রসায়ন

সমগোত্রীয় শ্রেণি কাকে বলে? সমগোত্রীয় শ্রেণির বৈশিষ্ট্য

1 min read

সমগোত্রীয় শ্রেণি কাকে বলে?

একই কার্যকরী মূলক বিশিষ্ট এবং একই ধরনের ধর্মবিশিষ্ট জৈব যৌগসমূহকে একত্রে সমগোত্রীয় শ্রেণি বলা হয়।

কার্বনের ক্যাটেনেশন ধর্মের কারণে কার্বন যৌগ তথা জৈব যৌগের সংখ্যা আট মিলিয়নের অধিক। এ বিপুল সংখ্যক জৈব যৌগ আলাদাভাবে অধ্যয়ন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আলোচনার সুবিধার্থে জৈব যৌগসমূহকে গঠন ও ধর্মের ভিত্তিতে কতিপয় সমধর্মী যৌগ শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। এ সব সমধর্মী যৌগ শ্রেণির নাম সমগোত্রীয় শ্রেণি। জৈব রসায়ন অধ্যয়ন বলতে সমগোত্রীয় শ্রেণির অধ্যয়ন বুঝায়। অভিন্ন মৌল দ্বারা গঠিত সমধর্মী যৌগসমূহকে ক্রমবর্ধমান আণবিক ভর অনুসারে সাজালে যদি পাশাপাশি দুটি যৌগের মধ্যে মিথিলিন –CH2– মূলকের পার্থক্য থাকে এবং এদের সংযুক্তি একটি সাধারণ সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা যায়, তবে এরূপ নিকট সম্পর্কযুক্ত যৌগসমূহকে সমগোত্রক বলে এবং এদের শ্রেণিকে সমগোত্রীয় শ্রেণি বলা হয়।

যেমন, অ্যালকেন (CnH2n+2) একটি সমগ্রোত্রীয় শ্রেণি। মিথেন(CH4), ইথেন (C2H6), প্রোপেন (C3H8) ইত্যাদি অ্যালকেন শ্রেণির সমগোত্রক।

 

সমগোত্রীয় শ্রেণির বৈশিষ্ট্য

সাধারণভাবে সমগোত্রীয় শ্রেণির যৌগসমূহের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ –

  • এরা অভিন্ন মৌল দ্বারা গঠিত।
  • একটি সাধারণ সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
  • আণবিক ভরের ভিত্তিতে পাশাপাশি দুটি সমগোত্রকের মধ্যে –CH2– মূলকের পার্থক্য বিদ্যমান।
  • প্রত্যেক সমগোত্রীয় শ্রেণির একটি নির্দিষ্ট কার্যকরীমূলক থাকে।
  • এদের ভৌত ধর্মে নিয়মিত ক্রম লক্ষ্য করা যায়। আণবিক ভর বৃদ্ধির সাথে এদের ভৌত ধর্ম যেমন – গলনাংক, স্ফুটনাংক ও ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং দ্রাব্যতা হ্রাস পায়।
  • এদের রাসায়নিক ধর্মে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
  • একই সাধারণ নিয়মে এদের প্রস্তুত করা যায়।
Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x