অর্থনীতি কি? অর্থনীতির প্রকারভেদ
অর্থনীতি কি?
অর্থনীতির সংজ্ঞা
অর্থনীতির প্রকারভেদ
- চাহিদা, সরবরাহ এবং ভারসাম্য
- উৎপাদন তত্ত্ব
- উৎপাদন খরচ
- শ্রম অর্থনীতি
একচেটিয়া কারবারির মুখ্য উদ্দেশ্য মুনাফা সর্বাধিক করা। এ উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য উৎপাদনকারী তার উৎপাদিত দ্রব্যসমূহকে ভিন্ন ভিন্ন ভোক্তার নিকট ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রয়ের জন্য চেষ্টা করে। যখন একচেটিয়া কারবারি এরূপ দামব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হয় তখন তাকে একচেটিয়া বৈষম্যমূলক দামব্যবস্থা বলা হয়। দাম বৈষম্যের শর্তগুলো একজন একচেটিয়া বিক্রেতা নিম্নোক্ত অবস্থায় তার পণ্যের জন্য বিভিন্ন ক্রেতার নিকট থেকে…
অর্থনীতি একটি সামাজিক বিজ্ঞান। সামাজিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্র ব্যাপক। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ঔ নীতিবোধের সাথে সম্পর্ক রেখে সমাজবদ্ধ মানুষের কার্যাবলি পরিচালিত হয়। সে কার্যাবলির মধ্যে সামাজিক চিত্র ফুটে উঠে। অর্থনীতি সমাজের একটি দিক মাত্র। অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান, যেমন- ১. রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ২. ইতিহাস, ৩. নীতিশাস্ত্র, ৪. ভূগোল, ৫. সমাজবিজ্ঞান, ৬. সমাজকল্যাণ ইত্যাদির সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক নিবিড়। অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের…
দেশ পরিচালনার জন্য সরকার বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। এসকল অর্থ আবার জনগণের কল্যাণে সরকার ব্যয় করে। বাংলাদেশ সরকারের আয় এবং ব্যয়ের বিভিন্ন খাত রয়েছে। আয়ের খাতসমূহ থেকে সংগৃহীত অর্থসম্পদই ব্যয় করা হয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন, জনগনের মৌলিক চাহিদা পূরণের, প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও প্রাকৃতিক সম্পদ ইত্যাদি…
রাজনৈতিক অর্থনীতি কাকে বলে? রাজনৈতিক অর্থনীতি হলো ভিন্ন কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্কিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আচরণের অধ্যয়নের আঙ্গিকসমূহ, যার সীমা হলো অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে সমন্বিত অর্থনীতি থেকে শুরু করে প্রথাগত অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করা বিভিন্ন মৌলিক স্বতঃসিদ্ধ চিন্তার ব্যবহার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে থাকে। ১৯ শতকে রাজনৈতিক অর্থনীতি পরিভাষাটি অর্থনীতি নামক পরিভাষা দ্বারা স্থানান্তরিত হয় এবং পরিভাষাটি…
