স্বরভক্তি কাকে বলে?
স্বরভক্তি কাকে বলে?
সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি।
যেমন- রত্ন > রতন,
ধর্ম > ধরম,
স্বপ্ন > স্বপন,
হর্ষ > হরষ ইত্যাদি।
সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি।
যেমন- রত্ন > রতন,
ধর্ম > ধরম,
স্বপ্ন > স্বপন,
হর্ষ > হরষ ইত্যাদি।
বাংলা ভাষা কোন ভাষা থেকে এসেছে? বাংলা ভাষা গৌড়ীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে এসেছে।বাংলা ভাষা ‘গৌড়ীয় প্রাকৃত’ ভাষা থেকে এসেছে। গৌড়ীয় প্রাকৃত (খ্রি.পূ. ২০০) ভাষা প্রাচীন ভারতীয় আর্য (খ্রি.পূ. ১০০০) ভাষা বংশধর। গৌড়ীয় প্রাকৃত ভাষা গৌড় অপভ্রংশ (আনু. ৪০০ – ৬০০ খ্রি.) ও বঙ্গকামরূপী (আনু. ৫০০ খ্রি.) থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে।
স্বরধ্বনি কাকে বলে? যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও কোনো প্রকার বাধা পায় না, তাদেরকে বলা হয় স্বরধ্বনি। যেমন – অ, আ, ই, উ ইত্যাদি।
নাম ধাতু কাকে বলে? বিশেষ্য, বিশেষণ এবং অনুকার অব্যয়ের পরে ‘আ’ প্রত্যয় যোগ করে যে নতুন ধাতুটি গঠিত হয় তাই নাম ধাতু। যেমন – সে ঘুমাচ্ছে। ‘ঘুম’ থেকে নাম ধাতু ‘ঘুমা’। ‘ধমক্’ থেকে নাম ধাতু ‘ধমকা’। যেমন – আমাকে ধমকিও না।
সাধারণ অতীত কাল কাকে বলে? বর্তমান কালের পূর্বে যে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, তার সংঘটন কালই সাধারণ অতীত কাল। যেমন – প্রদীপ নিভে গেল। শিকারি পাখিটিকে গুলি করল।
সংস্কৃত উপসর্গ কাকে বলে? প্র, পরা, অপ – এরূপ বিশটি সংস্কৃত বা তৎসম রয়েছে। তৎসম উপসর্গ তৎসম শব্দ বা ধাতুর পূর্বে ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘পূর্ণ’ একটি তৎসম শব্দ। ‘পরি’ উপসর্গযোগে হয় ‘পরিপূর্ণ’। √হৃ (হর) + ঘঞ = ‘হার’ – এ কৃদন্ত শব্দের আগে উপসর্গ যোগ করলে কীরূপ অর্থের পরিবর্তন হলো। লক্ষ কর: আ+হার = আহার…
বিদেশি শব্দ কাকে বলে? রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সংস্কৃতিগত ও বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলায় এসে স্থান করে নিয়েছে। এসব শব্দকে বলা হয় বিদেশি শব্দ। এসব বিদেশি শব্দের মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি – এসব ভাষারও কিছু শব্দ একইভাবে বাংলা ভাষায় এসে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী…