টিটিই শফিকুল সম্পূর্ণ নির্দোষ: তদন্ত প্রতিবেদন
রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে জরিমানা আদায়ের জন্য বরখাস্ত হওয়া ঈশ্বরদী স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমানিত হয়েছেন। টিটিইকে নির্দোষ উল্লেখ করে এ ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেদনে ওই ট্রেনের পরিচালক শরিফুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলাম আজ বেলা ১১টা ২০ মিনিটে দিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলামের কার্যালয়ে গিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সাজেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগকারী, টিটিই, ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও কয়েকজনসহ মোট নয়জনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। সুপারিশসহ মোট ৪০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। গার্ড শরিফুল ইসলামকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শরিফুলের জবাব পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাহীদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর যে কর্মকর্তা (বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন) টিটিই শফিকুলকে বরখাস্ত করেছিলেন, তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পেলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। আজকে যে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি, সেটা ছিল ট্রেনের ভেতরের ঘটনার বর্ণনা।
এর আগে গত ৭ই মে ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুই কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও পরে আরও তিন দিন সময় বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিল করার দিন ধার্য করা থাকলেও ডিআরএম ঢাকায় থাকায় এবং সরকারি ছুটি থাকায় তিন দিন পর আজ এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে বিনা টিকিটে তিন যাত্রী ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তারা ট্রেনের এসি কামরায় বসে ছিলেন। তাদের কাছে ভাড়া চাইলে টিটির সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ওই তিন যাত্রী রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। শফিকুল ইসলাম তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা ভাড়া নিয়ে এসি কামরা থেকে শোভন কামরায় পাঠান। ওই তিন যাত্রী শোভন কামরাতেই ঢাকায় পৌঁছান। এর কিছুক্ষণের মধ্যে মুঠোফোনে টিটিই শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।