তথ্য প্রযুক্তি

মাইক্রোওয়েভ, মাইক্রোওয়েভে ডাটা ট্রান্সমিট, সুবিধা, অসুবিধা ও ব্যবহার

1 min read

মাইক্রোওয়েভ (Microwave)

300 MHz থেকে 300 GHz ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম হলো মাইক্রোওয়েভ। সাধারণত 2 GHz ফ্রিকুয়েন্সি বা এর অধিক ফ্রিকুয়েন্সিতে ডেটা ট্রান্সমিট করা হয়, ফলে সংকেত নির্দিষ্ট দিক অভিমুখী হয়।
মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশনের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো হলো-
  • মাইক্রোওয়েভ সংযোগের জন্য ডিশ আকৃতির অ্যান্টেনার প্রয়োজন হয়।
  • প্রেরক স্টেশন ও প্রাপক স্টেশনকে একই সরলরেখা বরাবর থাকতে হয়।
  • ট্রান্সমিশন পথে কোনো বাধা থাকলে ডেটা ট্রান্সমিশন করা সম্ভব হয় না।
কম্পিউটারের ডেটা, ছবি, অডিও ও ভিডিওকে মাইক্রোওয়েভ স্পন্দনে রূপান্তরিত করে ট্রান্সমিট করা যায়।
মাইক্রোওয়েভের সাহায্যে দুই ভাবে ডেটা ট্রান্সমিট করা যায়। যেমন-
  • ভূ-পৃষ্ঠে মাইক্রোওয়েভ সংযোগ
  • ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে মাইক্রোওয়েভ
মাইক্রোওয়েভের সুবিধা
  • বিপুল পরিমাণ তথ্য একই সাথে প্রেরণ করা যায়।
  • কোনো প্রকার ক্যাবলের প্রয়োজন হয় না।
  • ট্রান্সমিট পথে কোনো বাধা যেমন- পাহাড় বা বিল্ডিং থাকলে ট্রান্সমিশনে বাধার সৃষ্টি হয়।
  • মাল্টিপল চ্যানেল সহজলভ্য।
মাইক্রোওয়েভের অসুবিধা
  • টাওয়ার নির্মাণে অনেক খরচ হয়।
  • মাইক্রোওয়েভ সিগনাল বায়ুমন্ডল দ্বারা শোষিত হয়, তাই মাইক্রোওয়েভ দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
মাইক্রোওয়েভের ব্যবহার
  • মোবাইল ফোনের যোগাযোগের জন্য সংযোগ মাধ্যম বাস্তবায়ন করতে।
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাস পর্যবেক্ষণে।
  • স্যাটেলাইট টিভি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
5/5 - (16 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x