প্রশ্ন-১. রাসায়নিক বন্ধন কাকে বলে?
উত্তর : যে আকর্ষণ শক্তির বলে অণুতে বিদ্যমান পরমাণুগুলো পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে তাকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।
প্রশ্ন-২. সাধারণত কোন ধরনের যৌগ তড়িৎ পরিবহন করে?
উত্তর : সাধারণত আয়নিক যৌগ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে।
প্রশ্ন-৩. CsF কী ধরনের যৌগ?
উত্তর : CsF আয়নিক যৌগ।
প্রশ্ন-৪. যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে?
উত্তর : কোন মৌলের সর্বশেষ প্রধান শক্তিস্তরের মোট ইলেকট্রন সংখ্যাকে সেই মৌলের যোজন ইলেকট্রন বা যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে।
প্রশ্ন-৫. দর্শক আয়ন কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল আয়ন বিক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণ না করেও বিক্রিয়ক এবং উৎপাদে অবস্থিত থাকে, তাকে দর্শক আয়ন বলে।
প্রশ্ন-৬. সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?
উত্তর : অধাতব পরমানুসমূহের সংযোগের সময় সংশ্লিষ্ট পরমাণুসমূহের সর্বশেষ শক্তিস্তরে স্থায়ী ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠিত হয়, তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।
প্রশ্ন-৭. ক্যাটায়ন কাকে বলে?
উত্তর : ধনাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণুকে ক্যাটায়ন বলে।
প্রশ্ন-৮. ধাতব বন্ধন কাকে বলে?
উত্তর : ধাতব পরমাণুগুলো যে আকর্ষণ বল দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে তাকে ধাতব বন্ধন বলে।
প্রশ্ন-৯. পোলারিটি কাকে বলে?
উত্তর : সমযোজী যৌগের অণুতে বন্ধনে আবদ্ধ পরমাণুগুলোর তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য ঘটলে আংশিক ধনাত্মক ও আংশিক ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট যে প্রান্তের সৃষ্টি হয় তাকে পোলারিটি বলে।
প্রশ্ন-১০. অ্যাসিড কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল যৌগ ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে সেই সকল যৌগকে অ্যাসিড বলে।
প্রশ্ন-১১. যোজনী কাকে বলে?
উত্তর : কোনো মৌলের অন্য মৌলের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সামর্থ্যকে ঐই মৌলের যোজনী বলে।
প্রশ্ন-১২. পোলার সমযোজী যৌগ কাকে বলে?
উত্তর : যে সমযোজী যৌগে পোলারিটির সৃষ্টি হয় তাকে পোলার সমযোজী যৌগ বলে।
প্রশ্ন-১৩. বন্ধন কোণ কাকে বলে?
উত্তর : অণুর দুটি বন্ধন দৈর্ঘ্যের মধ্যস্থিত কোণকে বন্ধন কোণ (Bond angle) বলে। যেমন– CH4 অণুতে H – C – H কোণের পরিমাণ 109°28’।
প্রশ্ন-১৪. HCl একটি পোলার সমযোজী যৌগ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : হাইড্রোজেন ও ক্লোরিন পরমাণু তাদের সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে HCl সমযোজী যৌগটি গঠন করে। HCl অণুতে H অপেক্ষা Cl অধিক তড়িৎঋণাত্মক হওয়ায় Cl পরমাণু শেয়ারকৃত ইলেকট্রনকে নিজের দিকে টেনে নেয়। ফলে Cl আংশিক ঋণাত্মক এবং H আংশিক ধনাত্মক চার্জযুক্ত হয়ে পড়ে। এ কারণে HCl কে পোলার সমযোজী যৌগ বলে।
প্রশ্ন-১৫. নিউক্লিয়ন সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর : পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে নিউক্লিয়ন সংখ্যা বলে।
অষ্টক কাকে বলে?
উত্তর : একটি পরমাণুর সর্ববহিস্থ স্তরে বা কক্ষপথে সুস্থিত আটটি ইলেকট্রনের সেটকে অষ্টক বলে। নিস্ক্রিয় গ্যাসসমূহের পরমাণুতে (হিলিয়াম এর ক্ষেত্রে ২টি ইলেকট্রন থাকে) অষ্টক বিদ্যমান।
অক্সিজেনের যোজনী ও যোজনী ইলেকট্রন এক নয়– ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : অক্সিজেনের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে 6টি ইলেকট্রন থাকায় এর যোজনী ইলেকট্রন 6। কিন্তু অষ্টক পূরণের মাধ্যমে বন্ধন সৃষ্টি করতে এর দুইটি ইলেকট্রন প্রয়োজন। তাই এর যোজনী 2। সুতরাং অক্সিজেনের যোজনী ও যোজনী ইলেকট্রন এক নয়।
কার্বন কেন আয়নিক যৌগ গঠন করে না? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা 6; এর ইলেকট্রন বিন্যাস 1s2s22p2। এই ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় যে, কার্বন পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষপথে 4টি ইলেকট্রন রয়েছে। আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জনের জন্য একে ঐ 4টি ইলেকট্রন বর্জন অথবা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু এত অধিকসংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন বাস্তবে সম্ভব নয়। তাই কার্বন আয়নিক যৌগ গঠন করে না।