তথ্য প্রযুক্তি তৃতীয় অধ্যায়(সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর)
১. Adder কি?
উত্তরঃ যে সমবায় বর্তনীর সাহায্যে যোগের কাজ করা হয় তাকে অ্যাডার বলে?
২. সংখ্যা পদ্ধতি ভিত্তি কি?
উত্তরঃ কোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে যে কয়টি মৌলিক চিহ্ন ব্যবহত হয় তার মোট সংখ্যাকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বলে।
** ডিজিট বা অঙ্ক কী?
কোন সংখ্যা পদ্ধতি লিখে প্রকাশ করার জন্য যে সমস্ত মৌলিক বা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে ডিজিট বা অঙ্ক বলে।
** বিট কি?
বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির ০ এবং ১ এই দুই মৌলিক অংক্কে বিট বলে। Binary Digit শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে বিট(Bit)।
৩. ‘পৃথিবীর সব ভাষাকে কম্পিউটারে স্থান দেওয়ার জন্য বিশেষ কোড সৃষ্টি করা হয়েছে”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ পৃথিবীর সব ভাষাকে কম্পিউটারে স্থান দেওয়ার জন্য বিশেষ কোড হিসেবে ইউনিকোড সৃষ্টি করা হয়েছে। কম্পিউটারের সাহায্যে কোনো তথ্যকে লিখিত আকাতে প্রকাশের জন্য ব্যবহত বিভিন্ন এনকোডিং পদ্ধতির মধ্যে ইউনিকোডকে আর্দশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউনিকোড হচ্ছে ১৬ বিট কোড। এ কোডের মাধ্যমে ২১৬ = ৬৫৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়। এইজন্য ইউনিকোডকে সার্ব্জনীন কোড বলা হয়েছে।
৪. কাউন্টার কি?
উত্তরঃ কাউন্টার হল এমন একটি সিকুয়েন্সিয়াল সার্কিট যাতে দেওয়া ইনপুট পালসের সংখ্যা গুণতে পারে। কাউন্টার একধরনের রেজিস্টার যা বিশেষ কাজ ব্যবহৃত হয়।
৫. “এটি মেমোরি ডিভাইসের মত আচারন করে কিন্তু মেমোরি ডিভাইস নয়”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কাউন্টার মেমোরি ডিভাইসের মত কাজ করলেও তা মেমোরি ডিভাইস নয় । কারণ কাউন্টার বাইনারী ধারাবাহিকতা অনুসরন করে। ৩ বিটের বাইনারী গণনার ধাপ ০০০ থেকে ১১১ গণনার পর পরবর্তিতে ০০০ ধাপে চলে আসে।
৬. সংখ্য পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ কোন সংখ্যা লেখা ও প্রকাশ করার পদ্ধতিকে বলা হয় সংখ্যা পদ্ধতি। সংখ্যা পদ্ধতি লিখে প্রকাশ করার জন্য যে সকল সাংকেতিক চিহ্ন বা মৌলিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
৭. কোড কি?
উত্তরঃ কোড হল বিশেষ বাইনারী শব্দ যা বর্ণ, অঙ্ক ও অন্যান্য চিহ্ন নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির প্রতিটি প্রতীক, বর্ণ, চিহ্ন ইত্যাদিকে বিভিন্ন বিট দৈঘ্যের কোড ব্যবহার করা হয়।
৮. ৯৮৮ সংখ্যাটি কোন ধরনের সংখ্যা পদ্ধতির- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ৯৮৮ সংখ্যাটি দশমিক ও হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কম্পিউটার সরাসরি গ্রহন করে না। কম্পিটারে ব্যবহৃত সংখ্যা পদ্ধতি বাইনারী ও হেক্সাডেসিমেল।
৯. BCD কোড কাকে বলে?
উত্তরঃ BCD এর পূর্ণরুপ Binary Coded Decimal . দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির সংখ্যাকে বাইনারী সংখ্যায় প্রকাশের জন্য এ কোড ব্যবহার করা হয়।
১০. নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বড় ধরনের সংখ্যা প্রকাশের উপযোগী নয় কেন?
উত্তরঃ নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি একটি প্রাচীন পদ্ধতি। বর্তমানে এই সংখ্যা পদ্ধতির ব্যভার নেই বললে চলে। এ সংখ্যা পদ্ধতিতে অংকের স্থানীয় মান থেকে না। সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্ক যেখানে থাকুক না কেন এদের নিজেস্ব মান দ্বারাই সংখ্যাটির মান নির্ধারণ করা হয়। রোমান পদ্ধতি হল নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি। যেমন 1 হলো I , 5 হলো V, 10 হল X. এজন্য নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বড় ধরনের সংখ্যা প্রকাশের জন্য উপযোগী নয়।