ওজন কমাতে Oats এর ভূমিকা কী??

আজ আমরা জানবো ওজন কমাতে এই Oats কি সত্যিই কোনো ভূমিকা পালন করে কি না তা।

Oats এমন একটি খাদ্যশস্য যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও প্রোটিন কিন্তু এতে কোনোরুপ কোনো সুগার নেই।

তাই যারা ওজন কমাতে চায় তাদের জন্য এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় খাবার।

Oats নানানভাবে খাওয়া যেতে পারে। এর সাথে বিভিন্ন ধরনের ফল,বাদাম, দুধ, দই ইত্যাদি

ব্যাবহার করার মাধ্যমে এই খাবারটি কে আরো লোভনীয় করা সম্ভব। যা হবে আরো মজাদার এবং স্বাস্থ্যসম্মত একটি খাবার।

ওজন কমাতে Oats

যদি সঠিক নিয়ম মেনে Oats খাওয়া হয় তবে তা আমাদের ওজন কমাতে সার্বিকভাবে সাহায্য করে।

এর কারণ Oats একটি কম ক্যালরি যুক্ত, কম চর্বিযুক্ত স্বাস্হ্যকর একটি খাবার।

যেহেতু এটি ফাইবার জাতীয় খাবার তাই এটি খাওয়ার ফলে-

১। অনেকক্ষন পেট ভরা থাকে এবং ক্ষিদার উদ্রেক কম ঘটে,

২। ঘন ঘন খাবার অভ্যাস দূর হয়

৩। শরীরে ক্যালরি কম উৎপন্ন হয়।

৪। এতে যে  ফাইবার রয়েছে তা পাচনতন্ত্র কে সহায়তা করে।

এটি স্বল্পমূল্যের ডায়েট প্ল্যান হওয়া স্বত্তেও অধিক মূল্যে এক্সারসাইজ টুলস কিনার থেকে এটি অনেক বেশি কার্যকরী।

কেননা এই স্বল্পমূল্যের খাবার খেয়ে খুব সহজেই ওজন কমানো সম্ভব।

ওজন কমাতে Oats খাওয়ার নিয়ম কি? 

ওজন কমাতে Oats কে কার্যকরী করতে হলে অবশ্যই এই খাবার টি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে।

Oats কে মূলত ২ বেলা প্রধান খাবার হিসেবে গ্রহন করা যেতে পারে।বিষয় টি কে ২ টি পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে। যেমনঃ

প্রথম পর্যায়ঃ

ওজন কমানোর প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন ৩ বেলা Oats খাওয়া যেতে পারে এসময় অন্যান্য সকল ফ্যাট জাতীয় খাবার বন্ধ রাখতে হবে।

কিন্তু এই সময় পর্যাপ্ত পরিমান ফল এবং সবজি খাওয়া যেতে পারে।

দ্বিতীয় পর্যায়ঃ

প্রথাম সপ্তাহের পরে দিনে একবার কিংবা দুইবার Oats খাওয়া যেতে পারে এবং এইসময় সকল প্রকার চর্বিজাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে এবং রেগুলার খাবারে ফল, শাক, সবজি রাখতে হবে।

এটি ফাইবারে ভরপুর একটি খাবার। এর আধা কাপ পরিমান কে স্বাভাবিক পরিমান ধরা হয়ে থাকে।

যদি এই খবার টি পানিতে রান্না করা হয়ে থাকে তবে এর আধা কাপ এ প্রায় ২ গ্রাম ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন  এবং ০ শর্করা থাকে।

তাছাড়া এই পরিমান আরো রয়েছে ২% ক্যালসিয়াম,৬% আয়রন, খুব সামান্য পরিমান ক্যালরি এবং মাত্র ১.৫গ্রাম চর্বি রয়েছে।

এছাড়াও এতে আরো কিছু উপকারীতা রয়েছে যেমন- এই খাবার গ্রহনে হৃদরোগ এবং কলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

তাছাড়া এটি রক্তচাপ কমাতে এবং হজমে সাহায্য করে থাকে।

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে কম খরচে নিজেদের ওজন কমানো যায় । আশা করছি লিখাটি আপনাদের ভালো লাগবে। লিখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে তা আপনার ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও উপকৃ্ত করুন । ধন্যবাদ

Similar Posts