বিভব পার্থক্য কাকে বলে? বিভব পার্থক্যের একক কি?

প্রতি একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রে এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে ঐ দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলে। বিভব পার্থক্যের একক ভোল্ট
সাধারণত তড়িৎ বিষয়ক বিভিন্ন কাজে বিভব পার্থক্য ব্যবহার করা হয়।

কারণ এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুতে তড়িৎ প্রবাহ করতে হলে অবশ্যই বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করতে হবে। তড়িৎ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। কোনো বস্তুর ধনাত্মক চার্জ বৃদ্ধি পাওয়া মানে বস্তুর বিভব বৃদ্ধি পাওয়া।

তড়িচ্চালক বল ও বিভব পার্থক্যের মধ্যে তুলনা :

  • একক পরিমাণ চার্জকে কোষ সমেত কোন বর্তনীর এক বিন্দু থেকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে পুনরায় উক্ত বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তাকে উক্ত কোষের তড়িচ্চালক বল বলে। অপরদিকে, একক পরিমাণ চার্জকে বর্তনীর এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তাকে উক্ত দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলে।
  • তড়িৎ কোষের মধ্যে রাসায়নিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় বলে তড়িচ্চালক বল পাওয়া যায়; অন্যদিকে তড়িৎ কোষকে যখন বহিঃবর্তনীর সাথে যুক্ত করা হয় তখন কোষের এই তড়িৎ শক্তির নির্দিষ্ট অংশ অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে বিভব পার্থক্য প্রদান করে।
  • তড়িৎ কোষের অভ্যন্তরীণ রোধের জন্য তড়িৎ কোষের মধ্যে কিছুটা বিভব নষ্ট হয়। তাই তড়িচ্চালক বলের সম্পূর্ণ অংশ কখনোই বিভব পার্থক্য হিসেবে পাওয়া যায় না।
  • তড়িৎ কোষ যখন খোলা থাকে তখন বহিঃবর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা শূন্য হয়; এ কারণে কোষের অভ্যন্তরে কোন বিভব পতন ঘটেনা। তাই খোলা অবস্থায় কোষের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এর তড়িচ্চালক বলের সমান।
  • একটি ত্রুটিহীন কোষের তড়িচ্চালক বল একটি ধ্রুব রাশি। কিন্তু V = E – Ir সমীকরণ হতে দেখা যায় বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহমাত্রা হ্রাস বা বৃদ্ধি পেলে বিভব পার্থক্য পরিবর্তীত হয়।

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *