তৃতীয় অধ্যায় : পরিপাক ও শোষণ, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান ২য় পত্র

প্রশ্ন-১। পরিপাক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে জৈবরাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যবস্তু উৎসেচকের সাহায্যে ভেঙ্গে জীব দেহের বিপাকক্রিয়ার ব্যবহারযোগ্য সরল, দ্রবণীয় ও শোষণযোগ্য অবস্থায় পরিবর্তিত হয়, তাকে পরিপাক বলে।

প্রশ্ন-২। জটিল খাদ্য বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ যে সব খাদ্যের অণুগুলো এত বড় যে কোষঝিল্লি ভেদ করে কোষাভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে না, রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় এবং পানিতে অদ্রবণীয় সেগুলোকে জটিল খাদ্য বলে।
প্রশ্ন-৩। কোন কোন খাদ্য পরিপাকের প্রয়োজন হয়?
উত্তরঃ আমিষ, শর্করা ও লিপিড।
প্রশ্ন-৪। খাদ্যনালির কোন অংশে ভিলাই থাকে?
উত্তরঃ অন্ত্রে।
প্রশ্ন-৫। মানুষের লালাগ্রন্থি কয়টি?
উত্তরঃ তিন জোড়া।
প্রশ্ন-৬। পিত্তরস কাকে বলে?
উত্তরঃ যকৃত থেকে নিঃসৃত এবং পিত্তথলিতে জমাকৃত রসকে পিত্তরস বলে।
প্রশ্ন-৭। পিত্তরসের উপাদান কী?
উত্তরঃ পানি, অজৈব লবণ, পিত্ত লবণ, পিত্ত রঞ্জক, কোলেস্টেরল ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৮। যকৃতের কাজগুলো কি কি?

উত্তরঃ যকৃতের কাজগুলো নিচে দেওয়া হলো–

  1. অতিরিক্ত গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা রাখে।
  2. অতিরিক্ত গ্লুকোজকে চর্বিতে পরিণত করে সঞ্চয় করে রাখে।
  3. পিত্তরস তৈরি করে পিত্তথলিতে জমা রাখে।
  4. প্লাজমা প্রোটিন তৈরি করে।
  5. কোলেস্টেরল উৎপন্ন করে।
  6. স্নেহ জাতীয় পদার্থ শোষণে সাহায্য করে।
  7. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন-৯। পরিপাকতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিপাক নালি ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট পরিপাক গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত যে তন্ত্রের মাধ্যমে খাদ্যবস্তু গৃহীত হয়, গৃহীত খাদ্যের পরিপাক ও পরিশোষণ ঘটে এবং অপাচ্য অংশ বহিষ্কৃত হয় তাকে পরিপাকতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন-১০। যকৃতের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তরঃ যকৃতের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্যগুলো- ১। লোবিওল নামে কতকগুলো খন্ডক। ২। বহুভূজাকার যকৃত কোষ। ৩। লোবিওলের কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় শিরা৷
প্রশ্ন-১১। অগ্ন্যাশয়ের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ ১। লোবিওল ও আইলেটস অব ল্যাঙ্গার হ্যান্স। ২। লোবিওল গহ্বর। ৩। নিঃস্রাবী কোষ।
প্রশ্ন-১২। পাকস্থলিকে কীভাবে শনাক্ত করা যায়?
উত্তরঃ ১। পর্যায়ক্রমিক পাঁচটি স্তর। ২। রুগী নামের অভিক্ষেপ। ৩। গ্যাস্টিক গ্রন্থি।
প্রশ্ন-১৩। ক্ষুদ্রান্ত্রের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ ১। পাঁচটি পর্যায়ক্রমিক স্তর। ২। আঙ্গুলের মতো ভিলাই। ৩। গবলেট ও শোষণক্ষম কোষ।
এনজাইম ও পিত্তরসের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ এনজাইম ও পিত্তরসের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
এনজাইম
  • নালিযুক্ত গ্রন্থি নিঃসৃত জৈব রাসায়নিক পদার্থ।
  • গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে।
  • দেহের বিভিন্ন অঙ্গে কাজ করে।
  • রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতিকে ত্বরান্বিত করে।
  • কার্যশেষে অপরিবর্তিত থাকে।
পিত্তরস
  • যকৃত নিঃসৃত মিশ্র পদার্থ।
  • যকৃত থেকে উৎপন্ন হয়ে পিত্তথলিতে জমা থাকে।
  • শুধুমাত্র পরিপাকনালিতে কাজ করে।
  • খাদ্য পরিপাকে ক্ষারীয় মাধ্যম তৈরি করে।
  • কার্যশেষে বর্জ্যরূপে দেহ হতে নিষ্ক্রান্ত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *