অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে
স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে অর্থনীতি
সাধারণ অর্থে স্থিতিস্থাপকতা বলতে পরিবর্তনের হারকে বুঝায়। গাণিতিকভাবে বলা যায় কোন অপেক্ষকের স্বাধীন চলকের পরিবর্তনের ফলে অধীন চলকের যে পরিবর্তন হয়, সেই পরিবর্তনের মাত্রা বা অনুপাতকে স্থিতিস্থাপকতা বলে। অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন – চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা যোগানের দাম স্থিতিস্থাপকতা, আয় স্থিতিস্থাপকতা, পরিবর্তক, আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতা প্রভৃতি।
চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা (Elasticity of demand)
চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলতে চাহিদা অপেক্ষকের অন্তর্গত যে কোন একটি নির্ধারকের (স্বাধীন চলকের) আপেক্ষিক বা শতাংশ পরিবর্তনের ফলে চাহিদার যে (অধীন চলকের) আপেক্ষিক বা শতাংশিক পরিবর্তন ঘটে তাদের অনুপাত বা মাত্রাকে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলে।
চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা (Income elasticity of demand)
ক্রেতা বা ভোক্তার আয়ের শতাংশিক বা আপেক্ষিক পরিবর্তনের ফলে চাহিদার যে শতাংশিক বা আপেক্ষিক পরিবর্তন হয় তাদের অনুপাত বা মাত্রাকে চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা বলে। অধ্যাপক লিপস্রি মতে, “আয়ের পরিবর্তনের ফলে কোন দ্রব্যের চাহিদার সাড়া দেওয়ার মাত্রাকে চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা বলে।
আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতা (Cross elasticity of demand)
দুটি সম্পর্কিত দ্রব্যের ক্ষেত্রে একটি দ্রব্যের দামের শতাংশিক বা আপেক্ষিক পরিবর্তনের ফলে অন্য দ্রব্যের চাহিদার যে শতাংশিক বা আপেক্ষিক পরিবর্তন হয় তার অনুপাত বা মাত্রাকে চাহিদার আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতা বলে। সম্পর্কিত দ্রব্য দুটি সাধারণত: একে অপরের পরিপূরক বা পরিবর্তক হয়।