বিসিএস প্রিলিমিনারি শেষ সময়ের পরামর্শ
১৯ মে ২০২৩ চাকরি প্রত্যাশীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবারে পদসংখ্যা ক্যাডার-২৩০৯টি এবং নন-ক্যাডার-১০২২টি। মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৬ হাজার। শেষ সময়ের প্রস্তুতি এবং প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের এ বিশেষ আয়োজন।
শেষ সময়ের প্রস্তুতি
মডেল টেস্ট অবশ্যই দিতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় একটা বড় অংশ ঝরে পড়ে ভুল দাগানোর কারণে । ভালো কোনো প্রকাশনীর একটা মডেল টেস্ট বই সংগ্রহ করে সপ্তাহে তিন-চারটি মডেল টেস্ট দিন। ঘড়িতে সময় ধরে এক ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট সময়ে মডেল টেস্ট শেষ করুন।
পরীক্ষার পূর্বে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় কিছু মডেল টেস্ট প্রকাশিত হবে, সেগুলো দেখার চেষ্টা করবেন। প্রিলিমিনারির পুরো প্রস্তুতি যদি কোনো নোটখাতায় মেইনটেইন করে থাকেন, তা রিভিশন করে ফেলবেন।
গণিতের কিছু প্রশ্ন সব সময়ই আসে, যেমন বীজগণিতের সূত্রের ওপর ভিত্তি করে এবং জ্যামিতির কোণের ওপর কিছু প্রশ্ন থাকে, সংখ্যাতত্ত্বের ওপরও বেশ কিছু প্রশ্ন থাকে। প্রয়োজনে একটি করে অংক একটি খাতায় করে রাখতে পারেন। শেষ সময়ে একবার চোখ বুলিয়ে গেলে নিয়মগুলো মনে থাকবে ।
বোর্ড বই ও মৌলিক কোনো বই থেকে দাগানো বা এমসিকিউ হতে পারে, এমন অংশ ব্যতীত আর কিছু পড়ার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন সব বিষয়ে অল্প অল্প করে হলেও গড়তে হবে। যদি কোনো বিষয়ে বেশি সময় দেওয়া প্রয়োজন মনে করেন, তবে দিন। শেষ সময়ে নতুন কোনো কঠিন টপিক শুরু না করাই উত্তম।
পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু কথা
প্রবেশপত্রটি আগেই প্রিন্ট করে রাখুন। ২-৩টা কপি সঙ্গে রাখতে পারেন। কোনো কারণে এক কপি নষ্ট হলে কিংবা ছিঁড়ে গেলে অন্য কপিটা আপনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে বাঁচাবে।
পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ের কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে হলে যাবেন।
পরীক্ষার আগের রাতে পরিমিত ঘুমাবেন। এডমিট কার্ড দুই কপি, কলম দুই থেকে তিনটি স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে রাখবেন। পরীক্ষার কেন্দ্র অপরিচিত জায়গায় হলে এবং সুযোগ থাকলে আগে একবার দেখে আসুন । পরীক্ষার দিন যাতায়াত পরিকল্পনা আগেই ঠিক করে রাখুন ।
পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত দিনে কমপক্ষে ৮-১০ ঘন্টা পড়াশোনা করা উচিত। অপরিহার্য নয়, এমন সব কাজ আপাতত বাদ দিন । কারণ, শেষ সময়টা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। • শেষ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা। পরিমিত ঘুম ও খাবার নিশ্চিত করবেন এবং কিছুটা সময় চিত্তবিনোদনের জন্য রাখবেন । পরীক্ষার হলে করণীয়
OMR শিটে নিজের নাম এবং নিজ জেলার নাম বড় হাতের অক্ষরে ইংরেজিতে লিখবেন ।
প্রশ্নের সেট ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভালো করে খেয়াল- করবেন এবং উত্তরপত্রে ভরাট করবেন। হাজিরা খাতায় নিজের নাম ও ছবি দেখে স্বাক্ষর করবেন । প্রবেশপত্রে যে স্বাক্ষর দিয়েছেন, হুবহু সেই স্বাক্ষর করবেন ।
আন্দাজে কোনো উত্তর দেওয়া যাবে না। বৃত্ত ভরাটের সময় প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে। অপশনের ক. খ, গ, ঘ কোন ফরম্যাটে আছে, তা খেয়াল করতে হবে।
যে প্রশ্ন আপনার সম্পূর্ণ অজানা, তা পুরোটা পড়ারই দরকার নেই । এক্ষেত্রে সময় বেঁচে যাবে ।
একাধিক উত্তর সঠিক হলে অপশনের প্রথমে যেটা থাকবে সেটা দিয়ে আসবেন । কোনো সঠিক উত্তর না থাকলে ঐ প্রশ্ন রেখে আসবেন ।
পুরাতন (ব্যবহৃত) মোটা কালো কালির বলপয়েন্ট কলম হলে তাড়াতাড়ি বৃত্ত ভরাট করা যায়।
গণিতে যদি খুব ভালো প্রস্তুতি থাকে, তাহলে একেবারে শুরুতে উত্তর দেবেন, অন্যথায় শেষে উত্তর দিতে পারেন । কারণ, মাথা গরম হয়ে গেলে জানা উত্তর ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
নৈতিকতার প্রশ্নগুলো এমন হয় যে এর প্রতিটি অপশনকেই সঠিক বলে মনে হয়, তাই এ ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্কতার সঙ্গে শুধু ১০০% সঠিক উত্তরটিই দাগানো উচিত ।
যারা বিসিএস প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন প্রিলি. পরীক্ষায় ২০০ তে ২০০ পেলেও যা, ন্যূনতম পাস মার্ক পেলেও তা । সুতরাং ২০০ নম্বরের টেনশন না করে ১২০ নম্বরের সামান্য কমবেশি নম্বর নিশ্চিত করাই ভালো।
[সংগৃহীত ও পরিমার্জিত]