আকবরের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা | আকবরের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা আলোচনা কর
আকবরের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে কী জান লিখ।
সম্রাট আকবর কেবল একজন রাজ্য বিজেতাই নন, তিনি একজন দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন। প্রদেশের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য তিনি কিছু সংস্কার সাধন করেন।
এডওয়ার্ডস এবং গ্যারেটের মতে, “আকবরের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা ছিল কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি।” তিনি সাম্রাজ্য পরিচালনার সুবিধার্থে সাম্রাজ্যকে প্রদেশে বিভক্ত করে দক্ষতার সহিত প্রদেশগুলোকে পরিচালনা করেন।
→ আকবরের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা : শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্য চালনার জন্য আকবর সমগ্র সাম্রাজ্যকে ১৫টি প্রদেশে বিভক্ত করেন।
নিম্নে তার প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. সুবাদার : সম্রাটের প্রতিনিধি হিসেবে সুবাদার প্রদেশের সামরিক ও বেসামরিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তবে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা বা কোনো বিষয়ে শান্তি চুক্তি করতে পারতেন না ।
২. বকশী : বকশী হচ্ছে প্রদেশের সামরিক বিভাগের কর্তা। তিনি প্রদেশের সৈন্যদের বেতন, ভাতা ইত্যাদি পরিচালনা করতেন ।
৩. ফৌজদার : ফৌজদার হচ্ছেন সুবাদারের পরবর্তী মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি গ্রামের বিদ্রোহ দমন, খাজনা আদায় ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করেন ।
৪. কোতয়াল : কোতয়াল শহরের বিভিন্ন অপরাধ দমনসহ আপামর জনগোষ্ঠীর শান্তি-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত একজন সরকারি কর্মচারী। কোতওয়ালের অবর্তমানে রাজস্ব আদায়কারী তার স্থলে দায়িত্ব পালন করতেন।
৫. গ্রাম্য পঞ্চায়েত : সম্রাট আকবরের শাসন কাঠামোতে গ্রাম্য পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ছিল। গ্রামাঞ্চলের বিচারকার্য সম্পাদনের ভার ছিল গ্রাম্য মোড়লকে নিয়ে গঠিত গ্রাম্য পঞ্চায়েতের উপর ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্রাট আকবর রাজ্য পরিচালনার জন্য যে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেন তা ছিল সময়োপযোগী, গণমুখী ও বাস্তবসম্মত।
তিনি প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্য পরিচালনার দক্ষতার পরিচয় দেন এবং রাজ্যকে শৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করেন।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “আকবরের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।