পড়াশোনা

পদার্থ কি? পদার্থের প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য কি কি?

1 min read

পদার্থ হলো এমন এক বস্তু যার ভর ও আয়তন আছে এবং বল প্রয়োগে কিছু না কিছু বাধা প্রদানে করে।

পদার্থের প্রকারভেদ

গঠনগত, গুণগত, অবস্থানগত বিভিন্ন ভিত্তিতে পদার্থকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। অবস্থানগতভাবে পদার্থকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা– ১. কঠিন, ২. তরল এবং ৩. বায়বীয় বা গ্যাসীয়। বস্তুত পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা– ১. বিশুদ্ধ পদার্থ ও ২. অবিশুদ্ধ পদার্থ বা মিশ্র পদার্থ। একটিমাত্র বস্তু নিয়ে গঠিত সমসত্ত্ব পদার্থকে বিশুদ্ধ পদার্থ বলে। একাধিক বিশুদ্ধ পদার্থের মিশ্রণকে অবিশুদ্ধ পদার্থ বলে, যা সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব দুই-ই হতে পারে। বিশুদ্ধ পদার্থকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা– ১. মৌলিক পদার্থ ও ২. যৌগিক পদার্থ।

মৌলিক এবং যৌগিক পদার্থের মধ্যে পার্থক্য

যে পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করলে ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না, তা-ই মৌলিক পদার্থ। যেমন: কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), লৌহ (Fe) ইত্যাদি। কার্বনকে যত ভাগে ভাগ করা হোক না কেন কার্বনই পাওয়া যাবে। একইভাবে হাইড্রোজেনকে ভাগ করলেও শুধু হাইড্রোজেনই পাওয়া যায়।

আর যৌগিক পদার্থ হলো সেই সকল পদার্থ, যাদেরকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করলে একাধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। যেমন– পানি (H2O) একটি যৌগিক পদার্থ। এখানে পানিকে ভাগ করলে হাইড্রোজেন (H2) ও অক্সিজেন (O) পাওয়া যাবে। মৌলিক পদার্থের সংখ্যা সীমিত হলেও যৌগিক পদার্থের অসীম সংখ্যক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

পদার্থের বৈশিষ্ট্য

পদার্থের নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো–

  1. পদার্থ জায়গা দখল করে।
  2. পদার্থের নির্দিষ্ট ওজন আছে।
  3. বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে।
  4. তাপ দিলে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয়।
  5. পদার্থ একাধিক অবস্থায় থাকে পারে।

উদাহরণ : পানি একটি পদার্থ। এর ওজন আছে, জায়গা দখল করে, বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে। পানিকে তাপ দিলে পানি বাষ্পে পরিণত হয় আবার তাপ অপসারণ করলে তরলে পরিণত হয়। আরও অধিক পরিমাণে তাপ অপসারণ করলে কঠিন বরফে পরিণত হয়।

5/5 - (41 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x