জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ কাকে বলে? জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ কাকে বলে?

যে পদ্ধতিতে কোনো শারীরবৃত্তীয় বা অর্থনৈতিক গুণমানযুক্ত জীবের প্রোটোপ্লাজমযুক্ত উন্নত কোশকে নির্দিষ্ট সংরক্ষণাগারে সংরক্ষণ করা হয়, তাকে জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ বলে। এই জার্মপ্লাজম থেকে একই বৈশিষ্ট্য বা ভিন্ন গুণসম্পন্ন প্রজাতি সৃষ্টি করা হয়। প্রকৃতপক্ষে উদ্ভিদ বা প্রাণীর জিনগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সীড্ ব্যাংক ও জার্মপ্লাজম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। মূলত বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির সংরক্ষণ করার জন্য সীড্ ব্যাংক অথবা জার্মপ্লাজম ব্যাংকে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বীজ বা জিন সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা করা হয়। এই কারণে এই ধরনের সংরক্ষণাগারকে ‘Gene Bank’ও বলা হয়।

 

জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

১) পৃথিবীর জনসংখ্যা যে বিপুল হারে বাড়ছে, তাতে অধিক শস্য উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এর জন্য দরকার উচ্চ ফলনশীল বীজ অথবা উচ্চগুণসম্পন্ন শস্য প্রজাতির কোশ।

২) খাদ্যশস্য ছাড়াও প্রাত্যাহিক জীবনে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন মাছ, দুধ, ডিম। এর জন্য চাই উন্নত প্রজাতির মাছ, হাঁস, মুরগি, সংকর প্রজাতির গোরু। আর জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের মাধ্যমেই এর সমাধান সম্ভব।

৩) জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে, বিপদসংকুল ও বিরল প্রজাতির জীবগোষ্ঠীকে রক্ষা করা সম্ভব। প্রতি বছর প্রায় 10 হাজারের ওপর প্রজাতি পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। বীজ বা জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের বিবর্তন ও সংরক্ষণ সম্ভব।

৪) জার্মপ্লাজমের মাধ্যমে উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। নতুন নতুন জিন মিশিয়ে নতুন প্রজাতির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।

Similar Posts