(GSP) জিএসপি কি?

জিএসপি (Generalized System of Preferences) বা GSP হলো একটি অগ্রাধিকারমূলক ট্যারিফ সিস্টেম যা বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক হ্রাসের সুবিধা প্রদান করে। GSP স্বল্পোন্নত দেশগুলোর রপ্তানি পণ্যে শুল্ক হ্রাস বা শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলো ১৯৭০ সাল থেকে জিএসপি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।
বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশকে তাদের অর্থনীতির বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বহি: বিশ্বে বাণিজ্য করার সুযোগ হিসেবে জিএসপি সুবিধা দেওয়া হয়।
জিএসপি (GSP) কি?, azhar bd academy
বিশ্বব্যাপী জিএসপি বাণিজ্য কর্মসূচির মূল নীতি হল দরিদ্র দেশগুলিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। উন্নত বিশ্বের বাজারে একতরফা অগ্রাধিকারমূলক বাজার অ্যাক্সেস প্রদান করা।
১৯৬৮ সালে ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (UNCTAD) দ্বারা UNCTAD II কনফারেন্সে ধারণাটি প্রথম আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত হয়েছিল।
নিম্নলিখিত ১৫টি দেশ GSP অগ্রাধিকার দেয়: আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলারুশ, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইসল্যান্ড, জাপান, কাজাখস্তান, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, রাশিয়ান ফেডারেশন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে, ১২০টি উন্নয়নশীল দেশ এবং অঞ্চল GSP সুবিধা ভোগ করছে।
স্ট্যান্ডার্ড জিএসপি সাধারণত নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলির জন্য। এর অর্থ হল রপ্তানি পণ্যের দুই-তৃতীয়াংশের উপর শুল্ক আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ। জিএসপি প্লাস হলো টেকসই উন্নয়ন এবং সুশাসনের জন্য একটি বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়ে আসছে। ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এ সুপারিশ করেছে।  তবে, বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে বের হতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত হিসেবে উন্নয়ন অংশীদার দেশগুলোর দেওয়া বিভিন্ন বাণিজ্যিক সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশ এলডিসির তালিকা থেকে বের হলে বাণিজ্য সুবিধা যেমন রপ্তানিকৃত পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা আর থাকবে না। রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা না থাকলে তা বাণিজ্যের ওপর কিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সেটিই এখন বাংলাদেশের সব রপ্তানিকারকদের কাছে আশঙ্কার বিষয়।

Similar Posts