নবায়নযোগ্য জ্বালানি

যে শক্তির উৎস নিঃশেষ হয়ে যায় না; অল্প সময়ের মধ্যেই পুনরায় ব্যবহার করা যায়, তা-ই নবায়নযোগ্য জ্বালানি। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস যেমন— সূর্যের আলো ও তাপ, বায়ুপ্রবাহ, জলপ্রবাহ, জৈব শক্তি (বায়োগ্যাস, বায়োম্যাস, বায়োফুয়েল), ভূ-তাপ, সমুদ্র তরঙ্গ, সমুদ্র-তাপ, জোয়ার-ভাটা, শহুরে আবর্জনা, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিবেশবান্ধব এবং কার্বন নিঃসরণমুক্ত।

বিশ্বে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এতদিন ব্যবহার করে আসা জীবাশ্ম জ্বালানির বিপরীতে নবায়নযোগ্য শক্তি বর্তমানে বিশ্বে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। অধিকাংশ দেশ তাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জার্মানি, রাশিয়া, ভারত বিশ্বের সব থেকে বেশি নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির কিছু নেতিবাচক দিক হলো এর খরচ অনেক বেশি এবং এটি অনেক বেশি প্রকৃতি নির্ভর তথা পরিবর্তনশীল । এছাড়াও কিছু নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য তুলনামূলক অনেক জায়গার প্রয়োজন হয়।

 

২০৫০ সাল নাগাদ বিদ্যুতের চাহিদার ৮৫% নবায়নযোগ্য শক্তি বা রিনিউয়েবল এনার্জি থেকে পূরণ করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং একটি টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থায় পৌছানোর জন্য জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাপী পরিবেশবাদী আন্দোলনসমূহ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে উৎসাহ অব্যাহত রেখেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম শিকার বাংলাদেশও নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিক থেকে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশকে জার্মানিসহ বেশ কিছু উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা এক্ষেত্রে সহায়তা করছে। আর সরকারও পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহারে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নবায়নযোগ্য শক্তি বা জ্বালানির ব্যবহার ও এর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা কার্যকর করে।

Similar Posts