ব্যাকরণ (বি+আ+কৃ+অন) শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো বিশেষভাবে বিশ্লেষণ ।
যে শাস্ত্রে কোনো ভাষার বিভিন্ন উপাদানের মৌল প্রকৃতি ও স্বরূপের বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপাদানের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় ও তার প্রয়োগবিধি বিশদভাবে আলোচিত হয়, তাকে ‘ব্যাকরণ’ বলে।
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ব্যাকরণের সংজ্ঞার্থ দিয়েছেন এভাবে ১৮৯০-১৯৭৭), “যে বিদ্যার দ্বারা কোনো ভাষাকে বিশ্লেষণ করিয়া তাহার স্বরূপটি আলোচিত হয় এবং সেই ভাষার পঠনে ও লিখনে এবং তাহাতে কথোপকথনে শুদ্ধরূপে তাহার প্রয়োগ করা যায়, সেই বিদ্যাকে সেই ভাষার ব্যাকরণ বলে।”
ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা
এ কথা অনস্বীকার্য যে, ভাষা সম্বন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
- ব্যাকরণকে বলা হয় ভাষার সংবিধান, সুতরাং ভাষার মৌলিক স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ে ব্যাকরণ পাঠ অত্যাবশ্যক।
- একটি ভাষার সামগ্রিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠ অপরিহার্য।
- ব্যাকরণ পাঠের মধ্য দিয়ে একটি ভাষার বিভিন্ন উপাদানের গঠন প্রকৃতি সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করা যায়।
- ব্যাকরণ সম্বন্ধে যথাযথ জ্ঞান না থাকলে ভাষা ব্যবহারে বিশুদ্ধতা রক্ষা করা অসম্ভব।
- একটি ভাষার উপযুক্ত প্রয়োগবিধি কেবল সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠের মধ্য দিয়েই অর্জন করা যায়।
- সাহিত্যের সামগ্রিক রস আস্বাদনের জন্য ব্যাকরণ পাঠ অপরিহার্য।
- ব্যাকরণ পাঠের মাধ্যমে ভাষার অভ্যন্তর শৃঙ্খলা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।