প্রতিবর্ণীকরণ কি
প্রতিবর্ণীকরণ (Transliteration) হল কোন ভাষার শব্দকে অন্য ভাষার লিপিতে লেখার পদ্ধতি। ভিন্ন ভাষায় প্রতিবর্ণীকরণ বা লিপ্যন্তরে সমস্যা হয় মূলত বানান ও উচ্চারণের পার্থক্যের কারণে। যেমন, আমরা উচ্চারণ করি বিস্ময় (Bissoy), কিন্তু এর আসল ইংরেজি প্রতিবর্ণীকরণ হবে ‘bismoy’।এছাড়া আমরা উচ্চারণ করি ‘আত্তা’ (atta), কিন্তু লিখি ‘আত্মা’, তেমনি উচ্চারণ ‘শিকখা’ হলেও বানান ‘শিকষা’ যার ইংরেজি প্রতিবর্ণীকরণ shiksha এবং আত্মা’ লিখতে হবে atma।
প্রতিবর্ণীকরণ এর কিছু উদাহরণ
ধ্বনি=dwoni, দক্ষিণ=dokkhin, dokShin, বিদ্যা=bidya, বিদ্যালয়= bidyalaya, স্মৃতি=smriti, বিস্ময়=bismoy, লক্ষ্মী=lokhmi, lakshmi, laxmi, লক্ষণ=lakkhon, আছে=ache/achhe, আছি=achi/achhi, গিয়েছি=giyechhi, এসেছে= esechhe, শেখা = shekha, স্বরবর্ণ= swarbarna, সহ্য=sohya ইত্যাদি।
প্রতিবর্ণীকরণের নিয়ম
স্বরবর্ণের ইংরেজি প্রতিবর্ণীকরণ
অ = a , o
আ = a
ই = e, i
ঈ = ee, i
উ, ঊ = u
ঋ = rr
এ = e
ঐ = oi
ও = o
ঔ = ou
ব্যঞ্জন বর্ণের ইংরেজি প্রতিবর্ণীকরণ
ক = k, খ = kh, গ = g, ঘ = gh, ঙ = m,
চ = c, ছ = ch, জ = j, ঝ = jh, ঞ = m,
ট = t, ঠ = th, D = d, ঢ = dh, ণ = n,
ত = t, থ = th, দ = d, ধ = dh, ন = n,
প = p, ফ = f, ব = b, ভ = v, ম = m,
য = y, র = r, ল = l, শ = sh, ষ = sh, স = s, হ = h,
যুক্তবর্ণের প্রতিবর্ণীকরণ
ক+ক=ক্ক=kk, ঙ+ক=ঙ্ম=Ngm , চ+চ=চ্চ=cc , চ+ছ=চ্ছ= cch , জ+ঝ= জ্ঝ=jjh, ইত্যাদি।
ক্ষ হচ্ছে (ক+ষ)=ক্ষ। তাই লিখতে হবে k+sh। যেমন, রাক্ষস, পক্ষী, পরিক্ষা ইত্যাদি।
ক্ষ্ম = ক+ষ+ম। তাই এর ইংরেজি প্রতিবর্ণীকরণ হবে (k+sh+m) যেমন, লক্ষ্মণ, লক্ষ্মী, ইত্যাদি।
হ্ম = হ+ম। এর ইংরেজি প্রতিবর্ণীকরণ হবে (h+m) যেমন, ব্রাহ্ম, ব্রাহ্মণ। ইংরেজিতে তাই লেখা হয় Brahmon।
র-ফলা, রেফ, এবং ফলা-এর প্রতিবর্ণীকরণ
র-ফলা কোন বর্ণের পরে এবং রেফ পরবর্তী বর্ণের আগে উচ্চারিত হয়। তাই প্রতিবর্ণীকরণ লিখতে হয় সেভাবেই। উদাহরণ,
প্রত্যেক = protyek, বর্ণ = borno পৃথিবী = prrithibi লিখতে হবে। আর কর্তৃক = korrtrrik।
য-ফলা লিখতে y লিখতে হবে যেমন সহ্য = sohya, ব-ফলা লিখতে w দিয়ে। যেমন,ধ্বনি=dwoni।