দই এর ইতিহাস
দই এর ইতিহাস
আজকালকার বহু মানুষের ধারনা, প্রায় চার হাজার বছর আগে যাযাবর জাতি নোমোডিক দের হাত ধরে এই দেশে দই এর উৎপত্তি হয়।
কিন্তু এটি উদ্দেশ্যপ্রনীত ছিলো না।
কেননা নোমোডিক রা দুধ বহন করতো প্রানীর চামড়া দিয়ে বানানো থলেতে, যা ব্যাক্টেরিয়া সৃষ্টির আদর্শ স্থান, সেই স্থানে ব্যাক্টরিয়ার সংস্পর্শে দুধ দইয়ে পরিনত হয়।
ঐতিহাসিকদের মতে,ঔ একইসময় একইভাবে হয়তো আরও কিছু অঞ্চলে দইয়ের উৎপত্তি ঘটেছে।
প্রথম দই বানানোর দাবিদার দেশটি নিশ্চিতভাবেই মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া আর বুলগেরিয়ার বাইরে নয়।
সে যে অঞ্চলই হোক না কেন, বুলগেরিয়া যে বাণিজ্যিকভাবে পশ্চিমা দেশগুলোকে প্রথম দই খাইয়েছে, তা নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই। পৃথিবীকে এটি চেনানো দেশটিও বুলগেরিয়া।
দইয়ের গুপ্ত রহস্য ভেদ করা প্রথম বিজ্ঞানীটি বুলগেরিয়ার “ড. স্টামেন গ্রিগোরভ”, ১৯০৪ সালে বিয়ের কিছুদিন পর জেনেভার মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরেন গ্রিগোরভ।
তখন তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সঙ্গে ছিল ‘রুকাটকা’ নামের মাটির পাত্রে বানানো দই।
পরীক্ষাগারে সেই দই নিয়ে এক বছর ঘাম ঝরানোর পর গ্রিগোরভ আবিষ্কার করেন, গাঁজন প্রক্রিয়ায় দুধ থেকে দই হতে কোন একটি ব্যাকটেরিয়া দায়ী।
গ্রিগোরভ এবং বুলগেরিয়ানদের দইপ্রীতির সম্মানে সেই বীজাণুটির নাম রাখা হয়—‘ল্যাক্টোব্যাসিলাস বুলগেরিকুশ’।
এতে দইয়ের সঙ্গে বুলগেরিয়ার সম্পৃক্তি টেকসই ভিত্তি পেয়ে যায় চিরকালের মতো!
শুধু তাই নয়, গ্রিগোরভের এই আবিষ্কারকে সম্মান করে তাঁর জন্মভূমি বুলগেরিয়ার ত্রার্নে একটা জাদুঘরও বানানো হয়, যা কিনা দই নিয়ে পৃথিবীর একমাত্র জাদুঘর।
Also Read: দই কি? খুব সহজে বাড়িতেই দোকানের মতো দইয়ের রেসিপি। দইয়ের ইতিহাস