হেদায়েত আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আর উপায়-উপকরণ বান্দার পক্ষ থেকে

প্রশ্ন:

কিভাবে আমরা আল্লাহ্‌ তাআলার বাণী:

وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تُؤْمِنَ إِلاَّ بِإِذْنِ اللّه

আল্লাহ্‌র অনুমতি ছাড়া ঈমান আনা কারো সাধ্য নয়) ও তাঁর বাণী:

وَاللَّهُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ 

আল্লাহ্‌যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেন) এর মাঝে সমন্বয় করতে পারি? আল্লাহ্‌আমাদেরকে যে ফিতরাতের উপর সৃষ্টি করেছেন আমি সে ফিতরাতের উপর থাকার চেষ্টা করি এবং তিনি যা কিছুর উপর ঈমান আনতে আমাদেরকে আদেশ করেছেন সেগুলোর উপর ঈমান আনার মাধ্যমে তাঁর আনুগত্য করার চেষ্টা করি। কিন্তু ইদানিং আমার কাছে এই বিষয়ে শয়তানের কুমন্ত্রণা আসা শুরু হয়েছে। তাই আমি এ বিষয়ে জবাব পেতে চাই।

 

উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

তাওফিক ও হেদায়েত আল্লাহ্‌র হাতে। তিনি যাকে হেদায়েত দিতে চান তাকে হেদায়েত দেন; আর যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান তাকে পথভ্রষ্ট করেন। আল্লাহ্‌তাআলা বলেন: “এটা আল্লাহ্‌র পথনির্দেশ, তিনি তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা হিদায়াত করেন। আল্লাহ্‌যাকে বিভ্রান্ত করেন তার কোন হেদায়াতকারী নেই।”[সূরা যুমার, ৩৯:২৩] তিনি আরও বলেন: “আল্লাহ্‌যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে রাখেন।”[সূরা আনআম, ৬:৩৯] তিনি আরও বলেন: “আল্লাহ্‌যাকে পথ দেখান সে-ই পথ পায় এবং যাদেরকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।”[সূরা আল-আরাফ, ৭:১৭৮]

একজন মুসলিম তার নামাযে দোয়া করে: “আমাকে সরল পথে অটল রাখুন।”[সূরা ফাতিহা, ১:৬] যেহেতু বান্দা জানে যে, হেদায়েত আল্লাহ্‌র হাতে। তা সত্ত্বেও বান্দা হেদায়েতের উপায়-উপকরণ গ্রহণ করতে আদিষ্ট। ধৈর্য রাখা, অবিচল থাকা এবং সরল পথে পথচলা শুরু করতে আদিষ্ট। কারণ আল্লাহ্‌তাকে প্রোজ্জ্বল বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন; যা দিয়ে সে ভাল কিংবা মন্দ, হেদায়েত কিংবা পথভ্রষ্টতা নির্বাচন করতে পারে। যদি বান্দা প্রকৃত উপকরণগুলো ব্যবহার করে এবং আল্লাহ্‌তাকে হেদায়েত দিন এর জন্য সচেষ্ট থাকে তখন আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে সে তাওফিকপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহ্‌তাআলা বলেন: “এভাবেই আমি একদলকে আরেকদল দ্বারা পরীক্ষা করেছি; কেননা তারা বলতে পারত, ‘আল্লাহ্‌কি আমাদের মধ্য থেকে এদেরকেই অনুগ্রহ করলেন?’ কৃতজ্ঞদের সম্পর্কে আল্লাহ্‌ই কি সবচেয়ে বেশী অবগত নন?”[সূরা আনআম, ৬:৫৩]

এই যে মাসয়ালাটি কিছু কিছু মানুষের কাছে জটিলতা তৈরী করে সেটা নিয়ে শাইখ উছাইমীন (রহঃ) দীর্ঘ আলোচনা করেছেন; তিনি বলেন: “যদি সব কিছুর উৎস হয় আল্লাহ্‌তাআলার ইচ্ছা এবং সব কিছু তাঁর হাতেই থাকে তাহলে মানুষের পথ কী? যদি আল্লাহ্‌তাআলা মানুষের পথভ্রষ্ট হওয়া ও হেদায়েত না-পাওয়া তাকদীরে রাখেন তাহলে মানুষের উপায় কী? আমরা বলব: এর জবাব হচ্ছে আল্লাহ্‌তাআলা কেবল তাকেই হেদায়েত দান করেন যে হেদায়েত পাওয়ার উপযুক্ত এবং তাকেই পথভ্রষ্ট করেন যে পথভ্রষ্ট হওয়ার উপযুক্ত। আল্লাহ্‌তাআলা বলেন: “কিন্তু তারা যখন বাঁকা পথ ধরল, তখন আল্লাহ্‌ও তাদের অন্তরকে বাঁকা করে দিলেন।”[সূরা আছ-ছফ, ৬১:৫] তিনি আরও বলেন:”অতএব তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে অভিসম্পাত দিয়েছি এবং তাদের অন্তরসমূহ কঠিন করেছি। তারা শব্দসমূহের সঠিক অর্থ বিকৃত করে। তাদেরকে যা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তারা ভুলে গিয়েছে।”[সূরা আল-মা’ইদাহ, ৫:১৩]

আল্লাহ্‌পরিস্কারভাবে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি যে বান্দাকে পথভ্রষ্ট করেছেন তাকে পথভ্রষ্ট করার কারণ সে বান্দার পক্ষ থেকেই। বান্দা তো জানে না আল্লাহ্‌তার তাকদীরে কী রেখেছেন। যেহেতু তাকদীরকৃত বিষয়টি সংঘটিত হওয়ার পর সে তাকদীরের কথা জানতে পারে। সে জানে না যে, আল্লাহ্‌কি তাকে পথভ্রষ্ট হিসেবে তাকদীরে রেখেছেন; নাকি হেদায়েতপ্রাপ্ত হিসেবে? সুতরাং সে নিজে ভ্রষ্টতার পথ অবলম্বন করে কেন আপত্তি আরোপ করবে যে আল্লাহ্‌ই তার জন্য সেটা চেয়েছেন! তার জন্য কী এটাই উপযুক্ত ছিল না যে, সে নিজে হেদায়েতের পথে চলবে এবং এরপর বলবে: নিশ্চয় আল্লাহ্‌আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছেন।

এটা কী তার জন্য সমীচীন যে পথভ্রষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে সে জাবারিয়া (নিয়তিবাদী) হবে, আর আনুগত্যের সময় সে কাদারিয়া (তাকদীর অস্বীকারকারী) হবে! কক্ষনো নয়, পথভ্রষ্টতা ও গুনাহর ক্ষেত্রে কোন মানুষের জাবারিয়া হওয়া সমীচীন নয় যে, পথভ্রষ্ট হয়ে কিংবা গুনাহ করে সে বলবে: এটি আমার জন্য লেখা ছিল ও তাকদীরে ছিল, আল্লাহ্‌আমার জন্য যা ফয়সালা করে রেখেছেন সেটা থেকে বের হওয়া আমার পক্ষে সম্ভবপর নয়।

প্রকৃতপক্ষে মানুষের ক্ষমতা ও ইচ্ছাশক্তি রয়েছে। রিযিকের বিষয়টির চেয়ে হেদায়েতের বিষয় অধিক প্রচ্ছন্ন নয়। সকলের কাছেই সুবিদিত যে, মানুষের রিযিক পূর্বনির্ধারিত (তাকদীরকৃত)। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষ রিযিক লাভের উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার চেষ্টা করে; নিজের দেশে থেকে, বিদেশে গিয়ে, ডানে, বামে। কেউ নিজ বাড়ীতে বসে থেকে বলে না যে: আমার জন্য যে রিযিক নির্ধারণ করা আছে সেটা আমার কাছে আসবেই। বরং রিযিক লাভের উপায়-উপকরণগুলো গ্রহণ করার চেষ্টা করে। অথচ রিযিকের সাথে আমলের কথাও আছে; যেমনটি হাদিসে সাব্যস্ত হয়েছে।

নেক আমল বা বদ আমল করা যেমন লিপিবদ্ধ ঠিক তেমনি রিযিকও লিপিবদ্ধ। তাহলে দুনিয়ার রিযিক তালাশ করার জন্য আপনি ডানে যান, বামে যান, পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ান; অথচ আখিরাতের রিযিক তালাশ করা ও চূড়ান্ত সুখ লাভে সফল হওয়ার জন্য আপনি নেক আমল করবেন না!!

অথচ দুটো একই ধরণের। দুটোর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আপনি যেমন রিযিকের জন্য চেষ্টা করেন, নিজের জীবন ও বয়সকে প্রলম্বিত করার প্রচেষ্টা করেন: আপনি অসুস্থ হলে পৃথিবীর আনাচেকানাচে ভাল ডাক্তারের অনুসন্ধান করেন যিনি আপনার রোগের চিকিৎসা দিতে পারবে। অথচ আপনার আয়ু যতটুকু নির্ধারণ করা আছে তার চেয়ে একটুও বাড়বে না, কিংবা কমবে না। আপনি তো এর উপর নির্ভর করে বসে থাকেন না এবং বলেন না যে, আমি অসুস্থ হয়ে আমার ঘরে পড়ে থাকব; আল্লাহ্‌যদি আমার আরও দীর্ঘ হায়াত নির্ধারণ করে রাখেন (তাকদীরে রাখেন) তাহলে হায়াত দীর্ঘায়িত হবেই। বরং আমরা দেখতে পাই যে, আপনি আপনার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেন, সন্ধান করেন যাতে করে এমন কোন ডাক্তার খুঁজে পান যার হাতে রোগ থেকে সুস্থ হওয়া আল্লাহ্‌নির্ধারণ করে রেখেছেন।

তবে আপনার আখিরাতের ও সৎকর্মের পন্থা কেন দুনিয়ার কর্মপন্থার মত হয় না? ইতিপূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে, ক্বাযা বা আল্লাহ্‌র ফয়সালা হচ্ছে এমন এক গোপন গূঢ় রহস্য যা জানা সম্ভবপর নয়।

এখন আপনার সামনে দুটো পথ খোলা আছে:

  • এক পথ আপনাকে নিরাপত্তা, সফলতা, সুখ ও সম্মানে পৌঁছাবে।
  • অপর পথ আপনাকে ধ্বংস, অনুতপ্ততা ও অসম্মানে পৌঁছাবে।

আপনি এখন এ দুটো রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং আপনি স্বাধীন। এমন কেউ নাই যে আপনাকে ডানের রাস্তায় চলতে বাধা দিবে কিংবা বামের রাস্তায় চলতে বাধা দিবে। আপনি চাইলে এই পথেও যেতে পারেন এবং ঐ পথেও যেতে পারেন।

এ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মানুষ তার স্বনির্বাচিত কর্মে স্বাধীনভাবে অগ্রসর হতে পারে। অর্থাৎ সে তার দুনিয়াবী কর্মে যেভাবে স্বাধীনভাবে অগ্রসর হতে পারে; অনুরূপভাবে সে তার আখিরাতের পথেও এভাবে স্বাধীনভাবে চলতে পারে। বরং আখিরাতের পথগুলো দুনিয়ার পথগুলোর চেয়ে আরো বেশি সুস্পষ্ট। কারণ আখিরাতের পথগুলোর বর্ণনাকারী আল্লাহ্‌তাআলা নিজে; তাঁর নাযিলকৃত গ্রন্থে ও তাঁর রাসূলের মুখে। তাই আখিরাতের পথগুলো দুনিয়ার পথগুলোর চেয়ে অধিক স্পষ্ট ও স্বচ্ছ। তা সত্ত্বেও মানুষ দুনিয়ার পথগুলো ধরে অগ্রসর হয়; যার ফলাফলের গ্যারান্টি নাই। কিন্তু আখিরাতের পথগুলো বর্জন করে; অথচ সেগুলোর ফলাফল গ্যারান্টিযুক্ত ও সুবিদিত; কেননা এর ফলাফল আল্লাহ্র প্রতিশ্রুত। আল্লাহ্‌তাঁর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।

এই আলোচনার পর আমরা বলব: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত এই আকিদাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তারা তাদের আকিদা-বিশ্বাস এভাবে ঠিক করেছেন যে, মানুষ নিজ ইচ্ছায় তার কর্ম করে এবং তার ইচ্ছানুযায়ী সে কথা বলে। কিন্তু তার ইচ্ছা ও এখতিয়ার আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের অনুবর্তী।

আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআত ঈমান রাখে যে, আল্লাহ্‌র অভিপ্রায় তাঁর হেকমত (প্রজ্ঞা)-র অনুবর্তী। আল্লাহ্‌র তাআলার হেকমত বর্জিত কোন অভিপ্রায় নাই; বরং তাঁর অভিপ্রায় তাঁর হেকমতের অনুবর্তী। কেননা আল্লাহ্‌র নামসমূহের মধ্যে রয়েছে الحكيم “আল-হাকীম” (বিচারক, নিপুণ ও প্রজ্ঞাবান)। “আল-হাকীম” হচ্ছেন— যিনি সবকিছুর অস্তিত্বগত ও আইনগত সিদ্ধান্ত দেন এবং কর্ম ও সৃষ্টির দিক থেকে সবকিছুকে নিপুণভাবে সম্পাদন করেন। আল্লাহ্‌তাআলা তাঁর প্রজ্ঞা দিয়ে যার জন্য ইচ্ছা হেদায়েত নির্ধারণ করে রাখেন, যার ব্যাপারে জানেন যে সে সত্যকে গ্রহণ করতে চায় ও তার অন্তর সঠিক পথে আছে এবং যে এমন নয় তার জন্য পথভ্রষ্টতা নির্ধারণ করে রাখেন, যার কাছে ইসলামকে পেশ করা হলে তার অন্তর সংকুচিত হয়ে পড়ে যেন সে আকাশে আরোহণ করছে। আল্লাহ্‌ তাআলার প্রজ্ঞা এমন ব্যক্তির হেদায়েতপ্রাপ্ত হওয়াকে অস্বীকার করে; তবে যদি না আল্লাহ্‌তাআলা তাঁর সংকল্পকে নবায়ন করেন এবং তাঁর পূর্ব ইচ্ছাকে অন্য কোন ইচ্ছা দিয়ে পরিবর্তন করে নেন। আল্লাহ্‌তাআলা সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান। কিন্তু আল্লাহ্‌তাআলার হেকমত (প্রজ্ঞা)-র দাবী হচ্ছে— হেতুর ফলাফল সাথে সম্পৃক্ত থাকা।”[রিসালা ফিল কাযা ওয়াল ক্বাদর (পৃষ্ঠা-১৪-২১) থেকে সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত]

একজন মুসলিম ক্বাযা ও ক্বাদর (ভাগ্য ও নিয়তি)-এর বিষয়টি যে কর্মের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়েছে তার সাথে এভাবেই বুঝে থাকে। যে কর্মের উপর তার সুখ ও দুঃখ নির্ভর করে। হেদায়েতপ্রাপ্তি ও জান্নাতে প্রবেশের কারণ হচ্ছে— নেক আমল। আল্লাহ্‌তাআলা বলেন: “এই হল জান্নাত; তোমাদের কর্মের প্রতিদানে তোমাদেরকে এর উত্তরাধিকারী করা হয়েছে।”[সূরা আরাফ, ৭:৪৩] তিনি আরও বলেন: “তোমরা যেসব (ভাল) কাজ করতে তার প্রতিদানস্বরূপ জান্নাতে প্রবেশ কর।”[সূরা নাহল, ১৬:৩২] আর পথভ্রষ্টতা ও জাহান্নামের প্রবেশের কারণ হচ্ছে— আল্লাহ্‌র অবাধ্যতা ও তাঁর আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া। জাহান্নামবাসীদের সম্পর্কে আল্লাহ্‌তাআলা বলেন: “তারপর অন্যায়কারীদেরকে বলা হবে, ‘চিরন্তন শাস্তি আস্বাদন কর। তোমরা যা উপার্জন করতে তোমাদেরকে তারই প্রতিফল দেওয়া হচ্ছে।”[সূরা ইউনুস, ১০:৫২]  তিনি আরও বলেন: “তোমরা তোমাদের কৃতকর্মের জন্য চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করতে থাক।”[সূরা আস-সাজদাহ, ৩২:১৪]

এভাবে বুঝলে একজন মুসলিম সঠিক পথে তার প্রথম পদক্ষেপ ফেলতে পারবে। সে তার জীবনের একটি মুহূর্তও আল্লাহ্‌র পথে আমল করা ছাড়া নষ্ট করবে না। একই সময়ে সে তার রবের প্রতি বিনয়ী থাকবে এবং উপলব্ধি করবে যে, তাঁর হাতেই রয়েছে আসমান ও জমিনের নিয়ন্ত্রণ। তখন সে সার্বক্ষণিক তাঁর কাছে ভিখারি হয়ে থাকা ও তাঁর তাওফিকপ্রাপ্তির প্রয়োজন অনুভব করবে।

আমরা আল্লাহ্‌তাআলার কাছে আমাদের জন্য ও আপনাদের জন্য হেদায়েতপ্রাপ্তি এবং সকল ভাল কর্মের তাওফিক প্রার্থনা করছি।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

 

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

Similar Posts