রসায়ন

রসায়ন পাঠের গুরুত্ব (The Importance of Studying Chemistry)

1 min read

রসায়ন পাঠের গুরুত্ব (The Importance of Studying Chemistry)


রসায়ন পাঠের গুরুত্ব

দৈনন্দিন জীবনে রসায়ন পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের মৌলিক চাহিদা যেমন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার উপকরণ জোগানে রসায়ন সর্বক্ষণে নিয়োজিত। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব খাবার খাই এবং যা ব্যবহার করছি যেমন- সাবান, ডিটাজেন্ট, শ্যাম্পু, ঔষধপত্র ইত্যাদি সবই রাসায়নিক পদার্থ। রসায়ন ছাড়া আমরা কোনোকিছু কল্পনা করতে পারিনা। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই রসায়ন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে মিশে আছে। যেমন- কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, কীটনাশক, কৃত্রিম কসমেটিকস, রং সব কিছুই রাসায়নিক উপকরণ।

আবার মাছ, মাংস, ফলমূল পঁচন রোধে এবং বিভিন্ন খাবারকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আবার পরিবেশ রক্ষায়ও রসায়ন পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যাদি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পরিবেশকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। ফলে পরিবেশ মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এবং মানুষ নানা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি এর ফলে মৃত্যুও ঘটে। যেমন- জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, অতিরিক্ত সাবান ডিটারজেন্ট ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে এসব কিছু পরিবেশের সাথে মিশে পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে। তাই ভালো এবং সুস্থ থাকার জন্য এসব পদার্থের পরিমিত ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। আর  এসব কিছু শুধুমাত্র রসায়ন পাঠের মাধ্যমেই সম্ভব। কারণ রসায়ন পাঠের মাধ্যমে রাসায়নিক পদার্থের পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারকারী এবং প্রস্তুতকারী উভয়ে রাসায়নিক পদার্থের গুণাগুণ বিবেচনাপূর্বক এদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে সমাজ ও পরিবেশ রক্ষায় রসায়ন পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রিজারভেটিভস

প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশেষ করে জুস, সস্, কেক, বিস্কুট প্রভৃতিতে বেশি সময় ধরে সংরক্ষণের জন্য কিছু বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে প্রিজারভেটিভস্ বলা হয়।

যেমন- সোডিয়াম বেনজোয়েট, সোডিয়াম সরবেট, পটাসিয়াম সরবেট প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

ফর্মালিন

ফর্মালিন মূলত ফর্মালডিহাইড (HCHO) এর 40% জলীয় দ্রবণ।

**

রাসায়নিক পদার্থ মানেই ক্ষতিকর নয়

রাসায়নিক পদার্থ মানেই ক্ষতিকর নয়- আমরা যা খাচ্ছি ভাত, ডাল, তেল, চিনি, লবণ এবং যা ব্যবহার করছি যেমন-

সাবান, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু, পাউডার, ঔষধপত্র ইত্যাদি সবই রাসায়নিক পদার্থ। কৃষি কাজে ব্যবহৃত সার, কীটনাশক সবই রাসায়নিক দ্রব্যাদি। সৌন্দর্যবন্ধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সামগ্রী যেমন- কাঁচা হলুদ, মেহেদী এবং কৃত্রিম কসমেটিকস্ ও রং ব্যবহার করা হয়। কখনও কখনও অনভিজ্ঞ বা অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এসব সামগ্রী প্রস্তুত ও সরবরাহ করে যার কারণে ব্যবহার্য জিনিসপত্রে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x