বাস্তুতান্ত্রিক বা বাসস্থলগত বৈচিত্র্য কাকে বলে?
একটি নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন প্রকার বাসস্থল লক্ষ করা যায়। কারণ, প্রাকৃতিক পরিবেশে উপাদানের পরির্তনের ফলে প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রকার বাস্তুতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। যেমন – স্থলজ ও জলজ বাস্তুতন্ত্র। এই স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে আবার বিভিন্ন ধরনের বৃহৎ ও ক্ষুদ্র বাস্তুতন্ত্রের উপস্থিতি রয়েছে। যেমন – অরণ্য, মরুভূমি ও তৃণভূমির বাস্তুতন্ত্র।
আবার জলজ বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে স্বাদুজল ও লবণাক্ত জলের বাস্তুতন্ত্র দেখা যায়। প্রত্যেকটি বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এই সমস্ত বাস্তুতন্ত্রের প্রকারভেদে উদ্ভিদ ও প্রাণীগোষ্ঠীর সংখ্যা ও আকারের তারতম্য দেখা যায়।
বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য
- জৈব ও অজৈব পরিবেশের উপাদানের পার্থক্য ও আন্তঃপ্রক্রিয়ায় পৃথক পৃথক বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য গড়ে ওঠে।
- বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি, প্রজাতির জিনগত পার্থক্য ও একই প্রজাতির অভিযোজন এবং অভিব্যক্তির ক্ষেত্রে পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
- প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানের সরবরাহ বিভিন্ন মাত্রায় হওয়ায় একই ভৌগলিক অঞ্চলে অবস্থানকারী বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের শক্তি অর্জন, স্থানান্তর ও ব্যবহার ভিন্ন মাত্রায় হয়ে থাকে।
- কিছু কিছু প্রজাতির একটি নির্দিষ্ট বাসস্থলে বসবাস সত্ত্বেও তাদের বাস্তুতান্ত্রিক নিচ্ (Niche) পার্শ্ববর্তী বাস্তুতন্ত্রের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
- একই বাস্তুতন্ত্রে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে ফিডব্যাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় থাকে ও নির্দিষ্ট প্রজাতি ধারাবাহিকভাবে ক্লাইমেক্স স্তরে অভিযোজিত বা স্থানান্তরিত হয়।