ভগ্নাংশ কি?
ভগ্ন + অংশ = ভগ্নাংশ বা ভাঙ্গা অংশ। অর্থাৎ একটি সংখ্যাকে কয়েকটি সমান অংশে বিভক্ত করে তার কতগুলো অংশ নেওয়া হলো তা প্রকাশ করার মাধ্যমকে ভগ্নাংশ (Fraction) বলে।
সহজভাবে বলতে গেলে, যার লব ও হর আছে তাকে ভগ্নাংশ বলে। অথবা, দুটি পূর্ণ সংখ্যাকে অনুপাত বা বিভক্ত করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তাকে ভগ্নাংশ বলে।
যেমন- ১টি কলাকে সমান দুটি অংশে ভাগ করলে এর প্রত্যেকটি ভাগ বা অংশই হল একটি ভগ্নাংশ। একে ১/২ বা ২ ভাগের এক অংশ অথবা ২ এর ১ অংশ পড়া হয়।
নোটঃ যদি a/b নিঃশেষে বিভাজ্য হয়, তবে তা পূর্ণ সংখ্যা কিন্তু যদি a/b নিঃশেষে বিভাজ্য না হয়, তবে তা ভগ্নাংশ।
ভগ্নাংশের প্রকারভেদ
ভগ্নাংশ বিভিন্ন প্রকারের রয়েছে। বিশেষ করে, আকৃতি, প্রকৃতি এবং হর অনুসারে একে ভাগ করা যায়।
আকৃতি অনুসারে ভগ্নাংশ ৩ প্রকার
১. সরল ভগ্নাংশ: যে ভগ্নাংশের শুধু স্বাভাবিক সংখ্যার লব ও হর থাকে, তাকে সরল ভগ্নাংশ বলে। যেমন- ৩/৭, ৫/৪ ইত্যাদি।
২. জটিল ভগ্নাংশ: যে ভগ্নাংশের হরে বা লবে অথবা উভয়ে আরেকটি ভগ্নাংশ থাকে, তাকে জটিল ভগ্নাংশ বলে। যেমন- ৩/৪/৬
৩. যৌগিক ভগ্নাংশ: যে ভগ্নাংশের হর বা লবে অথবা উভয়ে নির্দিষ্ট কাজ থাকে তাকে যৌগিক ভগ্নাংশ বলে। যেমন- ৪×৫/৬, ৫×৬/৮+৪ ইত্যাদি।
প্রকৃতি অনুসারে ভগ্নাংশ ৩ প্রকার।
১. প্রকৃত ভগ্নাংশ: যে ভগ্নাংশের হর বড় তাকে প্রকৃত ভগ্নাংশ বলে। যেমন – ৪/৮, ৫/৯
২. অপ্রকৃত ভগ্নাংশ: যে ভগ্নাংশের হর ছোট তাকে অপ্রকৃত ভগ্নাংশ বলে। যেমন – ৮/৪, ৯/৫ ইত্যাদি।
৩. মিশ্র ভগ্নাংশ: যে ভগ্নাংশের প্রকৃত ভগ্নাংশের বাম দিকে একটি পূর্ণ সংখ্যা থাকে, তাকে মিশ্র ভগ্নাংশ বলে। যেমন- ১-৩/৪
হর অনুসারে ভগ্নাংশ ২ প্রকার
১. সমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশ: একাধিক ভগ্নাংশের হর একই হলে, তাকে সমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশ বলে। যেমন – ৬/৭, ৩/৭, ৪/৭ ইত্যাদি।
২. অসমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশ: বিভিন্ন ধরনের হর বিশিষ্ট ভগ্নাংশের হরকে অসমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশ বলে। যেমন- ৫/৯, ২/৭, ২/৮ ইত্যাদি।