জীবাশ্ম জ্বালানি
মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণী ২০০ মিলিয়ন বা তার চেয়ে বেশি বছর মাটির নিচে থেকে উচ্চ তাপ ও চাপে কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস বা খনিজ তেলে পরিণত হয় বলে এগুলোকে জীবাশ্ম বলে।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার
জীবাশ্ম জ্বালানি –
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে
- রাসায়নিক সার
- পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে এবং
- জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
জীবাশ্ম জ্বালানির প্রকারভেদ
জীবাশ্ম জ্বালানিগুলো প্রধানত তিন ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হলো:
- কয়লা,
- তেল এবং
- প্রাকৃতিক গ্যাস।
জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরির প্রক্রিয়া
প্রাগৈতিহাসিক কালে উদ্ভিদ ও জলাভূমির প্রাণী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কাঁদামাটির নিচে চাপা পড়ে। কাঁদামাটির স্তর মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহের বায়ুর উপস্থিতিজনিত ক্ষয় রোধ করে। ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ুর পরিবর্তনে উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ জলাভূমি ও বালুস্তরের নিচে ছিদ্রবিহীন শিলাখণ্ডের দুটি স্তরের মাঝে আটকা পড়ে। উচ্চ তাপ ও চাপে বায়ুর অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ হাজার হাজার বছরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে জীবাশ্ম জ্বালানিতে পরিণত হয়।