সুষম বাজেট কি?
যে বাজেটে আয় ও ব্যয়ের পরিমাণ সমান থাকে তাকে সুষম বাজেট বলে।
বাজেটের প্রকারভেদ
বাজেটকে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১) সুষম বাজেট এবং
২) অসম বাজেট বা সমতাহীন বাজেট।
সুষম বাজেট কাকে বলে?
যে বাজেটে আয় ও ব্যয়ের পরিমাণ সমান থাকে তাকে সুষম বাজেট বলে।
অসম বাজেট কাকে বলে?
যে বাজেটে আয় ও ব্যয় সমান থাকে না তাকে অসম বাজেট বলে।
অসম বাজেট আবার দুই প্রকার। যথাঃ
ক) উদ্বৃত্ত বাজেট এবং খ) ঘাটতি বাজেট।
উদ্বৃত্ত বাজেট কাকে বলে?
যে বাজেটে ব্যয়ের চেয়ে আয়ের পরিমাণ বেশি ধরা হয় তাকে উদ্বৃত্ত বাজেট বলে।
ঘাটতি বাজেট কাকে বলে?
যে বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি ধরা হয় তাকে ঘাটতি বাজেট বলে।
আয় ব্যয়ের প্রকৃতির ভিত্তিতে বাজেটের দু’টি অংশ থাকে। একটি হলো রাজস্ব বাজেট এবং অন্যটি হলো মূলধন বাজেট।
রাজস্ব বাজেট কাকে বলে?
দেশের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য যে বাজেট গৃহীত হয় তাকে রাজস্ব বাজেট বলে। এ বাজেটে কেবল সরকারের রাজস্ব আয় এবং প্রশাসনিক ব্যয় দেখানো হয়। এ বাজেটে দুটি অংশ থাকে। আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত। আয়ের অংশ সরকারের সম্ভাব্য মোট আয় উল্লেখ করা হয় এবং কোন কোন উৎস থেকে এ আয় আসবে তাও বর্ণনা করা হয়। একই ভাবে, ব্যয়ের খাতে সরকারের সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ এবং কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে তার উল্লেখ করা হয়। রাজস্ব বাজেটের অর্থ সাধারণত প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, বেসরকারি প্রশাসন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, জনস্বাস্থ্য, সামাজিক কল্যাণ প্রভৃতি খাতে ব্যয় করা হয়।
মূলধন বাজেট কাকে বলে?
দেশের উন্নয়ন মূলক কাজের জন্যে যে বাজেট করা হয় তাকে মূলধনী বাজেট বলে। এ বাজেটে সরকার কর্তৃক গৃহীত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য ব্যয় ও আয়ের হিসাব দেখানো হয়। যেমন, এক বছরে কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ, পরিবহন, বিদ্যুৎ ইত্যাদি খাতের উন্নয়নের জন্যে যে ব্যয় হবে তা এ বাজেটে দেখানো হয়। পাশাপাশি এ ব্যয় নির্বাহের জন্যে কোন কোন উৎস থেকে আয় সংগৃহীত হবে তাও এ বাজেটে উল্লেখ করা হয়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে মূলধন বাজেটে দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ও প্রত্যাশিত আয়ের পরিমাণ দেখানো হয়। এ বাজেটের আয় প্রধানত রাজস্ব বাজেটের উদ্বৃত্ত এবং সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়ে থাকে।
