চূর্ণীকৃত কয়লা কাকে বলে? কয়লা চূর্ণীকরণের সুবিধা ও অসুবিধা।

অক্সিজেনের সঙ্গে সার্বিক সংস্পর্শের অভাবে কয়লা তথা যে কোন কঠিন জ্বালানীর দহনের গতি কম হয়। দহনের গতি বাড়ানোর জন্য কয়লাকে সূক্ষ্ম গুঁড়োয় পরিণত করা হয়, সূক্ষ্ম গুঁড়োয় পরিণত করলে কয়লার মুক্ত তলের পরিমাণ বেড়ে যায়, কয়লার গুঁড়ো সহজেই বাতাসের সংস্পর্শে আসে, কয়লাতে উপস্থিত উদ্বায়ী পদার্থগুলি দ্রুত নির্গত হয় এবং স্থিরীকৃত কার্বনের দহন দ্রুত হয়। এই সূক্ষ্ম গুঁড়োয় পরিণত কয়লাকে চূর্ণীকৃত কয়লা বলে।

 

কয়লা চূর্ণীকরণের সুবিধা হলোঃ

১) একে সহজেই স্ক্রুকনভেয়র বা বাতাসের প্রবাহের সাহায্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করা যায়।

২) কয়লা গুঁড়োর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে দহনের গতি নিয়ন্ত্রিত করা যায়।

৩) চূর্ণীকৃত কয়লার দহন প্রয়োজন অনুযায়ী শুরু বা বন্ধ করা যায়।

৪) উচ্চ ছাইযুক্ত নিম্নমানের কয়লাও সুবিধাজনকভাবে ব্যবহার করা যায়।

কয়লা চূর্ণীকরণে অসুবিধাঃ

১) চূর্ণীকরণের জন্য অতিরিক্ত খরচ হয়।

২) চূর্ণীকৃত কয়লার দহনের ফলে যে ছাই তৈরি হয় তা খুবই সূ্ক্ষ্ম গুঁড়োর আকারের হয় এবং এর অধিকাংশই নির্গত গ্যাসের সঙ্গে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে পারিপার্শ্বিক অঞ্চল নোংরা ও দূষিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *