নামায ভঙ্গের কারণসমূহের তালিকা
প্রশ্ন
নামায ভঙ্গের কারণগুলো কি সীমাবদ্ধ? যদি সীমাবদ্ধ হয় দয়া করে আপনারা সেগুলো উল্লেখ করবেন।
উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ।.
নামায ভঙ্গের কারণগুলো সুনির্দিষ্ট। কোন কোন কারণের ব্যাপারে ফিকাহ-বিশেষজ্ঞ আলেমদের মতভেদের কারণে এর সংখ্যা কমবেশি হয়। কারণগুলো নিম্নরূপ:
১। যা কিছু পবিত্রতাকে নষ্ট করে; যেমন- হাদাছ (বায়ু, মলমুত্র ত্যাগ) এবং উটের গোশত খাওয়া।
২। ইচ্ছাকৃতভাবে সতর উন্মোচন করা। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে উন্মোচিত হয়ে গেলে এবং উন্মোচিত অংশ সামান্য হলে কিংবা বেশি হলেও সাথে সাথে ঢেকে ফেললে— নামায বাতিল হবে না।
৩। কিবলার দিক থেকে অনেকটুকু ঘুরে যাওয়া।
৪। শরীরে, পোশাকে বা নামাযের স্থানে নাপাকি থাকলে। যদি নামাযের মধ্যেই সেটি জানতে পারে বা স্মরণ হয় এবং তৎক্ষণাৎ সেটি দূর করে ফেলে তাহলে তার নামায সহিহ। আর যদি নামায শেষ করার আগে জানতে না পারে; সেক্ষেত্রেও নামায সহিহ।
৫। কোন জরুরত ছাড়া নামাযের মধ্যে অবিরাম নড়াচড়া করা।
৬। নামাযের কোন একটি রুকন বাদ দেয়া; যেমন রুকু বা সেজদা।
৭। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন একটি রুকন বাড়ানো; যেমন রুকু।
৮। ইচ্ছাকৃতভাবে নামাযের কোন একটি রুকন অন্য একটি রুকনের আগে সম্পাদন করা।
৯। নামায পরিপূর্ণ করার আগেই ইচ্ছাকৃতভাবে সালাম ফেরানো।
১০। তেলাওয়াতকালে ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ পরিবর্তন করা।
১১। ইচ্ছাকৃতভাবে, স্মরণে থাকা সত্ত্বেও নামাযের কোন একটি ওয়াজিব ছেড়ে দেয়া; যেমন- প্রথম তাশাহুদ। স্মরণে না থাকার কারণে ঘটলে নামায শুদ্ধ হবে; তবে সাহু সেজদা দিতে হবে।
১২। নিয়ত কর্তন করা (তা এভাবে যে, নামায ছেড়ে দেয়ার নিয়ত করা)।
১৩। অট্টহাসি দেয়া। তবে মুচকি হাসি নামায নষ্ট করবে না।
১৪। সজ্ঞানে ও স্মরণে থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বলা। তবে ভুলে কিংবা অজ্ঞতাবশতঃ বললে নামায নষ্ট হবে না।
১৫। আহার ও পান করা।
দেখুন: শাইখ মারঈ বিন ইউসুফ আল-হাম্বলির রচিত ‘দালিলুত তালিব লি নাইলিল মাতালিব’ (পৃষ্ঠা-৩৪)
এবং শাইখ বিন বাযের রচিত ‘দুরুসুন মুহিম্মাহ’।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।