নিরাপদ পানি কাকে বলে? | নিরাপদ বা বিশুদ্ধ পানির বৈশিষ্ট্য | পানি দূষণ কিভাবে রোধ করা যায়?

নিরাপদ পানি কাকে বলে?

যে পানিতে ময়লা, আবর্জনা, রোগজীবাণু ও কোনো ক্ষতিকর পদার্থ থাকে না তাকে নিরাপদ পানি বলে।

বোতলে প্রক্রিয়াজাত করা পানি, ফুটানো পানি, ফিল্টার করা পানি এবং নলকূপের পানি মানুষের ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।

পানি নিরাপদ বিশ্ব ছাড়া স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং মানব সভ্যতার উন্নয়নের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করাটাই হলো পানি নিরাপদ বিশ্বের মূলমন্ত্র। পানি নিরাপদ বিশ্বের আরও একটি উদ্দেশ্য হলো, পানির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এর বিধ্বংসী ক্ষমতার অপসারণ। এছাড়া পানি নিরাপত্তা বলতে পরিবেশ সংরক্ষণ করা এবং দুর্বল পরিবেশ ব্যবস্থাপনার নেতিবাচক প্রভাবগুলো চিহ্নিত করাকেও বুঝানো হয়। আর্থিক ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনায়ন, কৃষি, শক্তি (উৎপাদন), পর্যটন, শিল্প, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোতে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার ধারণাও পানি নিরাপত্তার মধ্যে পড়ে। পানি নিরাপদ বিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচিত হয়, শিক্ষা অগ্রগামী হয় এবং জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে। সবার জন্য উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা রয়েছে পানি নিরাপদ বিশ্বে; বিশেষ করে নারী এবং শিশুর, পানির উপযুক্ত পরিচর্যার কারণে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় তারা।

নিরাপদ বা বিশুদ্ধ পানির বৈশিষ্ট্য

নিরাপদ পানির বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ –

১. নিরাপদ পানি সব ধরনের জীবাণুমুক্ত হবে।

২. পানির রং বা বর্ণ টলমলে ও বর্ণহীন হবে।

৩. পানিতে কোনো প্রকার দুর্গন্ধ ও ভাসমান পদার্থ থাকবে না।

৪. পানি খুবই স্বচ্ছ হবে।

পানি দূষণ কিভাবে রোধ করা যায়?

পানি দূষণ রোধ করার উপায়গুলো হলো –

১. ফসল উৎপাদনে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে জৈব সার ব্যবহার অধিক প্রাধান্য দিতে হবে।

২. ফসল উৎপাদনের সময় জমিতে কীটনাশক অতি অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।

৩. কলকারখানার বর্জ্য নদী কিংবা ডোবায় ফেলা যাবে না।

৪. মরা ও পচা জীবজন্তু এবং জৈব আবর্জনা পানিতে না ফেলে মাটি চাপা দিতে হবে।

৫. কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর মলমূত্র, বিছানাপত্র ও জামাকাপড় পুকুর, খাল-বিল, জলাশয় বা নদীর পানিতে ধোয়া যাবে না।

৬. পুকুর বা নদীর পানিতে বাসন -কোসন মাজা যাবে না।

৭. সব সময় স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করা।

Similar Posts