সমাজে প্রতিটি মানুষের অভাব অসীম। কিন্তু তার আয় সীমাবদ্ধ। প্রত্যেক ভোক্তার উদ্দেশ্য সীমিত আয়ের মধ্য থেকে সর্বাধিক উপযোগ লাভ। অর্থাৎ ভোগকারী তার সীমিত আয়কে বিভিন্ন দ্রব্য ক্রয়ের জন্য এমনভাবে ব্যয় করে, যাতে সে সর্বাধিক তৃপ্তি বা উপযোগ লাভ করতে পারে। সর্বাধিক তৃপ্তির অবস্থা তথা ভারসাম্য অবস্থা নির্ধারণের জন্য মার্শাল সমপ্রান্তিক উপযোগ বিধি প্রদান করেন। সমপ্রান্তিক উপযোগ বিধি কি সমপ্রান্তিক উপযোগ বিধির ভিত্তি হল ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি। ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি অনুযায়ী ভোক্তা কোন দ্রব্য যত বেশি পরিমাণে ক্রয় করবে সে দ্রব্যের প্রান্তিক উপযোগ ততই হ্রাস পাবে । মনে করি, একজন ভোক্তার দু’টি দ্রব্যের প্রয়োজন রয়েছে। এমতাবস্থায় ভোক্তা তার যুক্তিসিদ্ধ আচরণের দ্বারা ঠিক করে কোন দ্রব্য বেশি পরিমাণে এবং কোন দ্রব্য কম পরিমাণে ক্রয় করবে? অর্থাৎ বিভিন্ন দ্রব্যের মধ্যে পরিবর্তনীয়তা নিয়ে সে চিন্তাভাবনা করে, যাতে তার উপযোগ সর্বাধিক হয়। সুতরাং যে বিধির সাহায্যে একজন ভোগকারী বিভিন্ন দ্রব্য ক্রয়ের সময় তার সীমিত আয়ের সাহায্যে ক্রীত দ্রব্যসমূহের এককগুলো হতে প্রাপ্ত প্রান্তিক উপযোগের মধ্যে সমতা আনয়ন করে সেই বিধিকে সমপ্রান্তিক উপযোগ বিধি বলে। এ বিধি অনুযায়ী প্রতিটি একক থেকে প্রাপ্ত প্রান্তিক উপযোগ যখন সমান হয়, তখন ক্রেতার সর্বাধিক তৃপ্তি বা উপযোগ লাভ হয় এবং ভোক্তা ভারসাম্যে পৌঁছে। সমপ্রান্তিক উপযোগ বিধির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অধ্যাপক মার্শাল বলেন, ভোক্তা তার সীমিত আয় বিভিন্ন দ্রব্য ক্রয়ে এমনভাবে ব্যয় করবে, যাতে প্রতিটি দ্রব্যের প্রান্তিক উপযোগ এবং দামের অনুপাত সমান হয় এবং তা অর্থের প্রান্তিক উপযোগের সমান হবে। ভোক্তার উপযোগ সর্বোচ্চকরণের এ বিধিটিকে সমপ্রান্তিক উপযোগ বিধি বলা হয়। উদাহরণসহ ব্যাখ্যা মনে করি, একজন ভোক্তা ৫ টাকা দিয়ে কমলা ও আম ক্রয় করতে চায়। সে যদি ৫ টাকাই কমলা ক্রয়ে ব্যয় করতে চায় তবে মোট উপযোগ পাবে ৬৮ এককের সমান এবং সে যদি ৫ টাকা আম ক্রয়ে ব্যয় করে তবে মোট উপযোগ পাবে ৫৪ এককের সমান। কিন্তু সর্বাধিক তৃপ্তি পেতে হলে তাকে ৫ টাকা এমনভাবে কমলা ও আম ক্রয়ে ব্যয় করতে হবে যাতে প্রতিটি দ্রব্য থেকে সমান উপযোগ পায়। বিষয়টি নিম্নে সূচির সাহায্যে দেখানো হল। টাকা প্রান্তিক উপযোগ (আম) প্রান্তিক উপযোগ (কমলা) ১ম টাকা ২০ ১৬ ২য় টাকা ১৮ ১৪ ৩য় টাকা ১৪ ১২ ৪র্থ টাকা ১০ ৮ ৫ম টাকা ৬ ৪ মোট উপযোগ = ৬৮ মোট উপযোগ = ৫৪ উপরের সূচি অনুযায়ী যদি ভোক্তা ৩ টাকা কমলা এবং ২ টাকা আম ক্রয়ে ব্যয় করে তবে উভয়ক্ষেত্রে প্রান্তিক উপযোগ হবে ১৪ এককের সমান এবং মোট উপযোগ হবে (২০ + ১৮ + ১৪+ ১৬ + ১৪) = ৮২ এককের সমান, যা সর্বাধিক উপযোগ নির্দেশ করে। এখানেই ভোক্তার ভারসাম্য অবস্থা নির্ধারিত হবে। এ বিধিটিই সমপ্রান্তিক উপযোগ বিধি নামে পরিচিত।
উপযোগ, চাহিদা, যোগান ও ভারসাম্য Utility, Demand, Supply and Equilibrium এই অধ্যায় পাঠশেষে আমরা- উপযোগের ধারণা বর্ণনা করতে পারব। উপযোগ, ভোগ ও ভোক্তার মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করতে পারব। মোট উপযোগ যে প্রান্তিক উপযোগের সমষ্টি তা প্রমাণ করতে পারব। ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি চিত্র সহকারে ব্যাখ্যা করতে পারব। দাম ও চাহিদার পরিমাণের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারব।…