ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দলটির দিল্লীর মিডিয়া প্রধান নবীন জিন্দাল কতৃক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদকে(সাঃ) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যে বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তাদের এ ধরনের বক্তব্য চরম ঐদ্ধত্যপূর্ণ এবং অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ। এধরনের বক্তব্য বিশ্বের মুসলমানদের জন্য চরম অবমাননাকর ও অগ্রহযোগ্য।

বিবৃতিতে বাংলাদেশী মুসলিম ইউকে’র শীর্ষ নেতৃবন্দ ও উলামায়ে কেরাম উল্লেখ করেন, সর্বকালের শ্রেষ্ট মানব আল্লাহর রাসুলকে (সাঃ) নিয়ে দায়িত্বহীন মন্তব্য এবং কুৎসা রটনা করে বিজেপি নেত্রী ভারত সহ বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের হৃদয়কে ক্ষত ক্ষতবিক্ষত করেছে ।
তাদের জেনে রাখা ভাল,মুসলমানরা জগতের সবকিছু ছাড়তে পারে কিন্তু প্রিয় নবীর প্রতি ন্যুনতম অবমাননা কোন ভাবেই বরদাশত করবে না।
উলামা মাশায়েখগন আরো বলেন, মহানবী স: এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে তাদের দলীয় পদ থেকে সাসপেন্ড করে নেয়া ব্যবস্থা নিছক একটি আইওয়াস মাত্র।এর বিরুদ্ধে ভারতে এবং সারাবিশ্বে ফুসে উঠা জনরোষকে নিবৃত করার জন্যই এই সাময়িক ব্যবস্থা তারা গ্রহন করেছে।
উলামায়ে কেরাম ভারত সরকারের তরফ থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য দাবী করেন এবং প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার ও বিশ্বমুসলিমের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।

তাঁরা বলেন, ভারতে মুসলিম নিপীড়ণ, সংখ্যালঘু নির্যাতন বিশেষকের মুসলিমদের হত্যা ও দেশ থেকে বিতাড়নের সরকারী উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা এই সভ্য সময়ে এক কলংকজনক অধ্যায় রচনা করেছে । এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় যে, মুসলমানদের বেঁচে থাকার এবং স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করার নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার চর্চাকে দু:সাধ্য করে তুলেছে বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক পলিসি। ফলে দেশটিতে মুসলিম বিদ্বেষ ও মুসলিমদের বিরুদ্ধ সহিংসতা এবং মসজিদকে জোর পূর্বক মন্দিরে রুপান্তরের মহোৎসব চলছে আজ। নুপুর শর্মার মন্তব্য এরই ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু নয়।

উলামা মাশায়েখগণ বলেন,ভারত যদি অবিলম্বে ক্ষমা না চায় এবং দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন না করে তা হলে বৃটেনও বংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

৭ জুন সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক তায়ীদুল ইসলামের পাঠানো বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন-
সংগঠনের ভারপাপ্ত সভাপতি মাওলানা ইমদাদুর রাহমান মাদানী, জেনারেল সেক্রেটারী মাওলানা শাহ মিজানুল হক, বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের সর্বোচ্চ পরিষদ মজলিসে কিয়াদতের সদস্য, ইসলামিক শরীয়া কাউন্সিল বৃটেন এর চেয়ারম্যান হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, মাযাহহিরুল উলুমের চেয়ারম্যান শায়খ মাওলানা জমসেদ আলী, কাউন্সিল অফ মস্কস এর চেয়ারম্যান হাফিজ মাওলানা শামছুল হক, আন্জুমানে আল ইসলাহ এর সভাপতি হাফিজ মাওলানা আবদুল জলীল,ইষ্ট লন্ডন মসজিদের খতীব শায়খ আব্দুল কাইয়ুম, ইসলামিক ফতোয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি শাহ সদরুদ্দিন, সেন্টার ফর ইসলামিক গাইডেন্স এর চেয়ারম্যান মাওলানা এ কে মওদুদ হাসান, খেলাফত মজলিস ইউরোপের পরিচালক অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, ইষ্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা আবুল হোসাইন খান,মারকাজুল ইসলাম লন্ডনের চেয়ারম্যান মাওলানা শোয়াইব আহমদ, খেলাফত মজলিস ইউকের সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রাহমান, আন্জুমানে আল ইসলাহের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জিল্লুর রহমান চৌধুরী,সাফীর একাডেমির চেয়ারম্যান ড: মাওলানা আবুল কালাম আজাদ,দারুল উম্মাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাসানাত চৌধুরী, হেলাল কমিটির সমন্বয়কারী মাওলানা মুমিনুল ইসলাম ফারুকী, লন্ডন ইকরা একাডেমির পরিচালক মাওলানা এফ কে শাহজাহান,বাংলাদেশী মুসলিম ইউকের প্রচার সম্পাদক ও মজলিসে আমেলার সদস্য মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের আমেলা সদস্য হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথী ও মাওলানা আব্দুল মুনীম চৌধুরী প্রমুখ।

সূত্রঃ আমার দেশ

Rate this post

By Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.