নবম অধ্যায় : অপুষ্টি, অষ্টম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। অপুষ্টিজনিত রোগ কাকে বলে?
উত্তরঃ পুষ্টি উপাদানগুলোর অভাবে আমাদের শরীরে যে অভাবজনিত লক্ষণগুলো দেখা দেয় তাদেরকে অপুষ্টিজনিত রোগ কাকে বলে।
প্রশ্ন-২। কোয়াশিয়রকর রোগের অপর নাম কি?
উত্তরঃ গা ফোলা।
প্রশ্ন-৩। সাধারণত কত বছর বয়সের শিশুরা কোয়াশিয়রকর রোগে আক্রান্ত হয়?
উত্তরঃ ১-৪ বছর।
প্রশ্ন-৪। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল কি কি?
উত্তরঃ ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল হলো- আমলকি, আনারস, কামরাঙ্গা।
প্রশ্ন-৫। PCM-এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তরঃ Protein Calorie Malnutrition.
প্রশ্ন-৬। সাধারণত কত ধরনের PCM দেখা যায়?
উত্তরঃ ২ ধরনের।
প্রশ্ন-৭। ‘মুনফেস’ কোন রোগের লক্ষণ?
উত্তরঃ কোয়াশিয়রকর।
প্রশ্ন-৮। হাড্ডিসার রোগের অন্য নাম কি?
উত্তরঃ ম্যারাসমাস।
প্রশ্ন-৯। ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়?
উত্তরঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেট ও অস্টিওম্যালেসিয়া রোগ হয়।
প্রশ্ন-১০। পটবেলি কাকে বলে?
উত্তরঃ ম্যারাসমাস রোগে আক্রান্ত শিশুর পেট বাটির মতো আকৃতি হলে এ অবস্থাকে পটবেলি বলে।
প্রশ্ন-১১। ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের কোন রোগ হয়?
উত্তরঃ ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হয়।
প্রশ্ন-১২। কোয়াশিয়রকর রোগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কোয়াশিয়রকর এর অপর নাম গা ফোলা রোগ। সাধারণত ১-৪ বছর বয়সের শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। শিশুদের খাদ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকলে ও প্রোটিনের অভাবে এ রোগ দেখা দেয়।
প্রশ্ন-১৩। ম্যারাসমাস রোগে আক্রান্ত শিশুর শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন হয়?
উত্তরঃ ম্যারাসমাস রোগে আক্রান্ত শিশুর শরীরের ওজন শতকরা ৬০ ভাগের নিচে যায়। হাত, পা ও মুখ শীর্ণ হয়, চামড়া কুঁচকিয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তির মতো দেখায়। পেটকে বাটির মতো দেখায় যাকে পট বেলি বলে।
মুনফেস কি?
উত্তরঃ মুনফেস হলো কোয়াশিয়রকর রোগে মুখ ফুলে গোল হয়ে চাঁদের মতো দেখানো।
ভিটামিন বি এর অভাবজনিত অবস্থা লেখো।
উত্তরঃ বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে আমাদের নানা ধরনের অপুষ্টিজনিত সমস্যা দেখা যায়। ভিটামিন বি এর অভাবে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ, অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা, ওজন হ্রাস ও দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।