পীড়ন (Stress) কাকে বলে?
বাহ্যিক বলের প্রভাবে কোনো বস্তুর মধ্যে বিকৃতির সৃষ্টি হলে স্থিতিস্থাপকতার জন্য বস্তুর ভেতরে একটি প্রতিরোধ বলের উদ্ভব হয়। বস্তুর ভেতর একক ক্ষেত্রফলে লম্বভাবে উদ্ভূত এ প্রতিরোধী বলকে পীড়ন বলে।
বাইরে থেকে বল প্রয়োগে কোন বস্তুর আকার বা আকৃতির পরিবর্তন ঘটালে স্থিতিস্থাপকার জন্য বস্তুর ভিতর একটি বাধাদানকারী বলের সৃষ্টি হয়। এর বলের মান প্রযু্ক্ত বলের সমান ও বিপরীত। বস্তুর একক ক্ষেত্রফলে উৎপন্ন এ বাধাদানকারী বলের মানকে পীড়ন বলে।
বাহ্যিক বলের প্রভাবে কোনো বস্তুর মধ্যে বিকৃতির সৃষ্টি হলে স্থিতিস্থাপকতার জন্য বস্তুর ভিতরে একটি প্রতিরোধ বলের উদ্ভব হয়। এই প্রতিরোধ বল বাহ্যিক বলকে বাধাদানের চেষ্টা করে। বস্তুর ভিতর একক ক্ষেত্রফলে লম্বভাবে উদ্ভূত এ প্রতিরোধী বলকে পীড়ন বলে।
মনেকরি, কোনো একটি বস্তুর ক্ষেত্রফল = A
এবং প্রযুক্ত বল = F
পীড়নের একক
পীড়নের একক হলো = Nm-2।
পীড়নের প্রকারভেদ
পীড়ন তিন প্রকার। যথাঃ
১. দৈর্ঘ্য পীড়ন (Longitudinal Stress)
২. কৃন্তন পীড়ন (Sheering Stress) এবং
৩. আয়তন পীড়ন (Volume Stress)
১. দৈর্ঘ্য পীড়নঃ দৈর্ঘ্য বিকৃতি ঘটাবার জন্য প্রতি একক ক্ষেত্রফলের উপর দৈর্ঘ্য বরাবর প্রযুক্ত বলকে দৈর্ঘ্য পীড়ন বলে।
ধরি, একটি তারের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A এবং এর দৈর্ঘ্য বরাবর প্রযুক্ত বল F
তাহলে দৈর্ঘ্য পীড়ন = F ÷ A
২. কৃন্তন পীড়নঃ আকার বিকৃতি ঘটাবার জন্য যে পীড়ন প্রয়োগ করতে হয় তাকে আকার পীড়ন বলে। যদি কোন একটি বস্তু A ক্ষেত্রফলের উপর F পরিমাণ স্পর্শিনী অর্থাৎ স্পর্শক বরাবর বল প্রয়োগ করে আকার বিকৃতি ঘটানো হয় তবে, আকার পীড়ন = F ÷ A
৩. আয়তন পীড়নঃ আয়তন বিকৃতি ঘটাবার জন্য যে পীড়ন প্রয়োগ করতে হয় তাকে আয়তন পীড়ন বলে।
মনেকরি, একটি বস্তু চারদিক হতে F পরিমাণ বল অভিলম্বভাবে প্রয়োগ করে এর আয়তন বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। যদি তলের ক্ষেত্রফল A হয় তবে, আয়তন পীড়ন = F ÷ A
পীড়ন এর মাত্রা
পীড়নের মাত্রা হলো = ML-1T-2