আধুনিক শ্রেণিকরণ পদ্ধতিতে অ্যামিবা ও মাশরুম কোন রাজ্যের অন্তর্গত, এদের বৈশিষ্ট্য লিখ।

আধুনিক শ্রেণিকরণ পদ্ধতিতে অ্যামিবাকে রাজ্য-২ : প্রোটিস্টা এর অধীনে এবং মাশরুমকে রাজ্য-৩ : ফানজাই বা ছত্রাক এর অধীনে রাখা হয়েছে।

আধুনিক শ্রেণিকরণ পদ্ধতিতে অ্যামিবাকে রাজ্য – ২ : প্রোটিস্টা এর অধীনে রাখার করণঃ
এর অধীনে ঐ সকল জীবকে বিন্যস্ত করা হয়, যাদের কোষ সুগঠিত নিউক্লিয়াসযুক্ত। এরা এককোষী, একক বা দলবদ্ধভাবে থাকতে পারে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন থাকে। কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে। খাদ্য গ্রহণ শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে।
যা অ্যামিবার বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়, তাই অ্যামিবাকে রাজ্য – ২ : প্রোটিস্টা এর অধীনে রাখা হয়েছে।
অ্যামিবা
আধুনিক শ্রেণিকরণ পদ্ধতিতে মাশরুমকে রাজ্য – ৩ : ফানজাই বা ছত্রাক এর অধীনে রাখার করণঃ
মাশরুমের বৈশিষ্ট্য হলো এরা অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী। দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম (সরু সুতার মতো অংশ) দিয়ে গঠিত। এগুলোর নিউক্লিয়াস সুগঠিত। কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত। খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে। ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশ বৃদ্ধি ঘটে।
যা রাজ্য – ৩ : ফানজাই বা ছত্রাকের বৈশিষ্ট্যের সাথে হুবহু মিলে যায়, তাই মাশরুমকে রাজ্য -৩ : ফাইজাই বা ছত্রাক এর অধীনে রাখার হয়েছে।
মাশরুম

Similar Posts