চতুর্দশ অধ্যায় : পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রশ্ন-১. অজীব উপাদান কয় ধরনের?

উত্তর : দুই।

প্রশ্ন-২. বাস্তুতন্ত্রের উপাদান কয়টি?

উত্তর : ২টি।

প্রশ্ন-৩. সুন্দরবন কোন ধরনের বন?

উত্তর : ম্যানগ্রোভ বন।

প্রশ্ন-৪. বাস্তুসংস্থানে পুষ্টিদ্রব্যের প্রবাহ কিরূপ?

উত্তর : চক্রাকার।

প্রশ্ন-৫. কত ধরনের বাস্তুতন্ত্র রয়েছে?

উত্তর : ২।

প্রশ্ন-৬. বক কোন স্তরের খাদক?

উত্তর : বক হলো তৃতীয় স্তরের খাদক।

প্রশ্ন-৭. ফাইটোপ্ল্যাংকটন কাকে বলে?

উত্তর : ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক উদ্ভিদকে ফাইটোপ্ল্যাংকটন বলে।

প্রশ্ন-৮. পরিবেশ কাকে বলে?

উত্তর : মানুষের আশেপাশের প্রাকৃতিক বা সামাজিক অবস্থাকে পরিবেশ বলে।

প্রশ্ন-৯. বাস্তুতন্ত্র কি?

উত্তর : যেকোনো একটি পরিবেশের অজীব এবং জীব উপাদানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া, আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশে যে তন্ত্র গড়ে উঠে তাই বাস্তুতন্ত্র।

প্রশ্ন-১০. তৃণভোজী কাকে বলে?

উত্তর : প্রথম স্তরের খাদককে তৃণভোজী বলে।

প্রশ্ন-১১. বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন উপাদানগুলো কী নামে পরিচিত?

উত্তর : বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন উপাদানগুলো অজীব উপাদান নামে পরিচিত।

প্রশ্ন-১২. খাদ্যজাল কাকে বলে?

উত্তর : খাদ্যশৃঙ্খলের পরস্পরের সম্পর্কযুক্ত সংযুক্তিকে খাদ্যজাল বলে।

প্রশ্ন-১৩. পরিবেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর : পরিবেশকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন-১৪. অজীব উপাদান কয় ধরনের?

উত্তর : অজীব উপাদান দুই ধরনের।

প্রশ্ন-১৫. ভূমন্ডলের পরিবেশকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর : ভূমন্ডলের পরিবেশকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন-১৬. সর্বভুক কাকে বলে?

উত্তর : যারা একাধিক স্তরের খাবার খায় তাদের সর্বভুক বলে।

প্রশ্ন-১৭. মাংসাশী কাকে বলে?

উত্তর : দ্বিতীয় স্তরের খাদককে মাংসাশী বলে।

প্রশ্ন-১৮. জীবজগতের সকল শক্তির মূল উৎস কি?

উত্তর : জীবজগতের সকল শক্তির মূল উৎস হলো সূর্য।

প্রশ্ন-১৯. পুকুরের জলজ কীটপতঙ্গ, ছোট মাছ, ঝিনুক, শামুক কোন স্তরের খাদক?

উত্তর : পুকুরের জলজ কীটপতঙ্গ, ছোট মাছ, ঝিনুক, শামুক প্রথম স্তরের খাদক।

প্রশ্ন-২০. বাস্তুতন্ত্রে জীব উপাদানকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর : বাস্তুতন্ত্রে জীব উপাদানকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন-২১. খাদ্যশৃঙ্খল কাকে বলে?

উত্তর : উদ্ভিদ উৎস থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে একে অন্যকে খাওয়ার মাধ্যমে শক্তির যে স্থানান্তর ঘটে তাকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।

প্রশ্ন-২২. বাস্তুতন্ত্রের প্রধান উপাদান কয়টি?

উত্তর : বাস্তুতন্ত্রের প্রধান উপাদান ২টি।

প্রশ্ন-২৩. প্রাকৃতিক পরিবেশে বস্তুতন্ত্র কয়টি ও কী কী?

উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশে বস্তুতন্ত্র দুটি। যথাঃ স্থলজ ও জলজ বস্তুতন্ত্র।

প্রশ্ন-২৪. ম্যানগ্রোভ বন কাকে বলে?

উত্তর : উপকূলীয় প্রতিকূল পরিবেশের জন্য অভিযোজিত গাছগুলোকে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বলে। এদের দ্বারা সৃষ্ট বনভূমিকে ম্যানগ্রোভ বন বলে।

প্রশ্ন-২৫. উৎপাদক কি?

উত্তর : সবুজ উদ্ভিদ হলো উৎপাদক।

প্রশ্ন-২৬. জুয়োপ্ল্যাংকটন কাকে বলে?

উত্তর : ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক প্রাণীকে জুয়োপ্ল্যাংকটন বলে।

প্রশ্ন-২৭. পোকামাকড়, হরিণ কোন স্তরের খাদক?

