স্বাস্থ্য শিক্ষা কাকে বলে?
স্বাস্থ্য শিক্ষা কাকে বলে?
যে শিক্ষা মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক আচরণের পরিবর্তন ঘটায় তাকে স্বাস্থ্য শিক্ষা বলে। সহজ ভাষায় বলা যায়, স্বাস্থ্য শিক্ষা হলো, মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক জ্ঞান প্রদান করা, মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটানো এবং পীড়া বা অসুস্থতা জয় করে ধনাত্মক স্বাস্থ্যের দিকে এগিয়ে যথাযথ পদ্ধতি।
মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্যগত সমস্যার মোকাবিলার ক্ষেত্রে মানব আচরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কথা আজ আর কেউ অস্বীকার করে না। বর্তমান দিনের স্বাস্থ্য শিক্ষার পেশাগত ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের অন্তরালেও মানুষের আচরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়।
আধুনিক যুগের মানুষের অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ গুলি হল – হৃদপিন্ডের অসুস্থতা, হৃদরোগ, ফুসফুস, বক্ষ, প্রোসেন্ট, কোলন প্রভৃতি অঙ্গের কর্কট রোগ, বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমন – ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, এনকেফেলাইটিস প্রকৃতি এবং একই সঙ্গে পথ দুর্ঘটনার মতো আকস্মিক ঘটনা। মানুষের আচরণগত জীবনশৈলীগত উপাদানসমূহ যেমন – খাদ্যাভ্যাস, বিভিন্ন পদার্থের কুপ্রভাব, পরিশ্রমবিমুখ জীবনশৈলী ও অবসর এবং বেপরোয়া বা অসংযত আচরণ প্রতিনিয়ত মানুষের জীবনে বিভিন্ন বিশৃংখলার জন্ম দিচ্ছে। মানুষের আচরণ গুলি দ্রুত পরিবর্তন দরকার এবং এই পরিবর্তনের মূল্য অপরিসীম। আবার চিকিৎসাগত সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে বা এই সুযোগ বৃদ্ধি ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন মূল্য কম নয়।
WHO এর মতে, “Health education, like general education, is concerned with changes in knowledge, feelings, and behavior of people. In its most usual forms, it concentrates on developing such health practices a are believed to bring about the best possible state of well-being.”
অর্থাৎ, সাধারণ শিক্ষা নেয় স্বাস্থ্য শিক্ষাও মানুষের জ্ঞান. অনুভূতি ও আচরণের পরিবর্তন এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সর্বাধিক প্রচলিত ধারা অনুসারে এটি মানুষের এমন কিছু স্বাস্থ্য অভ্যাসে পুরাতন ঘটায় যা মানুষের সর্বতোভাবে মঙ্গল সূচিত হয়।
Sophie বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আচরণটি বলা হয় স্বাস্থ্য শিক্ষা।
Thomas wood বলেছেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা হলো বিদ্যালয় এবং অন্যত্র প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার সমষ্টি যা অনুকূলভাবে ব্যক্তি, সমাজ ও সামাজিক স্বাস্থ্য বিষয়ক অভ্যাস, মনোভাব ও জ্ঞানকে প্রভাবিত করে।