২০০৯ সালে প্রণীত তথ্য অধিকার আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, দুর্নীতি প্রতিহত করা এবং নাগরিকদের ক্ষমতায়ন ঘটানো।
তথ্য অধিকার আইন কি?
তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রণীত আইনকে তথ্য অধিকার আইন বলে।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ (Right to Information Act 2009) বাংলাদেশের একটি আইন যা সরকারী ও বেসরকারি সংস্থাগুলি থেকে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত হয়েছে। এই আইনটি ২০০৯ সালে গঠিত হয়েছে। এর দ্বারা নাগরিকগণ সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাওয়ার বৈধ অধিকার পায়।
এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকরা সরকারের প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি সম্পর্কে তথ্য পেতে এই আইন ব্যবহার করতে পারবে।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির কার্যক্রম, নির্ধারিত নীতি এবং প্রক্রিয়াগুলির বিষয়ে নাগরিকদের জানার অধিকার এবং পর্যাপ্ত তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা দেখানো।
এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকরা নিম্নলিখিত কাজগুলি করতে পারে:
তথ্যের অনুরোধ জানানো: নাগরিকরা সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি থেকে তথ্য পেতে আবেদন করতে পারেন।
তথ্যের উপর আপত্তি করা: তথ্যের অনুরোধ বাতিল বা তথ্য প্রদানে অপারগতা দেখালে নাগরিকরা এর জন্য আপত্তি করতে পারেন।
তথ্য অপসারণ করা: আইনে নির্ধারিত কিছু ক্ষেত্রে, তথ্য অপসারণ করা হতে পারে।
অপিল করা: যদি তথ্যের অনুরোধ বাতিল বা তথ্য প্রদানে অসন্তুষ্ট হন, তবে নাগরিকরা অপিল করতে পারেন।
তথ্য অধিকার আইনের একটি শক্তিশালী বিধান হলো, সরকারি কর্তৃপক্ষগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে। সরকারি কর্তৃপক্ষগুলো নিজ নিজ দপ্তরের কাজকর্ম–সম্পর্কিত অধিকাংশ তথ্য নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এবং নাগরিকদের তরফ থেকে যেকোনো তথ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য আন্তরিকভাবে প্রস্তুত থাকবে।
তথ্য অধিকার আইনের মূল প্রতিপাদ্য
তথ্য অধিকার আইনের প্রতিপাদ্য হলো নাগরিকদের ক্ষমতায়ন ঘটানো, সরকারের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, দুর্নীতি প্রতিহত করা; সর্বোপরি জনগণের স্বার্থে কাজ করে, তা নিশ্চিত করা।