উত্তর : পোকামাকড়, হরিণ প্রথম স্তরের খাদক।

প্রশ্ন-২৮. ভক্ষক কাকে বলে?

উত্তর : যেসব প্রাণী, উদ্ভিদ বা অন্য কোনো প্রাণীদের খেয়ে জীবন ধারণ করে সেসব প্রাণীকেই ভক্ষক বলে।

প্রশ্ন-২৯. শক্তি প্রবাহ কী?

উত্তর : সৌরশক্তি সবুজ উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে রাসায়নিক যৌগরূপে প্রবাহিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে শক্তি প্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-৩০. খাদক কাকে বলে?

উত্তর : যেসব প্রাণী উদ্ভিদ থেকে পাওয়া জৈব পদার্থ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে বা অন্য কোনো প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করে তাকে খাদক বলে।

প্রশ্ন-৩১. ছত্রাক কেন বিয়োজক বলা হয়?

উত্তর : ছত্রাক এক ধরনের বিয়োজক। কারণ ছত্রাক মৃত জীবদেহের উপর ক্রিয়া করে পচন ঘটায়। এ সময় মৃত জীবদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলে মৃতদেহ ক্রমশ বিয়োজিত হয়ে নানা রকম জৈব ও অজৈব পদার্থে পরিণত হয়। এসব দ্রব্যের কিছুটা ছত্রাক খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। বাকী অংশ পরিবেশের মাটি ও বায়ুতে জমা হয় যা বাস্তুতন্ত্রের উৎপাদক (সবুজ উদ্ভিদ) পুনরায় ব্যবহার করে।

প্রশ্ন-৩২. বাস্তুতন্ত্রের অজীব উপাদান কোনগুলো?

উত্তর : বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন সব উপাদান হলো অজীব উপাদান। এই অজীব উপাদান দুই ধরনের। (i) অজৈব বা ভৌত উপাদান ও (ii) জৈব উপাদান। বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবণ, মাটি, আলো, পানি, বায়ু, তাপ, আদ্রর্তা ইত্যাদি অজৈব উপাদান এবং সকল জীবের মৃত ও গলিত দেহাবশেষ জৈব উপাদান।

প্রশ্ন-৩৩. সুন্দরী গাছের মূল মাটির উপরে উঠে আসে কেন?

উত্তর : সুন্দরী সুন্দরবনের গাছ। সুন্দরবনের মাটি বেশ কর্দমাক্ত, এর ভিতর দিয়ে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে না। এখানকার উদ্ভিদের মূলের আগায় অসংখ্য ছিদ্র থাকে যাদেরকে শ্বাসমূল বলা হয়। এ মূলের মাধ্যমে উদ্ভিদ শ্বসনের জন্য বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। তাই এ বনের উদ্ভিদের মূল মাটির নিচে না গিয়ে খাড়াভাবে মাটির উপরে উঠে আসে।

প্রশ্ন-৩৪. সুন্দরবনের উদ্ভিদের মূল খাড়াভাবে মাটির উপরে উঠে আসে কেন?

উত্তর : সুন্দরবনের মাটি বেশ কর্দমাক্ত, এর ভেতর দিয়ে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে না। এখানকার উদ্ভিদের মূলের আগায় অসংখ্য ছিদ্র থাকে যাদেরকে শ্বাসমূল বলা হয়। এ মূলের মাধ্যমে উদ্ভিদ শ্বসনের জন্য বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করে। তাই এ বনের উদ্ভিদের মূল মাটির নিচে না গিয়ে খাড়াভাবে মাটির উপরে উঠে আসে।

 

 

প্রশ্ন-৩৫. মানুষ কোন স্তরের খাদক? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : মানুষ সর্বভুক্ত প্রাণী। কোনো কোনো প্রাণী একাধিক স্তরের খাবার খায় তাদেরকে সর্বভুক্ত বলে। মানুষ যখন ডাল, ভাত ইত্যাদি খায় তখন এরা প্রথম স্তরের খাদক। আবার যখন মাছ, মাংস খায় তখন মানুষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের খাদক। তাই মানুষ হলো সর্বভুক্ত।

প্রশ্ন-৩৬. ব্যাকটেরিয়াকে বিয়োজক বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ব্যাকটেরিয়া এক ধরনের বিয়োজক। কারণ ব্যাকটেরিয়া মৃত জীবদেহের উপর ক্রিয়া করে পচন ঘটায়। এ সময় মৃত জীবদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলে মৃতদেহ ক্রমশ বিয়োজিত হয়ে নানা রকম জৈব ও অজৈব পদার্থে পরিণত হয়। এসব দ্রব্যের কিছুটা ব্যাকটেরিয়া খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। বাকী অংশ পরিবেশের মাটি ও বায়ুতে জমা হয় যা বাস্তুতন্ত্রের উৎপাদক (সবুজ উদ্ভিদ) পুনরায় ব্যবহার করে।

প্রশ্ন-৩৭. উৎপাদকেরা স্বনির্ভর কেন?

