পদার্থ বিজ্ঞান

শ্রাব্যতার সীমা কাকে বলে?

1 min read

শ্রাব্যতার সীমা কাকে বলে?

উৎসের কম্পাঙ্ক যদি 20 Hz থেকে 20000 Hz এর মধ্যে থাকে তবে তাকে শ্রাব্যতার সীমা বলে।

আমরা জানি যে, কোনো বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দের উৎপত্তি হয়। সকল কম্পনশীল বস্তুর শব্দ আমরা শুনতে পাই না। যে সকল শব্দ প্রতি সেকেন্ডে ২০ টির কম কম্পন দিয়ে সৃষ্টি হয়, তা আমরা শুনতে পাই না। এরকম শব্দ শ্রবণ উপযোগী নয়। এরকম শব্দকে শ্রুতিপূর্ব শব্দ বলা হয়।

আবার অনেক বেশি কম্পনের ফলে সৃষ্ট শব্দকে আমরা শুনতে পাই না। প্রতি সেকেন্ডে ২০,০০০ এর বেশি কম্পনের ফলে সৃষ্ট শব্দকেও শুনতে পাই না। একে শ্রুতি-উত্তর শব্দ বলা হয়।

সুতরাং মানুষের জন্য শ্রাব্যতার সীমা হলো ২০ থেকে ২০,০০০ কম্পন দিয়ে সৃষ্ট শব্দ। প্রতি সেকেন্ডে কোনো বস্তু যতটা কম্পন দেয় তাকে বলা হয় ঐ বস্তুর কম্পাঙ্ক। এই কম্পাঙ্ক প্রকাশের একক হলো হার্জ। কোনো বস্তু সেকেন্ডে ২০ বার কাঁপলে তার কম্পাঙ্ক ২০ হার্জ, ২০,০০০ বার কাঁপলে ২০০০ হার্জ।

কোনো বস্তু সেকেন্ডে ২০ বার কাঁপলে তার কম্পাঙ্ক 20 Hz, ২০,০০০ বার কাঁপলে 20,000 Hz।

সুতরাং মানুষের কানের শ্রাব্য কম্পাঙ্কের সীমা 20 থেকে 20,000 Hz। এই সীমার মধ্যে কম্পাঙ্কের শব্দকে শ্রাব্য শব্দ বলে।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x