মুসাফির কাকে বলে? কোন সফর বা ভ্রমণ শরয়ী সফর বা ভ্রমণ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য শর্ত | মুসাফিরের সালাতের নিয়ম।

মুসাফির কাকে বলে?

মুসাফির বলতে ভ্রমণকারীকে বোঝায়।

মুসাফির শব্দের অর্থ ভ্রমণকারী। শরিয়তের পরিভাষায় কমপক্ষে ৪৮ মাইল দূরবর্তী কোনো স্থানে যাওয়ার নিয়তে কোনো ব্যক্তি বাড়ি থেকে বের হলে তাকে মুসাফির বলে। এমন ব্যক্তি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে কমপক্ষে পনেরো দিন অবস্থানের নিয়ত না করা পর্যন্ত তার জন্য মুসাফিরের হুকুম প্রযোজ্য হবে।

কোন সফর বা ভ্রমণ শরয়ী সফর বা ভ্রমণ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য শর্ত

কোন সফর বা ভ্রমণ শরয়ী সফর বা ভ্রমণ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত প্রয়োজন।

এক.

সফর কমপে এতটুকু দুরত্বে হতে হবে, যেখানে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে পৌঁছতে তিনদিন অতিবাহিত হয়ে যাবে। যদিও বাস বা ট্রেনের মাধ্যমে উক্ত স্থানে এক ঘণ্টায় পৌঁছা সম্ভব। বর্তমানে এই দুরত্বের পরিমাণ ৪৮ মাইল বা সোয়া সাতাত্তর কিলোমিটার (প্রায়)। এই মাইল বা কিলোমিটারের বিধান পাহাড়ী পথ বা নদীপথের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বরং সেক্ষেত্রেঅভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিংবা অভিজ্ঞ ব্যক্তির মাধ্যমে তিনদিন পরিমাণ পথের দুরত্ব নির্ণয় করতে হবে এবং সে আলোকেই শরয়ী হুকুম প্রযোজ্য হবে।

দুই.

সফরের শুরু থেকেই সোয়া সাতাত্তর কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি দুরত্বের পথ সফর করার নিয়ত করতে হবে। আলাদা আলাদাভাবে নিয়ত করার মাধ্যমে উক্ত পরিমাণ পথ সফর করলেও তা শরয়ী সফর বলে বিবেচিত হবে না।

তিন.
সফরের নিয়ত করার পর নিজ অবস্থানকৃত শহর বা গ্রাম থেকে বের হয়ে সফর শুরু করতে হবে। শুধু নিয়ত করার মাধ্যমে বা নিয়ত বিহীন সফরের মাধ্যমে কেউ মুসাফির হয় না। যদি বাস বা ট্রেন স্টেশন অবস্থানকৃত শহর বা গ্রামের মাঝেই হয়ে থাকে, তাহলে বাস বা ট্রেন স্টেশন ছেড়ে শহর বা গ্রামের সীমানা অতিক্রম করার পর থেকে শরয়ী সফর শুরু হবে। এর পূর্বে দীর্ঘণ স্টেশনে অপেমান থাকলেও সফরের বিধান কার্যকর হবে না। মোটকথা, উপরোক্ত তিনটি শর্ত যার সফরের মাঝে পাওয়া যাবে তাকেই শরয়ী মুসাফির বলে গণ্য করা হবে।

Similar Posts