উত্তর : সবুজ উদ্ভিদ যারা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে তারা উৎপাদক নামে পরিচিত। যারা উৎপাদক তারা সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে। তাই বলা যায় উৎপাদকেরা স্বনির্ভর।

প্রশ্ন-৩৮. বাস্তুতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীব ও জড় উপাদানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে গড়ে ওঠা আন্তঃসম্পর্কই হলো বাস্তুতন্ত্র। প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থলজ ও জলজ এই দুই ধরনের বাস্তুতন্ত্র রয়েছে।

প্রশ্ন-৩৯. উৎপাদক কাকে বলে?

উত্তর : বাস্তুতন্ত্রে, যেসব সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) এবং মাটি থেকে পানি (H2O) সংগ্রহ করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে তাদেরকে উৎপাদক বলে।

প্রশ্ন-৪০. বিয়োজক কাকে বলে?

উত্তর : পরিবেশে যেসব অণুজীব মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহের উপর ক্রিয়া করে তাদেরকে বিয়োজক বলে। বিয়োজকের ক্রিয়ার ফলে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলে মৃতদেহ ক্রমেই বিয়োজিত হয়ে নানা রকম জৈব ও অজৈব দ্রব্যাদিতে রূপান্তরিত হয়।

প্রশ্ন-৪১. গরু কোন স্তরের খাদক? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : গরু প্রথম স্তরের খাদক। যে সকল প্রাণী উদ্ভিদভোজী তাদেরকে প্রথম স্তরের খাদক বলা হয়। এরা তৃণভোজী নামেও পরিচিত। গরু সাধারণত ঘাস লতাপাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে। তাই গরুকে প্রথম স্তরের খাদক বলা হয়।

প্রশ্ন-৪২. সুন্দরবনকে স্থলজ বাস্তুতন্ত্র বলার কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : বাস্তুতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অজীব ও জীব উপাদান সুন্দরবনে বিদ্যমান থাকায় সুন্দরবনকে স্থলজ বাস্তুতন্ত্র বলা হয়। যেমন- এই বনের উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদ হলো সুন্দরী, গরান, গেওয়া, কেওড়া, গোলপাতা ইত্যাদি। এরা এ বনের উৎপাদক। পোকামাকড়, পাখি, মুরগি, হরিণ, এ বনের প্রথম স্তরের খাদক। বানর, কচ্ছপ, সারস ইত্যাদি দ্বিতীয় স্তরের খাদক। এ বনের তৃতীয় স্তরের খাদকদের মধ্যে রয়েছে বাঘ, শুকর ইত্যাদি। যেহেতু এরা সবাই স্থলজীবী, তাই বলা যায় সুন্দরবন একটি স্থলজ বাস্তুতন্ত্র।

প্রশ্ন-৪৪. মানুষকে সর্বভুক বলা হয় কেন?

উত্তরঃ যেসব প্রাণী একাধিক খাদ্যস্তরের খাবার খায় তাদেরকে বলা হয় সর্বভুক প্রাণী। মানুষ যখন ডাল, ভাত, আলু ইত্যাদি খায় তখন তাদের প্রথম স্তরের খাদক এবং মাছ মাংস খেলে তখন দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্তরের খাদক বলা হয়। মানুষ যেহেতু একাধিক স্তরের খাবার খায় তাই মানুষকে সর্বভুক বলা হয়।

প্রশ্ন-৪৫. ঘাস একটি আদর্শ উৎপাদক ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যেসকল সবুজ উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে থাকে তাদেরকে উৎপাদক বলা হয়। ঘাস সূর্যালোকের উপস্থিতিতে নিজের পাতায় থাকা ক্লোরোফিলকে কাজে লাগিয়ে সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে থাকে। আবার এর উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সকল প্রাণী নির্ভরশীল কেননা বেশিরভাগ তৃণভোজী বা ১ম শ্রেণীর খাদক ঘাসকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। তাই বলা যায়, ঘাস একটি আদর্শ উৎপাদক।

প্রশ্ন-৪৬. পরিবেশ কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর : পরিবেশ দুই প্রকার। এগুলো হলো–

 

  • প্রাকৃতিক পরিবেশঃ চারপাশের প্রকৃতির সব উপাদান নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক পরিবেশ আল্লাহর তৈরি। যেমন – মানুষ, গাছপালা,মাটি,পানি, বায়ু,পাহাড়,নদী,সূর্যের আলো ইত্যাদি। প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না।
  • মানুষের তৈরি বা সামাজিক পরিবেশঃ মানুষের তৈরি বা সামাজিক পরিবেশঃ মানুষের তৈরি পরিবেশকে মানুষের তৈরি বা সামাজিক পরিবেশ বলে। মানুষের তৈরি সকল উপাদান নিয়ে এ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যেমন – কাপড়-চোপড়, ঘর-বাড়ি,রাস্তা-ঘাট, বাস,ট্রেন,নৌকা,চেয়ার , টেবিল, খাট ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *