৈশিষ্ট্যগত কারণে বাংলা ও ভারতে প্রতিষ্ঠিত শাসনকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয়।
ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসেনা। এক্ষেত্রে যতদিন শাসক হিসেবে থাকবে ততদিন সে সেই দেশের ধন-সম্পদ নিজ দেশে পাচার করবে। এভাবে অন্য কোনো দেশের ওপর জুড়ে বসাকে বলে দখলদারদের উপনিবেশ স্থাপন। তাই প্রথমে বাংলা এবং পরে ভারত উপমহাদেশে ইংরেজদের প্রতিষ্ঠিত শাসনকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা যায়।
প্রশ্ন-৩৭. দি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কীভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে?
উত্তর : দি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দখল নিয়েই ক্ষান্ত ছিল না। দিল্লিতে সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মোঘল সাম্রাজ্যে সংকট দেখা দেয়। সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় নবাব ও দেশীয় রাজারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দিল্লির মসনদও দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে কোম্পানির সৈন্যবাহিনী নানা দিকে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে।
প্রশ্ন-৩৮. ইউরোপীয়দের জন্য বাজার সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : কাঁচামাল ও উৎপাদিত সামগ্রীর জন্যে ইউরোপীয়দের বাজারের সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
ইউরোপের কোনো কোনো দেশে খনিজ সম্পদের আবিষ্কার, সমুদ্রপথে বাণিজ্যের বিস্তার এবং কারিগরি ও বাণিজ্যিক বিকাশের ফলে অর্থনীতি তেজি হয়ে উঠেছিল। এর ফলে চতুর্দশ শতাব্দী থেকে ইউরোপে যুগান্তকারী বাণিজ্য-বিপ্লবের সূচনা হয়। সে সময় তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও সংগঠনগুলো শক্তিশালী হতে শুরু করে। যার জন্য নিজেদের অর্থনীতিকে ছড়িয়ে দেয়ার তাগিদেই তারা বাজার সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে।
প্রশ্ন-৩৯. ইংরেজরা ‘ভাগ কর শাসন কর’ নীতি চালু করেছিল কেন?
উত্তর : বাঙালি নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য ইংরেজরা ‘ভাগ কর শাসন কর’ নীতি চালু করেছিল।
উপমহাদেশবাসী শুরু থেকেই এক অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিল। এটি ইংরেজদের সকল কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই তারা এ চেতনাকে বিনষ্ট করে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার নীতি গ্রহণ করে। এ কারণে ইংরেজ শাসকগোষ্ঠী হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়কে আলাদা করে শাসন করার নীতি গ্রহণ করে।
Rate this post

By Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.